আগামী নভেম্বর মাসে নতুন মিশন লঞ্চ করতে চলেছে মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসা। তাদের লক্ষ্য হল একটি গ্রহাণুকে আঘাত করা। জানা গিয়েছে, এই গ্রহাণু পৃথিবীর জন্য ক্রমশ ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি করছে। নাসার এই নতুন মিশনের নাম Double Asteroid Redirection Test (DART)। পৃথিবীর দিকে ধাবমান একটি গ্রহাণু যাতে পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে বড়সড় ক্ষতি করতে না পারে, সেজন্য এই গ্রহাণুকে আঘাত করে ধ্বংস করার জন্যই নাসা নতুন DART মিশন চালু করতে চলেছে।
জানা গিয়েছে, নাসার এই DART মিশন ২৩ নভেম্বর শুরু হতে চলেছে। ক্যালিফোর্নিয়ার ভ্যান্ডেনবার্গ স্পেস ফোর্স বেস থেকে একটি স্পেস এক্স ফ্যালকন ৯ রকেট উৎক্ষেপণ করা হবে। এর সাহায্যেই লঞ্চ করা হবে DART। এই রকেটের উৎক্ষেপণ লাইভ দেখানো হবে নাসা টিভি, নাসা অ্যাপ এবং নাসার অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে। এছাড়া মার্কিং স্পেস এজেন্সি এই ইভেন্টের মিডিয়া কভারেজের জন্য আহ্বান জানিয়েছে।
DART নাসার kinetic impactor technique- এর প্রথম প্রদর্শনী হতে চলেছে, যেখানে একটি বা তার চেয়ে বেশি সংখ্যক হাই-স্পিড এয়ারক্র্যাফট পাঠানো হয়। মূলত পৃথিবীর থেকে আগত কোন অবজেক্টের গতিপথের মাঝখানে এই এয়ারক্র্যাফট পাঠানো হয়। পৃথিবীর দিকে ধাবমান বস্তুর পথ আটকাতেই এই হাই-স্পিড এয়ারক্র্যাফট পাঠানো হবে নাসার DART মিশনের মাধ্যমে। এর ফলে ওই বস্তুর গতিপথ পরিবর্তন হতে পারে এবং পৃথিবীর সঙ্গে সংঘর্ষ এড়ানো সম্ভব হবে। জানা গিয়েছে, DART হল একটি গ্রহের প্রতিরক্ষা পরিচালিত প্রযুক্তির পরীক্ষা।
লঞ্চ ভেহিকেল থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার পর DART এক বছরের বেশি সময় ধরে মহাকাশেই ঘুরবে। তারপর ২০২২ সালের সেপ্টেম্বর মাসের শেষদিকে Didymos moonlet- কে বাধা দেবে এই DART। এই সময় Didymos system পৃথিবী থেকে ৬.৮ মিলিয়ন মাইল অর্থাৎ ১১ মিলিয়ন কিলোমিটার দূরে থাকবে। জানা গিয়েছে, এই Didymos হল একটি বাইনারি গ্রহাণু। এর প্রাথমিক বডি সেকেন্ডারি বডি থেকে ২৫৫৯ ফুট দূরে রয়েছে। এই সেকেন্ডারি বডিকেই বলে moonlet। এর সাইজ ৫২৫ ফুট। এই moonlet- ই আসলে পৃথিবীর জন্য বেশি ক্ষতিকর। এছাড়াও DART- এর মধ্যে থাকবে একটি অনবোর্ড ক্যামেরা DRACO।
আরও পড়ুন- Movie in Space: মহাকাশে সিনেমার শুটিং! পাড়ি দিলেন পরিচালক-অভিনেত্রী