AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

করোনা আবহে ফের ভাইরাস আতঙ্ক! তিব্বতে হিমবাহের নীচে মিলল ১৫ হাজার বছরের পুরনো ভাইরাস!

৩৩টি ভাইরাসের জেনেটিক কোড পাওয়া গিয়েছে বরফের নমুনা থেকে।.তার মধ্যে মোট ৪টি ভাইরাসকে চিহ্নিত করা গিয়েছে, ও বাকি ২৮টি ভাইরাস বিষয়ে কোনও তথ্যই নেই বিজ্ঞানীদের কাছে।

করোনা আবহে ফের ভাইরাস আতঙ্ক! তিব্বতে হিমবাহের নীচে মিলল ১৫ হাজার বছরের পুরনো ভাইরাস!
হিমবাহের নীচে মিলল ১৫ হাজার বছরের পুরনো ভাইরাস!
| Edited By: | Updated on: Jul 23, 2021 | 1:08 PM
Share

ভাইরাসের আতঙ্ক যে পিছুই ছাড়ছে না। করোনাভাইরাসের আতঙ্কের পাশাপাশি রোজ একটি করে ভাইরাস জেগে ওঠার খবরে উদ্বিগ্ন সাধারণ মানুষ। সম্প্রতি তিব্বতের পুরু হিমবাহের মধ্যে প্রায় ১৫ হাজার বছর পুরনো ভাইরাস আবিষ্কার করলেন বিজ্ঞানীরা।

জানা গিয়েছে, চিনের তিব্বত হিমবাহের নীচে দুটি বরফের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, তাতে প্রায় ১৫ হাজার বছর পুরনো ভাইরাসের হদিশ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা। পুরু বরফের চাদরের নীচে ঢেকে যাওয়া কয়েকশো বছর পুরনো মৃতদেহ যেমন কোনও অংশ ক্ষতি বা পচে না গিয়ে অবিকল যেমন ছিল তেমনি উদ্ধার করা যায়, এক্ষেত্রেও তাই ঘটেছে। বরফে জমে থাকা ওই ভাইরালের অস্তিত্ব কোনওভাবে নষ্ট হয়ে যায়নি। সম্প্রতি মাইক্রোবায়োমি জার্নালে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে। তবে এই মুহূর্তে গবেষকদের কথা অনুযায়ী, কীভাবে সময়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে সারা দেশে ভাইরাসের চরিত্র ও কার্যকলাপ বিবর্তিত হয়েছে, তা এই ভাইরাস থেকে তথ্য বের করা সম্ভব হবে। করোনাকালে হাজার বছরের পুরনো ভাইরাস পাওয়া একটি অত্যাশ্চর্য ঘটনাও বটে। নয়া পদ্ধতিতে ভাইরাসমাইক্রোবসগুলি পরীক্ষা করলেই পাওয়া যাবে অজানা তথ্য।

ওই জার্নালে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালে একটি গবেষকদের দল আইস কোর বিশ্লেষণের জন্য পশ্চিম চিনের গুলিয়া আইস ক্যাপে পৌঁচেছিলেন। বরফাবৃত উচ্চতর পর্বত থেকে আইস কোরগুলি সংগ্রহ করা হয়। সমু্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ২২ হাজার ফিট উঁচু পর্বতের শীর্ষ থেকে পাওয়া যায় এই বরফের নমুনা। বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, মাটি ও উদ্ভিদের সঙ্গে এই ভাইরাস মিশে ছিল ও ৩৩টি ভাইরাসের জেনেটিক কোড পাওয়া গিয়েছে বরফের নমুনা থেকে।.তার মধ্যে মোট ৪টি ভাইরাসকে চিহ্নিত করা গিয়েছে, ও বাকি ২৮টি ভাইরাস বিষয়ে কোনও তথ্যই নেই বিজ্ঞানীদের কাছে। ভাইরাসগুলি মাটি বা ধুলোর সঙ্গে মিশে ছিল, পরে বরফ থাকার কারণে কোনও কিছু মুছে যায়নি। তবে এই ভাইরাসগুলি একসময় যে পৃথিবীতে ছড়িয়েছিল তা বলাই বাহুল্য। তবে মাটি ও ধুলোর সঙ্গে মিশে থাকায় ভাইরাসগুলি কম মাত্রার ক্ষমতা সম্পন্ন সংক্রামক বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

আরও পড়ুন: মঙ্গলগ্রহ থেকে প্রথমবারের জন্য ‘রক স্যাম্পেল’ সংগ্রহ করতে তৈরি হচ্ছে রোভার পারসিভের‍্যান্স