Real Telekinesis: মন দিয়ে যে কোনও বস্তু সরাতে পারবেন! কাল্পনিক দুনিয়ার টেলিকাইনেসিস এবার বাস্তবে, আপনার হাতের মুঠোয়…

Telekinesis Like Capabilities In Real World: চোখের সামনে যে বস্তুই দেখছেন, মন থেকে তা সরাতে পারবেন। কাল্পনিক দুনিয়ার টেলিকাইনেসিস এবার বাস্তবসম্মত হতে চলেছে। কীভাবে তা সম্ভব, এখনই জেনে নিন।

Real Telekinesis: মন দিয়ে যে কোনও বস্তু সরাতে পারবেন! কাল্পনিক দুনিয়ার টেলিকাইনেসিস এবার বাস্তবে, আপনার হাতের মুঠোয়...
ঠিক এভাবেই চোখের সামনে থেকে কোকের ক্যান দুমড়ে-মুচড়ে দিতে পারবেন আপনি এবং আপনার মন! প্রতীকী ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 16, 2022 | 10:24 PM

যেমনটা ভাবছেন, আপনার চোখের সামনের জিনিসগুলিকে সেই ভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন। এই ধরুন, চোখের সামনে একটা কোক ক্যান দেখলেন, আর ভাবলেন সেটিকে দুমড়ে-মুচড়ে দেবেন। সঙ্গে সঙ্গে তা করেও ফেললেন। এতো আমরা সায়েন্স ফিকশন বা ফ্যান্টাসি মুভিতে দেখে থাকি। মাইন্ড কন্ট্রোল বা টেলিকাইনেসিস (Telekinesis) যে কতটা শক্তিশালী হতে পারে, অবাস্তব আজগুবি ছবি থেকে তা আমাদের জানা। কিন্তু তা যে কল্পনার দুনিয়ায় সীমাবদ্ধ, তাহলে এখন আলোচনা করা মানেটা কী? মানে আছে, নিশ্চয়ই আছে। টেলিকাইনেসিস এবার বাস্তবসম্মত হতে চলেছে। অর্থাৎ এবার আপনি সত্যি করে আপনার চোখের সামনের কোনও বস্তুকে নিজের ইচ্ছে মতো ঘোরাতে বা যা খুশি করতে পারবেন। বিজ্ঞান বিষয়ক সংবাদমাধ্যম সাইটেকডেইলি-র একটি রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, এয়ার ফোর্স ইঞ্জিনিয়ারিং ইউনিভার্সিটি এবং দ্য ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অফ সিঙ্গাপুর এমনই প্রযুক্তি ডেভেলপ করেছে, যা সত্যিই টেলিকাইনেসিস-কে বাস্তবসম্মত করতে চলেছে।

যদিও টেলিকাইনেসিস সাধারণ ভাবে কাল্পনিক বিষয় হলেও গবেষকরা একটি প্রযুক্তির উপর কাজ করছেন, যাকে পোশাকি ভাষায় মেটাম্যাটেরিয়ালস বলা যেতে পারে। এর অসাধারণ বৈশিষ্ট্যের কারণে গবেষকদের কৃত্রিম উপকরণ ডিজাইন করা, উন্নত কার্যকরী উপকরণগুলিতে শক্তি এবং কার্যকলাপ প্রয়োগ করার একটি অভিনব ধারণা প্রদান করেছে।

একটা বিষয় ইতিমধ্যে প্রতিষ্ঠিত যে, একটি মানুষের মস্তিষ্ক চিন্তা করার সময় তার নিজস্ব ব্রেনওয়েভ তৈরি করে। গবেষকরা তত্ত্ব দিয়েছেন যে, এই মস্তিষ্কের তরঙ্গগুলি সংগ্রহ করে এবং তাদের মেটাসারফেসের নিয়ন্ত্রণ সংকেত হিসেবে ব্যবহার করে কেবল মাত্র মন দিয়েই মেটাসারফেসগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, বাস্তবের টেলিকাইনেসিসের অগ্রগতি সম্ভব হয়েছে ব্লুটুথ ব্যবহারের মাধ্যমে। গবেষকরা ব্লুটুথের মাধ্যমে ব্যবহারকারী থেকে কন্ট্রোলারে বেতার মাধ্যমে মস্তিষ্কের তরঙ্গ পরিচালনা করতে সক্ষম হন। শেষ লক্ষ্য ছিল, প্রোগ্রামেবল মেটাসারফেসে ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক তরঙ্গের প্রতিক্রিয়া নিয়ন্ত্রণ করতে পরীক্ষার বিষয়ের ব্রেনওয়েভগুলি ব্যবহার করা। অবশেষে, তাঁরা আবিষ্কার করতে সক্ষম হয়েছেন যে, ব্যবহারকারী নির্বিঘ্নে বিক্ষিপ্ত বিষয় নিয়ন্ত্রণ করতে পারে।

পরবর্তী তদন্তে ইঙ্গিত দেওয়া হয় যে, ব্যবহারকারীর মস্তিষ্কের তরঙ্গ সরাসরি ফলাফলকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং একটি ভাল নিয়ন্ত্রণ ও সুইচ রেট অফার করে। যার ফলে তাদের মডেলটি অস্তিত্বে থাকা সবচেয়ে উন্নত একটি মডেল হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। যদিও গবেষকরা এখনও প্রক্রিয়াটিকে আরও অপ্টিমাইজ করার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন।

উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে, কোনও জিনিসের সঠিকতা আরও নিখুঁত করার জন্য এর ডিজাইনের উপর কাজ করা যেতে পারে। গবেষকরা এটিকে আরও দক্ষ এবং নির্ভুল করতে বুদ্ধিমান অ্যালগরিদমের সঙ্গে নতুন মডেলটিকে ফিউজ করতেও কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। প্রযুক্তিটি 5G/6G যোগাযোগ, স্বাস্থ্য খাত এবং অন্যান্যদের মধ্যে স্মার্ট সেন্সরগুলির জন্যও গ্রহণ করা যেতে পারে।