Ozone Gas Effect On Flies: পুরুষ মাছিদের ‘ঘনিষ্ঠ’ হতে নারাজ স্ত্রী মাছিরা, এ তো মহা বিপদ!

Fruit Flies: মানুষের দ্বারা ছড়ানো দূষণের ফল ভোগ করছে অন্যান্য প্রাণীরাও। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই ওজোন গ্যাসের বাড়বাড়ন্তে বর্তমানে সমকামী হয়ে যাচ্ছে মাছিরা।

Ozone Gas Effect On Flies: পুরুষ মাছিদের 'ঘনিষ্ঠ' হতে নারাজ স্ত্রী মাছিরা, এ তো মহা বিপদ!
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 18, 2023 | 5:52 PM

Latest Science News: পরিবেশে দূষণের (Pollution) মাত্রা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে দিনের পর দিন। নিষেধ, আইন- কোনও উপায়েই ঠেকানো যাচ্ছে না দূষণ। পরিবেশে দূষণ বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসে ওজোন গ্যাসের মাত্রাও বাড়ছে। আর তার প্রভাব যে শুধু মানুষের উপর পড়ছে, তা একেবারেই নয়। মানুষের দ্বারা ছড়ানো দূষণের ফল ভোগ করছে অন্যান্য প্রাণীরাও। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এই ওজোন গ্যাসের বাড়বাড়ন্তে বর্তমানে সমকামী হয়ে যাচ্ছে মাছিরা (Flies)। অর্থাৎ পুরুষ মাছিরা সম্পর্ক তৈরি করছে পুরুষ মাছিদের সঙ্গেই। কারণ নারী-পুরুষের পার্থক্য বুঝতে পারছে না মাছিরা। আপনি নিশ্চয়ই ভাবছেন, এর সঙ্গে পরিবেশ দূষণের কী সম্পর্ক? বিজ্ঞানীরা (Scientists) নতুন গবেষণায় (New Study) খুঁজে পেয়েছেন, দূষণের কারণে মাছির শরীরে লিঙ্গ নির্ধারণকারী হরমোনের (ফেরোমোন) ঘাটতি হচ্ছে। ফলে তারা নিজেদের জন্য সঠিক সঙ্গী খুঁজে পাচ্ছে না। তারা তখনই নারী-পুরুষের ভেদাভেদ করতে পারে, যখন তাদের শরীরে সঠিক পরিমাণে ফেরোমোন থাকে। বাতাসে ওজোন গ্যাসের পরিমাণ বেড়ে যাওয়ার ফলে পুরুষ মাছিরা স্ত্রী মাছিদের আকর্ষণ করতে পারছে না। তাই স্ত্রী মাছিরাও  তাদের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছে। আর সেই কারণেই পুরুষ মাছিরা স্ত্রী মাছি ছেড়ে পুরুষের সঙ্গে সম্পর্ক তৈরি করতে শুরু করেছে। মাছিদের এই পরিবর্তনে বিজ্ঞানীরা বিপদের আশঙ্কা করছেন। কারণ, এই সমস্যা চলতে থাকলে পৃথিবীতে মাছির সংখ্যা কমে যেতে পারে। এমনকী, একটা সময় পরে বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে মাছি।

science news

জার্মানির ম্যাক্স প্ল্যাঙ্ক ইনস্টিটিউট ফর কেমিক্যাল ইকোলজির গবেষকরা ওজোন গ্যাসের পরিমাণ বৃদ্ধির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে গবেষণা করেছেন। তারপর তারা জানিয়েছেন, ফ্রুট ফ্লাই (Drosophila melanogaster) প্রজাতির মাছিরা ক্রমশ সমকামী হয়ে উঠছে। পুরুষ ফ্রুট ফ্লাই ওজোন দূষণের কারণে তারা এখন শুধু পুরুষ মাছির প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে। পুরুষ ফ্রুট ফ্লাই ফেরোমোন নিঃসরণ করে। ফেরোমোনগুলি cis-Vaccenyl Acetate (cVA) নামেও পরিচিত।

মাছি সংক্রান্ত এই গবেষণাটি সম্প্রতি নেচার কমিউনিকেশনস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। দূষণের কারণে, পুরুষ মাছিদের ফেরোমোন দুর্বল হয়ে পড়েছে। বিজ্ঞানীরা গবেষণার মাধ্য়মে দেখেছেন, যদি মাছিরা 100 ppb ওজোন স্তরের সংস্পর্শে আসে, তাহলে তাদের শরীরে ফেরোমোনের পরিমাণ দ্রুত হ্রাস পায়। যদি 10-টি পুরুষ মাছি থাকে, তাহলে শুধুমাত্র সাতটি মহিলা মাছির কাছে যেতে পারে। বাকি 3-টে সমকামী সম্পর্ক গড়ে তোলে।

বিজ্ঞানীরা গবেষণায় দেখেছেন, পুরুষ মাছিদের মধ্যে সিভিএ মাত্রা দ্রুত হ্রাস পাচ্ছে। তারপরে তাঁরা 30টি পুরুষ মাছির মিলনের প্রক্রিয়া বোঝার জন্য 50 থেকে 200 পিপিবি (ওজোর দূষণ) স্তরে রাখা হয়েছিল। এরপর তাদের যৌন আচরণ পরীক্ষা করা হয়। দূষণে বসবাসকারী পুরুষ মাছিরা বুঝতেই পারছিল না তাদের সামনে পুরুষ মাছি আছে না কি স্ত্রী মাছি।

এমন চলতে থাকলে মাছিরা বিলুপ্তির পথে যেতে আর বেশি সময় বাকি নেই। আর যদি পৃথিবীতে থেকে মাছিরা হারিয়ে যায়, তাহলে ঘোর বিপদ নেমে আসবে সম্পূর্ণ পতঙ্গকূলে।