সূর্যের দিকে এগোচ্ছে সুবিশাল ধূমকেতু, পৃথিবী থেকে দেখা যাবে ২০৩১ সালে, জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sohini chakrabarty

Jun 30, 2021 | 6:24 PM

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে প্রথম ডার্ক এনার্জি ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল এই ধূমকেতুর ঝলক। এই ধূমকেতু বা কমেটের নাম Comet C/2014 UN271।

সূর্যের দিকে এগোচ্ছে সুবিশাল ধূমকেতু, পৃথিবী থেকে দেখা যাবে ২০৩১ সালে, জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা
ছবি প্রতীকী

Follow Us

ধূমকেতু, এই নামের সঙ্গেই জড়িয়ে রয়েছে কত না জানা রহস্য। সম্প্রতি আমাদের সৌর জগতে নতুন একটি ধূমকেতুর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এর আগে এরকম ধূমকেতু কেউ কখনও দেখেননি। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বিশ্বাস করেন সৌর জগতের সবচেয়ে দূরের জায়গা হল Oort Cloud। আপাতত জানা গিয়েছে, এই ধূমকেতু আসলে সেখানকার। প্রাথমিক ভাবে অত্যন্ত ক্ষুদ্র অবস্থায় এই ধূমকেতু জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের নজরে এসেছিল। চিলিতে রয়েছে Cerro Tololo Inter-American Observatory। আর সেখানে রয়েছে একটি Dark Energy Camera। অত্যাধুনিক এই ক্যামেরাতেই ধরা পড়েছিল একটি আর্কাইভাল ইমেজ, যেখানে একটি ছোট্ট মুভিং অর্থাৎ নড়াচড়া করা ‘ডট’ চোখে পড়েছিল বিজ্ঞানীদের।

বর্তমানে এই ধূমকেতুর নামকরণ করা হয়েছে। এখন এই ধূমকেতু বা কমেটের নাম Comet C/2014 UN271। একে আবার এর আবিষ্কর্তাদের নাম অনুসারেও চিহ্নিত করা হয়। সেক্ষেত্রে এই ধূমকেতুর আর একটি নাম Bernardinelli-Bernstein। পেনসিলভেনিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্র্যাজুয়েট পড়ুয়া Pedro Bernardinelli এবং জ্যোতির্বিদ Gary Bernstein প্রথম এই ধূমকেতু আবিষ্কার করেছিলেন। Pedro Bernardinelli বিভিন্ন অঙ্ক কষে জানিয়েছেন, এই ধূমকেতুর dusty এবং icy নিউক্লিয়াস প্রায় ৬২ থেকে ১২৫ মাইল লম্বা। সেই সঙ্গে এও অনুমান করা হয়েছে যে এই ধূমকেতু প্রায় ১০০ কিলোমিটার চওড়া।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের অনুমান, ২০৩১ সালের ২৩ জুন এই ধূমকেতু সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি পৌঁছবে। আপাতত সূর্যের দিকে ধাবিত হচ্ছে এই ধূমকেতু। উক্ত সময়ে সূর্যের সবচেয়ে কাছাকাছি পৌঁছবে সে। সবচেয়ে সুখবর যেতা বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন তা হল, যাঁদের কাছে ভাল টেলিস্কোপ রয়েছে, তাঁরা পৃথিবীতে বসেই এই ধূমকেতুকে দেখতে পাবেন। আপাতত স্যাটার্ন বা শনি গ্রহের অরবিটের বাইরে রয়েছে এর অবস্থান। অর্থাৎ পৃথিবী থেকে সূর্যের যা দূরত্ব, তার ১০.৯৫ গুণ বেশি দূরত্ব রয়েছে এখন রয়েছে এই ধূমকেতু।

জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, ২০১৪ সালে প্রথম ডার্ক এনার্জি ক্যামেরায় ধরা পড়েছিল এই ধূমকেতুর ঝলক। এরপর থেকেই Bernardinelli এবং Bernsteinএই ধূমকেতু নিয়ে গবেষণা শুরু করেন। গবেষণা করে বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, নিজের কক্ষপথে সম্পূর্ণ করতে এই ধূমকেতুর সময় লাগবে প্রায় ৫.৫ মিলিয়ন বছর।

আরও পড়ুন- Hubble Telescope: সহজে মিটবে না টেলিস্কোপের কম্পিউটারের সমস্যা, জানিয়েছে নাসা

Next Article