Squirrel Fossil: সোনা খনন করতে গিয়ে 30,000 বছরের পুরনো কাঠবেড়ালির মমি উদ্ধার করলেন শ্রমিকরা

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়

Apr 14, 2023 | 9:26 PM

Mummified Old Squirrel: কানাডায় উদ্ধার করা এই 'ফসিল বল'-এর নখর ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পশমের ছিল। বিজ্ঞানীরা পরবর্তীতে জানতে পারেন, এটি আসলে একটি মমি করা কাঠবেড়ালি। প্রায় 30,000 বছর আগে হাইবেরনেশনের সময় এটি মারা গিয়েছিল।

Squirrel Fossil: সোনা খনন করতে গিয়ে 30,000 বছরের পুরনো কাঠবেড়ালির মমি উদ্ধার করলেন শ্রমিকরা
বহু বছরের পুরনো কাঠবেড়ালির মমি উদ্ধার।

Follow Us

30,000 Year Old Squirrel: খনি থেকে সোনা উদ্ধারে বেরিয়েছিলেন তাঁরা। কানাডার উত্তর পশ্চিম প্রান্তের সেই খনি শ্রমিকরা খুঁজে পেলেন অদ্ভুত এক জিনিস। বস্তুটি কিছুটা পাথরের মতো, তবে তাতে চুলের মতো কিছুও ছিল। বিজ্ঞানীরা অনুসন্ধান করার পর জানতে পেরেছেন, এটি আসলে একটি বরফ যুগের জীব। প্রায় 30000 বছর আগে এটি পৃথিবীতে ছিল। কানাডায় উদ্ধার করা এই ‘ফসিল বল’-এর নখর ও অন্যান্য অঙ্গপ্রত্যঙ্গ পশমের ছিল। বিজ্ঞানীরা পরবর্তীতে জানতে পারেন, এটি আসলে একটি মমি করা কাঠবেড়ালি। প্রায় 30,000 বছর আগে হাইবেরনেশনের সময় এটি মারা গিয়েছিল।

2018 সালে কানাডার ইউকন টেরিটরির ক্লনডাইক গোল্ড ফিল্ডে খনি শ্রমিকদের দ্বারা আবিষ্কৃত হয়েছিল এই আদিম যুগের কাঠবেড়ালিটি। সম্প্রতি জানা গিয়েছে, এটি আসলে কী ছিল। বিজ্ঞানীরা অনুমান করছেন, এটি একটি আর্কটিক গ্রাউন্ড কাঠবেড়ালি, যার শরীর নিজে থেকেই মোচড় দিত। এরা আসলে অনেকটাই গোফারের মতো দেখতে। যে জায়গা থেকে এই মমির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, প্রায়শই সেখানে এখনও তাদের দেখা মেলে। বিজ্ঞানীরা মমির আকারে প্রাপ্ত এই কাঠবেড়ালির নাম দিয়েছেন হেস্টার। ওই জায়গাতেই কাঠবেড়ালির মমিটি উদ্ধার হয়েছিল।

Yukon Beringia Interpretive Centre-এর প্রতিনিধিরা বলছেন, “খুবই আশ্চর্যজনক বিষয় হল যে, কাঠবেড়ালিটি হাজার-হাজার বছর আগে এই এলাকায় বসবাস করত। এটি একটি অবিশ্বাস্য নমুনা, যা শীঘ্রই যাদুঘরে প্রদর্শিত হবে। গবেষকরা যখন প্রথম এটিকে খুঁজে পান, তখন তাঁরা বুঝতেও পারেননি যে এটি কাঠবেড়ালি।” ইউকন সরকারের জীবাশ্মবিদ গ্রান্ট জ়াজু়লা বলছেন, “যতক্ষণ না পর্যন্ত আপনি এই প্রাণীটির পাঞ্জা, লেজ, কান-সহ অন্যান্য জিনিসগুলি দেখছেন, ততক্ষণ এটিকে চিনতে পারবেন না।”

গবেষকরা বিশ্বাস করেন যে, হাইবারনেশনে থাকার সময় মারা গিয়েছিল হেস্টার। আর্কটিক গ্রাউন্ড কাঠবেড়ালিরা তাদের দেহকে মাটির নিচে নিজেদের কুঁচকে রাখে এবং হাইবারনেট করে। সেখানেই তারা পাতার বাসা বানায়। এই কাঠবেড়ালির শরীর একসঙ্গে পেঁচানো অবস্থায় রয়েছে এবং গবেষকরা সেটি খুলতে চান না।

কিন্তু কেন তাঁরা ওই মমিটিকে খুলতে চান না? তাঁরা বিশ্বাস করেন, এমনটা করলে ক্ষতি হবে। এই জীবাশ্মটি এক্স-রে করা হয়েছিল। সেই এক্স-রে-তে দেখা গিয়েছিল, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে তাদের শরীর থেকে ক্যালসিয়াম বেরিয়ে গিয়েছে এবং তার ফলে হাড়ের ক্ষয় হয়েছে। যেখানে পাওয়ার কথা ছিল, ঠিক সেখানেই মমি করা প্রাণীগুলো পাওয়া গিয়েছে। 2022 সালে এখান থেকে একটি শিশু ম্যামথও পাওয়া গিয়েছিল, যার বয়স 30 হাজার বছর।

Next Article