Chandrayaan-3: ২০২২ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণ করবে ইসরো

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sohini chakrabarty

Jul 28, 2021 | 4:08 PM

ইসরো জানিয়েছে সম্ভবত ২০২২ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিক অর্থাৎ ২০২২ সালের থার্ড কোয়ার্টারে চন্দ্রযান-৩ লঞ্চ করা হবে।

Chandrayaan-3: ২০২২ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণ করবে ইসরো
ছবি প্রতীকী।

Follow Us

করোনার দাপটে পিছিয়ে গিয়েছে চন্দ্রযান-৩ এর উৎক্ষেপণ। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন (ইসরো) জানিয়েছে সম্ভবত ২০২২ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিক অর্থাৎ ২০২২ সালের থার্ড কোয়ার্টারে চন্দ্রযান-৩ লঞ্চ করা হবে। দীর্ঘদিন ধরে এই মহাকাশযান উৎক্ষেপণের জন্য অপেক্ষা করছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। কিন্তু করোনার কারণে পিছিয়ে গিয়েছে চন্দ্রযান-৩ এর উৎক্ষেপণ। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জিতেন্দ্র সিং (Minister of State Independent Charge) জানিয়েছেন, চন্দ্রযান-৩ এর কাজ চলছে।

মূলত করোনার কারণে দেশের বিভিন্ন অংশে এখনও আংশিক লকডাউন চলছে। আর তার জেরেই ওয়ার্ক ফ্রম হোমের বেড়াজালে জড়াতে বাধ্য হয়েছেন সকলেই। তাই ওয়ার্ক ফ্রম হোমে থেকেই চন্দ্রযান-৩ সংক্রান্ত যেসব কাজ সম্ভব হচ্ছে, সেটা করছেন ইসোরর কর্মী এবং বিজ্ঞানীরা। চন্দ্রযান-২ এর অসফল অভিযানের পর ২০২১ সালেই চন্দ্রযান-৩ লঞ্চের পরিকল্পনা ছিল ইসরোর বিজ্ঞানীদের। কিন্তু সমত পরিকল্পনায় বাধ সেধেছে করোনাভাইরাস। ইসরোর এই চন্দ্রাভিযানের পাশাপাশি আরও কিছু অভিযানও থমকে গিয়েছে করোনার কারণে।

এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ইসোর প্রধান কে শিবন জানিয়েছিলেন, চন্দ্রযানের-২ এর মতোই কনফিগারেশন রয়েছে চন্দযান ৩ এও। তবে আগের বারের মতো এক্ষেত্রে কোনও অরবিটার। বরং চন্দ্রযান-২ এর উৎক্ষেপণের সময় যে অরবিটার লঞ্চ করা হয়েছিল, সেটাই ব্যবহার করা হবে চন্দ্রযান- ৩ অর্থাৎ নতুন অভিযানের ক্ষেত্রে। ইতিমধ্যেই এই প্রসঙ্গে কার্জকর্ম করছেন ইসরোর বিজ্ঞানীরা। গত ফেব্রুয়ারিতেই কে শিবন আভাস দিয়েছিলেন যে ২০২২ সালে লঞ্চ হবে চন্দ্রযান-৩। এবার আরও নিশ্চিত করে জানানো হয়েছে চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণের সময়কাল। তবে সূত্রের খবর, ইসরোর তরফে নির্দিষ্ট দিনক্ষণ ঠিক করা হয়নি। চন্দ্রযান- ৩ উৎক্ষেপণের নির্দিষ্ট সময়কাল নির্বাচন করা হলেই তা প্রকাশ করবে ইসরো।

উল্লেখ্য, প্রথমবার ২০০৮ সালে লঞ্চ করা হয়েছিল প্রথম চন্দ্রযান। সেবছর চাঁদের বুকে জলের অস্তিত্ব খুঁজে পেয়েছিল চন্দ্রযান। সেই সঙ্গে আরও অনেক কিছুই আবিষ্কার করেছিল ইসরোর প্রথম চন্দ্রযান। এরপর পাঠানো হয় চন্দ্রযান- ২। চাঁদের যে অংশ অন্ধকার, এখনও যেখানে গবেষণা শুরু হয়নি, সেই প্রান্তেই অভিযানের জন্য পাঠানো হয়েছিল চন্দ্রযান- ২। তবে অবতরণের আগেই ভেঙে যায় চন্দ্রযান- ২। তবে অরবিটার এখনও সচল রয়েছে। চন্দ্রপৃষ্ঠের পাশাপাশি সৌরজগতের উপরেও নজরদারি চালাচ্ছে এই অরবিটার।

আরও পড়ুন- Ingenuity 10th Flight: এখনও পর্যন্ত নাসার মার্স হেলিকপ্টার সবচেয়ে জটিল উড়াল, গড়ল রেকর্ডও

Next Article