মঙ্গলগ্রহ থেকে প্রথমবারের জন্য ‘রক স্যাম্পেল’ সংগ্রহ করতে তৈরি হচ্ছে রোভার পারসিভের‍্যান্স

উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশ ছুঁয়েছিল রোভার পারসিভের‍্যান্স। নিজের অবতরণ স্থলের দক্ষিণে প্রায় এক কিলোমিটার ভ্রমণও করেছে এই রোভার (over the summer)।

মঙ্গলগ্রহ থেকে প্রথমবারের জন্য 'রক স্যাম্পেল' সংগ্রহ করতে তৈরি হচ্ছে রোভার পারসিভের‍্যান্স
উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশ ছুঁয়েছিল রোভার পারসিভের‍্যান্স।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 22, 2021 | 8:57 PM

মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশ থেকে রক স্যাম্পেল অর্থাৎ পাথরজাতীয় নমুনা সংগ্রহের জন্য প্রস্তুত হচ্ছে নাসার মার্স রোভার পারসিভের‍্যান্স। একটি প্রাচীন হ্রদ অঞ্চল (ancient lake bed) থেকে ই নমুনা সংগ্রহ করা হবে বলে জানা গিয়েছে। অতীতে লালগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব ছিল কি না, তা জানতেই এই নমুনা সংগ্রহ করবে রোভার পারসিভের‍্যান্স। আগামী দু’সপ্তাহের মধ্যেই নাসার মার্স রোভার এই ইতিহাস তৈরি করবে বলে মনে করছেন বিজ্ঞানীরা। মঙ্গলগ্রহের বুকে রয়েছে Jezero Crater। এই Jezero Crater- এর মধ্যেই রয়েছে ‘Cratered Floor Fractured Rough’। বৈজ্ঞানিকদের কাছে বরাবরই এই এলাকা আকর্ষণের কেন্দ্রে ছিল। তাই এখান থেকেই রক স্যাম্পেল সংগ্রহ করবে রোভার পারসিভের‍্যান্স।

নাসার অ্যাসোসিয়েট অ্যাসমিনিস্ট্রেটর ফর সায়েন্স (হেডকোয়ার্টার) Thomas Zurbuchen বলেছেন, Jezero Crater থেকে মার্স রোভার পারসিভের‍্যান্স প্রথম যে নমুনা সংগ্রহ করবে এবং তা পরীক্ষা নিরীক্ষা করে যা ফলাফল পাওয়া যাবে, তার থেকেই মঙ্গলগ্রহ সম্পর্কে বিশদে নতুন তথ্য জানতে পারবে মনুষ্যজগত। ৫২ বছর আগে এমনটাই করেছিলেন নীল আর্মস্ট্রং। চাঁদের বুকে Sea of Tranquility থেকে প্রথম নমুনা সংগ্রহ করেছিলেন ওই নভশ্চর। সেই সময়েই একটি নতুন পদ্ধতি চালু করেন নীল আর্মস্ট্রং। আর তার ফলে মানবজাতি চাঁদের সম্পর্কে জানতে শুরু করেছিল। তাদের আগ্রহ তৈরি হয়েছিল।

উল্লেখ্য, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশ ছুঁয়েছিল রোভার পারসিভের‍্যান্স। নিজের অবতরণ স্থলের দক্ষিণে প্রায় এক কিলোমিটার ভ্রমণও করেছে এই রোভার (over the summer)। এবার লালগ্রহের পরিবেশ সম্পর্কে গবেষণা শুরু করতে চলেছে রোভার পারসিভের‍্যান্স। বিজ্ঞানীদের দৃঢ় বিশ্বাস মঙ্গলগ্রহে থাকা Jezero Crater, একসময় একটা পরিপূর্ণ লেক ছিল। আর এর প্রভাবেই হয়তো প্রাণের অস্তিত্ব টিকে থাকার বা সঞ্চার হওয়ার মতো পরিবেশ তৈরি হয়েছিল সেখানে। এই বিশ্বাস বাস্তবের সঙ্গে কতটা মেলে কিংবা আদৌ কোনও মিল আছে কি না, তা জানতেই মঙ্গলগ্রহে অভিযান চালাচ্ছে নাসা। প্রাণের অস্তিত্বের খোঁজ করতেই সেখানে পাঠানো হয়েছে রোভার।

নাসার বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, রোভার পারসিভের‍্যান্স যেসব রক স্যাম্পেল সংগ্রহ করবে তার রাসায়নিক এবং খনিজ গঠন খতিয়ে দেখা হবে। আবহাওয়ার বিভিন্ন কার্যকলাপ, নাকি আগ্নেয়গিরির উৎপাত, অথবা পলি জমে বা সেডিমেন্টারি প্রক্রিয়া, কোনভাবে ওই পাথর তৈরি হয়েছে তাও জানার চেষ্টা চালাবেন বিজ্ঞানীরা। এর পাশাপাশি যে অঞ্চল থেকে পাথর সংগ্রহ করা হবে, সেখানকার গঠন খতিয়ে দেখা হবে।

আরও পড়ুন- Jeff Bezos Space: মহাকাশে ঘুরে এসে অ্যামাজনের কর্মী-ক্রেতাদের ধন্যবাদ জানালেন জেফ বেজোস