Diamond Within Diamond: হিরের ভিতর আর একটা হিরে! সুরাটের কারখানায় বিরাট আবিষ্কার, বিশ্বের বিরলতম পাথর

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়

Apr 15, 2023 | 9:56 PM

Diamond Within Diamond In Surat: 2022 সালের অক্টোবর মাসে ভি ডি গ্লোবাল নামের ওই ফার্মটি এহেন হিরে আবিষ্কার করেছিল। 0.329 ক্যারটের ডি-কালার্ড এই পাথরটি খুঁজে পাওয়ার পর সংস্থার তরফ থেকে এর নাম দেওয়া হয়, 'বিটিং হার্ট'।

Diamond Within Diamond: হিরের ভিতর আর একটা হিরে! সুরাটের কারখানায় বিরাট আবিষ্কার, বিশ্বের বিরলতম পাথর
হিরের টুকরো হিরে!

Follow Us

Rare Diamond: হিরের ভিতরে আরও একটা হিরে! সম্প্রতি সুরাটের একটি ফার্ম এই ব্যতিক্রমী আবিষ্কারটি করেছে। সেখানেই অভূতপূর্ব ভাবে একটি হিরের ভিতরে আর একটি হিরে দেখা গিয়েছে। 2022 সালের অক্টোবর মাসে ভি ডি গ্লোবাল নামের ওই ফার্মটি এহেন হিরে আবিষ্কার করেছিল। 0.329 ক্যারটের ডি-কালার্ড এই পাথরটি খুঁজে পাওয়ার পর সংস্থার তরফ থেকে এর নাম দেওয়া হয়, ‘বিটিং হার্ট’।

এই হিরেটি সত্যিই দেখার মতো। আপনি একবার দেখলে চোখ ফেরাতে পারবেন না। ওই ফার্মের বর্ণনা অনুযায়ী, একটি হিরের গহ্বরের ভিতরে আর একটি ছোট্ট হিরে। গবেষকরা দাবি করছেন, হিরের সন্ধানের ক্ষেত্রে এই পাথরটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এটিকে বিরলতম হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে তাঁরা জানিয়েছেন। এই রুক্ষ পাথরটি আসলে একটি পার্সেলের অংশ ছিল,যা সুরাটের ওই ফার্ম সন্ধান পেয়েছিল।

যিনি এই পাথরটিকে প্রথম খুঁজে পান, তাঁর অনুভূতিটা ছিল ‘বিটিং হার্ট’-এর মতোই। অসামান্য পাথর প্রথম দর্শনের অনুভূতি থেকেই তিনি পাথরটিকে ‘বিটিং হার্ট’ নামকরণের পরামর্শ দেন। ভি ডি গ্লোবাল নামক ওই সংস্থার চেয়ারম্যান বল্লভ বঘাসিয়া বলছেন, “সুরাটে আমাদের ফ্যাক্টরিতেই এই হিরের টুকরোটির সন্ধান পাই। এর ভিতরে খুব সুন্দর ভাবে ছোট্ট আর একটি হিরের টুকরো রয়েছে। আগে এরকম হিরে আমরা কখনও দেখিনি।”

সংবাদ মাধ্যম টাইমস অফ ইন্ডিয়ার কাছে বল্লভ বঘাসিয়া বলছেন, “প্রাথমিক ভাবে এই পাথরটি দেখার পর আমাদের যে অনুভূতি হয়েছিল, তা থেকেই এর নাম রাখা হয়েছে বিটিং হার্ট।” VDG হল একটি হিরে প্রস্তুতকারক সংস্থা, যারা মূলত সুরাট এবং মুম্বই থেকে কাজ করে। সংস্থাটি তাদের ব্যবসা বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তেই ছড়িয়ে দিয়েছে এর মধ্যে। ভি ডি গ্লোবালের তরফ থেকে এই পাথরটিকে পরবর্তীতে বিশ্লেষণের জন্য ব্রিটেনের মেইডেনহেডের একটি কারখানায় পাঠানো হয়েছিল।

হিরে আসল নাকি নকল, তা পরীক্ষা করার জন্য অপটিক্যাল এবং স্ক্যানিং ইলেক্ট্রন মাইক্রোস্কোপি করা হয়েছিল। তারপরই ডি বিয়ার্স ইনস্টিটিউট অফ ডায়মন্ড এই হিরের আবিষ্কারের ঘোষণা করেছে। তারা জানিয়েছে, ‘বিটিং হার্ট’ কোনও বিরল হিরের অংশ নয় যার মধ্যে ম্যাট্রিওশকা অন্তর্ভুক্ত ছিল। এটি আসলে রাশিয়ার সাইবেরিয়ায় আবিষ্কার করা প্রথম হিরেগুলির মধ্যে একটি।

Next Article