AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Chandrayaan-3 Landing: চন্দ্রযানকে কেন সন্ধ্যাবেলা চাঁদের মাটিতে নামানো হবে? অন্ধকারে অবতরণের কারণ জানাল ISRO

Chandrayaan-3 Landing In Evening: চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে তাপমাত্রা মাইনাস 238 ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছবে। এত কম তাপমাত্রায় মেশিন ঠিক মতো কাজ করবে না, একথা আগেই জানিয়েছিলেন ISRO-র বিজ্ঞানীরা। সেক্ষেত্রে কীভাবে এই ল্যান্ডার ও রোভার কাজ করবে? তবে কি সুর্যের আলোর অপেক্ষায় থাকতে হবে ল্যান্ডার ও রোভারকে?

Chandrayaan-3 Landing: চন্দ্রযানকে কেন সন্ধ্যাবেলা চাঁদের মাটিতে নামানো হবে? অন্ধকারে অবতরণের কারণ জানাল ISRO
| Edited By: | Updated on: Aug 22, 2023 | 2:43 PM
Share

চন্দ্রযান-3 যত চাঁদের দিকে এদিয়ে চলেছে, ততই এক এক করে প্রশ্নের বাসা বাঁধছে দেশবাসীর মনে। চন্দ্রযান-3-এর ল্যান্ডারটি 23 অগাস্ট, সন্ধে 6.04 নাগাদ চাঁদের মাটিতে নামতে চলেছে। যদিও এই কাজে সময় লাগবে। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে কেন সন্ধ্যায় ল্যান্ডিং করছে ইসরো? এটি কি অন্ধকারে চন্দ্র পৃষ্ঠে অবতরণ করতে পারবে? সব থেকে বড় কথা হল চন্দ্রযান-3-এর ল্যান্ডার ও রোভার সৌরশক্তিতে কাজ করে। আর সেটি কাজ করার জন্য সঠিক তাপমাত্রাও প্রয়োজন। সেই তাপমাত্রা রাতে থাকবে না চাঁদে। চন্দ্রযান-3-এর রোভার ও ল্যান্ডারকে একদিন চাঁদে থাকতে হবে। তারপর সেখানে আরও রাত হবে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুতে তাপমাত্রা মাইনাস 238 ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছবে। এত কম তাপমাত্রায় মেশিন ঠিক মতো কাজ করবে না, একথা আগেই জানিয়েছিলেন ISRO-র বিজ্ঞানীরা। সেক্ষেত্রে কীভাবে এই ল্যান্ডার ও রোভার কাজ করবে? তবে কি সুর্যের আলোর অপেক্ষায় থাকতে হবে ল্যান্ডার ও রোভারকে?

আসল কারণ হলো পৃথিবীতে অবতরণের সময় সন্ধ্যা। আর সেই সময় অনুযায়ী চাঁদে অবতরণ করবে বিক্রম ল্যান্ডার। তখন সেখানে সূর্য উঠবে। অর্থাৎ চাঁদে দিয়ে সৌরশক্তির একটুও অভাব অনুভব করবে না ল্যান্ডারটি। তাছাড়াও ল্যান্ডারটি সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয়। নামার জায়গা সে নিজেই সঠিক জায়গা খুঁজে নেবে। তারপরে সেখানে অবতরণ করবে।

ISRO প্রধান ড. এস. সোমনাথ জানান, “যে সময়ে আমরা চন্দ্রপৃষ্ঠে বিক্রম ল্যান্ডার অবতরণ করছি। সেই সময় পৃথিবীতে সন্ধ্যা হবে। কিন্তু চাঁদে সূর্য উঠবে। এমনটা করা হচ্ছে, যাতে ল্যান্ডারটির যতটা শক্তি দরকার, ততটা সূর্যের আলো থেকে পায়। ফলে সে সব বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা ঠিকমতো করতে পারবে।”

সূর্যের আলোতে চলবে বিক্রম ল্যান্ডার-রোভার:

বিক্রম ল্যান্ডার এবং প্রজ্ঞান রোভার এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে তারা সূর্যের আলো থেকে শক্তি নিয়ে চাঁদে একটি দিন কাটাতে পারে। চাঁদের একদিন পৃথিবীর 14 দিনের সমান। কারণ সূর্য অস্ত যাওয়ার পর ল্যান্ডার ও রোভার শক্তি পাবে না। তারা কাজ বন্ধ করে দেবে। ISRO-এর মতে, ল্যান্ডার এবং রোভারের ব্যাটারিগুলি চার্জ করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে সৌরশক্তি প্রোয়জন। যদি চাঁদে একদিন থাকার পরে সেটি কাজ করা বন্ধও করে দেয়। আবার সূর্য উঠলে তা থেকে শক্তি নিয়ে কাজ শুরু করবে।