Howrah Hooching Case: ৩০-৪০ বছর ধরে বিষমদের কারবার! লাগাতার মৃত্যুতে ঘুম ভাঙবে প্রশাসনের?
হাওড়ায় গত ৩০-৪০ বছর যাবৎ বিষমদের কারবার করছে প্রতাপ কর্মকার। আর বছরের পর বছর ধরে নেশায় 'ডুবছেন' এলাকার যুবকরা, দাবি এলাকাবাসীর। প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের দ্বারস্থ হয়েও সুরাহা মেলেনি বলে দাবি বাসিন্দাদের।
হাওড়া: চলতি মাসে পরপর দু’বার বিষমদে মৃত্যু এ রাজ্যে। ভাটির বেআইনি মদের কারবারের বলি হচ্ছেন খেটে খাওয়া সাধারণ মানুষ। হাওড়া বিষমদকাণ্ডে মৃত্যু বেড়ে ১৩। আগেই মারা গিয়েছিলেন ১০ জন, আজ ফের ৩ জনের মৃত্যুর খবরে চাঞ্চল্য গোটা রাজ্যে।
বিষমদ কারখানার মালিক প্রতাপ কর্মকারকে গ্রেফতার করা হয়েছে, জানাচ্ছে পুলিশ। যদিও স্থানীয়দের দাবিতে রীতিমতো শোরগোল পড়ে গিয়েছে এলাকায়। এলাকাবাসীর দাবি, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তি নাকি বেআইনি কারখানার মালিকই নন! স্বাভাবিকভাবেই শহিদ দিবসের দিন বিষমদকাণ্ড ঘিরে তর্জা রাজনৈতিক ময়দানে। ‘মদ’কে হাতিয়ার করে লড়াইয়ের ময়দানে বিজেপি। ঘটনায় অসুস্থ ব্যক্তিদের দেখতে হাসপাতালে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
বিষমদকাণ্ডে রীতিমতো শোরগোল হাওড়ায়। ‘এটি একটি গণহত্যা, গোটা ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্য সরকার’, কটাক্ষ সুকান্ত মজুমদারের। ‘প্রত্যেকদিন প্রাণনাশের হুমকি আসছে। প্রতাপ ধরা পড়েনি, যে গ্রেফতার হয়েছে সে অন্য মানুষ’, দাবি স্থানীয় মহিলাদের।
সূত্রের খবর, হাওড়ায় গত ৩০-৪০ বছর যাবৎ বিষমদের কারবার করছে প্রতাপ কর্মকার। আর বছরের পর বছর ধরে নেশায় ‘ডুবছেন’ এলাকার যুবকরা, দাবি এলাকাবাসীর। প্রশাসন ও রাজনৈতিক দলের দ্বারস্থ হয়েও সুরাহা মেলেনি বলে দাবি বাসিন্দাদের। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতাদের মুখ টাকা দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছিল প্রতাপ, এমনই অভিযোগ আহতদের পরিবারের।
এই প্রশ্ন একটাই। যিনি গ্রেফতার হয়েছেন তিনি আসল অভিযুক্ত না হলে কোথায় লুকিয়ে কারখানার মালিক? কীভাবে বিষমদ কারখানা চালাতেন প্রতাপ? সব জেনেও কেন চুপ ছিলেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা? স্বভাবতই বিষমদে মৃত্যুর নেপথ্যে প্রশাসনকেই দুষছেন এলাকার একাংশ।