AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Balurghat News: প্রতিমা নিরঞ্জন আর ঝুঁকিপূর্ণ নয়

Balurghat News: প্রতিমা নিরঞ্জন আর ঝুঁকিপূর্ণ নয়

TV9 Bangla Digital

| Edited By: Moumita Das

Updated on: Sep 15, 2023 | 6:27 PM

Share

আর বিপদজনক ভাবে প্রতিমা নিরঞ্জন নয়। বালুরঘাট কল্যাণীঘাট বা সদর ঘাটে বসচ্ছে হাইড্রোলিক ট্রলি। যার মাধ্যমে খুব সহজেই করা যাবে প্রতিমা নিরঞ্জন বা বিসর্জন৷ বালুরঘাট পুরসভার উদ্যোগে এই হাইড্রোলিক ট্রলি বসানো হচ্ছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এবারে পুজোর আগেই শেষ হবে সেই কাজ।

আর বিপদজনক ভাবে প্রতিমা নিরঞ্জন নয়। বালুরঘাট কল্যাণীঘাট বা সদর ঘাটে বসচ্ছে হাইড্রোলিক ট্রলি। যার মাধ্যমে খুব সহজেই করা যাবে প্রতিমা নিরঞ্জন বা বিসর্জন৷ বালুরঘাট পুরসভার উদ্যোগে এই হাইড্রোলিক ট্রলি বসানো হচ্ছে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে এবারে পুজোর আগেই শেষ হবে সেই কাজ। এবং পুজোর প্রতিমা বিসর্জ্জন করা হবে হাইড্রোলিক ট্রলিতে করে। শুক্রবার দুপুরে বালুরঘাট কল্যাণীঘায়ে এই কাজের আনুষ্ঠানিক সূচনা করা হয়। যেখানে উপস্থিত ছিলেন বালুরঘাট পুরসভার পুরপ্রধান অশোক কুমার মিত্র, এমসিআইসি মহেশ পারখ ও অনোজ সরকার। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পুলিশ ও অন্যান্য দপ্তরের আধিকারিকরা। এই কাজের জন্য প্রায় সাড়ে ৩৩ লাখ টাকা বরাদ্দ করেছে বালুরঘাট পুরসভা। সম্ভবত উত্তরবঙ্গে এই প্রথম বালুরঘাটে হাইড্রোলিক ট্রলির মাধ্যমে প্রতিমা বিসর্জ্জন করা হবে বলেই বালুরঘাট পুরসভার দাবি৷ প্রত্যেক বছর শুধুমাত্র বালুরঘাট শহরেই একশোর বেশি পুজো অনুষ্ঠিত হয়৷ যার মধ্যে ক্লাবের পুজো, বারোয়ারী পুজো ও বাড়ির পুজো রয়েছে৷ শহরে পুলিশ অনুমোদিত ৯২ টি পুজো রয়েছে৷ যার বেশির ভাগই প্রতিমা নিরঞ্জন করা হয় বালুরঘাট শহরের কল্যাণীঘাট বা সদরঘাটে। প্রত্যেক বছর পুজোর পর এই ঘাটকে সাজিয়ে তোলে বালুরঘাট পুরসভা। আলো লাগানো হয় গোটা চত্বরে৷ পাশাপাশি মেডিকেল ক্যাম্প, পুলিশ প্রশাসন ও দমকলের ব্যবস্থা করা হয়৷ এতদিন পর্যন্ত প্রতিমা ট্রাক্টর করে এনে তা আত্রেয়ী নদীতে বিসর্জন করা হত৷ কড়া পুলিশি নজরদারিতে চলে বিসর্জন পর্ব। তবে এমন ভাবে বিসর্জন করতে গিয়ে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থেকেই যায়। সেই জায়গা থেকে বালুরঘাট পুরসভার এই উদ্যোগ। এর আগে কলকাতায় দেখা গেছে সুষ্ঠু ভাবে প্রতিমা নিরঞ্জন পক্রিয়া করার জন্য হাইড্রোলিক ট্রলি ব্যবহার করতে৷ এর ফলে খুব সহজেই প্রতিমা নিরঞ্জন করা যায়৷ এবং নদী দূষণ মুক্ত রাখা যায়। শুধুমাত্র প্রতিমাটি হাইড্রোলিক ট্রলির নির্দিষ্ট জায়গায় বসিয়ে দিতে হয়। তারপর তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে প্রতিমা নদীতে গিয়ে পড়ে৷ নদীতে প্রতিমা পড়ার সঙ্গে সঙ্গে সেটিকে তুলে ফেলা হয়। যাতে নদীতে দূষণ না ছড়ায়৷ এই পক্রিয়া প্রতিমা নিরঞ্জন বা বিসর্জন করলে কোন রকম অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে না। এবং খুব দ্রুত প্রতিমা নিরঞ্জন করা যায়। পুরসভা সূত্রে জানা গিয়েছে, বালুরঘাট কল্যাণীঘাটে একদম নীচে সিঁড়ি করা রয়েছে৷ তার অনেক উপর থেকে এই হাইড্রোলিক ট্রলি শুরু হবে এবং তা নদীর জলে গিয়ে শেষ হবে। প্রায় ৩০ – ৫০ ফুট লম্বা হবে এই হাইড্রোলিক ট্রলি। নীচের স্ট্রাকচার কংক্রিটের হবে। তার উপর বসবে হাইড্রোলিক ট্রলি। পুজোর সময় প্রতিমা বিসর্জ্জনের পর তা আবার খুলে রাখা হবে। তা না হলে বৃষ্টি জলে সেটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে৷ আবার পুজোর প্রতিমা বিসর্জ্জনের সময় সেটি লাগানো হবে। পুরসভার এমন উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন শহরবাসী থেকে পুজো উদ্যোক্তারা। এবিষয়ে বালুরঘাট পুরসভার পুর প্রধান অশোক কুমার মিত্র বলেন, বালুরঘাট সদরঘাট বা কল্যাণীঘাটে এই হাইড্রোলিক ট্রলি বসানো হচ্ছে৷ এর ফলে প্রতিমা খুব সহজেই বিসর্জন করা যাবে। এই পক্রিয়ায় প্রতিমা নিরঞ্জন করা হলে কোন রকম দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনাও খুব কম থাকবে। হিন্দুশাস্ত্র মেনেই প্রতিমা নিরঞ্জন করা হবে। তাই নদীর ঘাটে গিয়ে হাইড্রোলিক ট্রলিতে প্রতিমাকে সাত পাক ঘোরানো হবে। এবং তারপর বিসর্জন করা হবে। প্রতিমা নিরঞ্জন পক্রিয়া শেষ হলে হাইড্রোলিক ট্রলি খুলে আনা হবে৷ আজ থেকে এই হাইড্রোলিক ট্রলির কাজ শুরু হল। যা পুজোর আগে শেষ হবে বলেই প্রাথমিক ভাবে মনে করছেন। এবিষয়ে পুজো উদ্যোক্তা সৌভিক তরফদার বলেন, প্রতিমা নিরঞ্জনের সময় একটা ঝুঁকি থেকেই যায়৷ অনেক সময় সব রকম সাবধনতা অবলম্বনের পরও ঘটে যায় দুর্ঘটনা। হাইড্রোলিক ট্রলির মাধ্যমে প্রতিমা নিরঞ্জন করা গেলে তাতে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা খুব কম হবে। পাশাপাশি প্রতিমা নিরঞ্জনের জন্য অনেক শ্রমিক নিতে হয়৷ সেই অর্থও বাঁচবে। পুরসভার এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাই।