Plastic Alternative: প্লাস্টিকের অনবদ্য বিকল্প নিয়ে এলেন বিজ্ঞানীরা, উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাদ্য মোড়ক, ধুয়ে মুছে প্রতিদিন ব্যবহার করা যাবে

Antimicrobial Plant Based Coating: প্লাস্টিক দূষণের মাত্রা কমিয়ে এ বিশ্বকে আমরা শিশুর বাসযোগ্য করে তুলতে পারব? প্লাস্টিকের ব্যবহারই বা কমাবো কীভাবে? উত্তরটা এখন রুটজার্স বিশ্ববিদ্যালয় এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের জানা।

Plastic Alternative: প্লাস্টিকের অনবদ্য বিকল্প নিয়ে এলেন বিজ্ঞানীরা, উদ্ভিদ-ভিত্তিক খাদ্য মোড়ক, ধুয়ে মুছে প্রতিদিন ব্যবহার করা যাবে
প্রতীকী ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 21, 2022 | 10:44 PM

দেশে প্লাস্টিকের (Plastic) ব্যবহারে যেন কোনও ভাবেই লাগাম পরানো যাচ্ছে না। অগত্যা ভাবতে হচ্ছে, বিকল্প উপায় সম্পর্কে। মাত্রাতিরিক্ত প্লাস্টিকের ব্যবহার আর তা থেকে উদ্ভূত দূষণ শুধু ভারতের সমস্যা নয়। এ সমস্যা সারা বিশ্বের। তাহলে কীভাবে আমরা শিশুকে এই পৃথিবীর বাসযোগ্য করে তুলব? প্লাস্টিকের ব্যবহার রোধে সম্ভাব্য সবথেকে বড় সমাধানসূত্র নিয়ে এসেছেন রুটজার্স বিশ্ববিদ্যালয় এবং হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। একটি বিশেষ অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল উদ্ভিদ-ভিত্তিক আবরণ (Antimicrobial Plant Based Coating) তৈরি করেছেন তাঁরা, যা সম্পূর্ণরূপে প্লাস্টিকের ব্যবহার প্রতিস্থাপন করতে পারে।

এই পদ্ধতিতে আপনার খাবারের চারপাশে আবৃত করা প্লাস্টিক বিকল্পটি আসলে বায়োপলিমার এবং পলিস্যাকারাইডের উপরে ভিত্তি করে ফাইবার স্প্রে-র বিষয়টি সম্পর্কিত। মোড়ানোর প্রক্রিয়াটিতে এমনই একটি ডিভাইস ব্যবহৃত হয় যা অনেকটাই ‘সঙ্কুচিত মোড়ানো’ পণ্যের মতো এবং হেয়ার ড্রায়ারের থেকে খুব একটা আলাদা নয়।

আবরণটি লিস্টেরিয়া এবং ইকোলির মতো ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়াগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করতে সক্ষম। তার কারণ হল খাদ্যকে ঢেকে রাখা নতুন ফাইবারগুলি প্রাকৃতিক ভাবে ঘটতে থাকা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান – থাইম তেল, সাইট্রিক অ্যাসিড এবং নিসিন দ্বারা সজ্জিত।

অ্যাভোকাডোতে এই অভিনব আবরণ পরীক্ষা করে তার জীবন প্রায় 50 শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। যেহেতু আবরণটি প্লাস্টিক নয়, তাই এটি থেকে মাত্র তিন দিনের মধ্যে জীবাণু বিয়োজিত হয়ে যায়। শুধু তাই নয়। এই আবরণটি জল দিয়ে সম্পূর্ণ ভাবে ধুয়েও ফেলা যেতে পারে। অর্থাৎ আপনি যদি একদিন ব্যবহার করেন, পরের দিন আবার এটি ধুয়ে মুছে সাফ করে পুনরায় ব্যবহার করতে পারবেন।

সবথেকে আশাব্যজ্ঞক দিকটি হল, এই প্লাস্টিক বিকল্প যে শুধু মাত্র বিভিন্ন জিনিস বা খাবারদাবার আবৃত করার কাজে ব্যবহৃত হবে, এমনটা নয়। গবেষকরা এটিকে সেন্সর হিসেবে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন স্মার্ট উপকরণের প্রোগ্রামিং করতে পারবেন। ব্যাকটেরিয়া স্ট্রেনগুলিকে সক্রিয় এবং ধ্বংস করতে পারেন, যাতে খাদ্য কোনও রকম ক্ষতি না করতে পারে। আর সেই কারণেই এটি খাদ্য-জনিত অসুস্থতার নানাবিধ দিকগুলিকে মোকাবিলা করার পাশাপাশি খাবার নষ্ট হওয়ার ঘটনা কমাতেও সাহায্য করবে।

তবে এই ধরনের প্যাকেজিং সারা বিশ্ব কবে নাগাদ ব্যবহার করবে, তা নিয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি। তার থেকেও বড় কথা এমন প্যাকেজিং বিপুল পরিমাণে কীভাবে তৈরি করা সম্ভব, তারও কোনও সদুত্তর এখনও পর্যন্ত মেলেনি।