ছোটবেলার ভুগোল বইতে পড়া নবগ্রহের নাম নিশ্চয়ই মনে আছে। অর্থাৎ বুধ, শুক্র, পৃথিবী, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি, ইউরেনাস, নেপচুন ও সর্বশেষ প্লুটো। এর থেকে যদি একটাও হঠাৎই হারিয়ে যায়? তাহলে ঠিক কী কী ঘটতে পারে গোটা সৌর জগতে? এবার আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, হঠাৎ করে একটা গ্রহ হারিয়ে যাবেই বা কেন? আমেরিকার মহাকাশ গবেষণা সংস্থা গত দুই দশক ধরে নয়টি গ্রহের উপর বিশেষভাবে নজর রেখেছে। আর সেই সময় থেকেই মঙ্গল গ্রহে প্রাণের আশা করছে বিজ্ঞানীরা। সম্প্রতি চিনও তার তিয়ানওয়েন মহাকাশযানের মাধ্যমে মঙ্গল গ্রহের উপর বিশেষ গবেষণা শুরু করেছে। আর সেই সব গবেষণা থেকেই উঠে এসেছে এক আশ্চর্যজনক তথ্য। আমেরিকান স্পেস এজেন্সির যন্ত্রগুলো বহু বছর ধরে গ্রহের পৃষ্ঠে এবং কক্ষপথে একটানা কাজ করছে। আর তার মাধ্যমেই NASA মঙ্গল গ্রহ সম্পর্কে নতুন তথ্য পেয়েছে। আর সেই তথ্য অনুযায়ী বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, ‘অদৃশ্য’ হতে চলেছে মঙ্গল গ্রহ।
মঙ্গল গ্রহের কোনও ‘অস্তিত্ব’ থাকবে না…
বিজ্ঞানীদের মতে, এটি সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছে না। তবে মাত্র দুই সপ্তাহের জন্য এটিকে দেখা যাবে না। এমনকী কোনওভাবে যোগাযোগও করা যাবে না। এমনটা ঘটবে সৌর সংযোগের কারণে। কী এই সৌর সংযোগ? সৌরজগতে প্রতি বছর সৌর সংযোগ ঘটে, এই সময়ে সূর্য, মঙ্গল এবং পৃথিবীর মধ্যে থাকে। আক এই কারণে দুটি গ্রহের মধ্যে একটি রেখা তৈরি হয়ে যায়, ফলে মঙ্গলের সঙ্গে পৃথিবীর কোনও যোগাযোগ থাকে না। পৃথিবীও মঙ্গলের কাছে অদৃশ্য হয়ে যায়। প্রায় দুই সপ্তাহের জন্য পৃথিবী এবং মঙ্গল গ্রহের মধ্যে কোনও যোগাযোগ থাকবে না। এর মানে, পৃথিবীর কাছে মঙ্গল গ্রহের কোনও অস্থিত্ব থাকবে না।
প্রতি দুই বছরে একবার হয়…
NASA-এর একটি রিপোর্ট অনুসারে, এই সৌর সংযোগটি চলবে 11 নভেম্বর থেকে 25 নভেম্বর। প্রতি দুই বছরে একবার হয়, এই সময়ে মঙ্গল গ্রহের সঙ্গে মহাকাশ সংস্থার সংযোগ বা তার কক্ষপথে থাকা যে কোনও মহাকাশযানের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।