শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়
টলিউডে অত্যন্ত মিষ্টি মুখ যাঁর, সেই অভিনেত্রীর নাম শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়। মেকআপ নিয়ে এবং মেকআপ ছাড়া যে অভিনেত্রীকে একই রকম সুন্দরী দেখতে লাগে, তিনি নিঃসন্দেহেই শ্রাবন্তী—এ কথা একবাক্যে স্বীকার করবেন অনেকেই। ১৯৮৭ সালের ১৩ অগস্ট জন্ম হয় শ্রাবন্তীর। খুব অল্প বয়সে অভিনয়ে হাতেখড়ি। অভিনেতা প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন সেই শিশু বয়সেই। তারপর ধীরে-ধীরে নায়িকা হিসেবে নিজেকে গড়ে তুলেছেন এই অভিনেত্রী। হয়ে উঠেছেন বাংলা বাণিজ্যিক ছবির এক দুর্দান্ত তারকা। ১৯৯৭ সালে ‘মায়ার বাঁধন’ ছবিতে আত্মপ্রকাশ শ্রাবন্তীর। সেই ছবিতেই তাঁকে শিশুশিল্পী হিসেবে দেখা যায়। তারপর ৬ বছর কেটে যাওয়ার পর ২০০৩ সালে ‘চ্যাম্পিয়ন’ ছবিতে তাঁর আগমন ঘটে নায়িকা হিসেবে। ৫ বছর পর ‘ভালবাসা, ভালবাসা’ ছবিতে আরও বেশি জনপ্রিয়তা লাভ করেন শ্রাবন্তী। কাজ করেন ‘দুজনে’, ‘ওয়ান্টেড’, ‘অমানুষ’, ‘জোশ’, ‘সে দিন দেখা হয়েছিল’, ‘ফাইটার’, ‘কানামাছি’র মতো আদ্য়ন্ত বাণিজ্যিক ছবিতে। কেবল বাণিজ্যিক ছবিতে নয়, শ্রাবন্তীকে দেখা যায় প্য়ারালাল ছবিতেও। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য পরিচালক অপর্ণা সেনের ‘গয়নার বাক্স’। সেই ছবিতে শ্রাবন্তীর কাজ দারুণ সমাদৃত হয়েছিল। কেবল ‘গয়নার বাক্স’ নয়, অভিনেতা-প্রয়োজক-সাংসদ দেবের সঙ্গে তাঁর ‘বুনোহাঁস’-এ অভিনয় সকলের নজর কেড়েছিল। তারপর ‘টেকো’, ‘কাবেরী অন্তর্ধান রহস্য’, ‘ছবিয়াল’-এর মতো ছবিতে অভিনয় করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন শ্রাবন্তী। অভিনয়ের সঙ্গে সঙ্গে, রাজনীতির ময়দানেও নাম লিখিয়েছেন শ্রাবন্তী। ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) হয়ে লড়েছিলেন বেহালা পশ্চিম কেন্দ্র থেকে। তৃণমূল প্রার্থী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ভোটের ময়দানে ৫০,৮৮৪ ভোটে হেরেছিলেন শ্রাবন্তী। ভোট শেষ হওয়ার পর সেই একই বছর ১১ নভেম্বর বিজেপি ছাড়েন অভিনেত্রী। এ ছাড়াও, শ্রাবন্তীর ব্যক্তজীবনও বেশ বর্ণময়। ছোট বয়সে পরিচালক রাজীব বিশ্বাসকে বিয়ে করেছিলেন। এক পুত্র সন্তানও আছে তাঁদের। রাজীবের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদের পর অবাঙালি মডেল কৃষ্ণব্রজকে বিয়ে করে এক বছরের মাথায় ডিভোর্স হয়। তারপর বিমানকর্মী পঞ্জাবি ব্য়ক্তি রোশন সিংকে বিয়ে করেছিলেন। সেই বিয়ে স্থায়ী হয়নি।