East Burdwan Bus News: ব্রেকফেল, আতঙ্ক, কোনওমতে বাঁচল বাস
বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পেল যাত্রী বোঝাই দক্ষিণবঙ্গ পরিবহন সংস্থার বাস। উড়ালপুল থেকে নামার সময় হঠাৎই বাসের ভিতর থেকে চালক ও যাত্রীদের চিৎকার, সামনে থেকে সরে যান, সরে যান। যাত্রীদের মধ্যে কেউ কেউ ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার করেন বাঁচাও বাঁচাও।
বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে রেহাই পেল যাত্রী বোঝাই দক্ষিণবঙ্গ পরিবহন সংস্থার বাস। উড়ালপুল থেকে নামার সময় হঠাৎই বাসের ভিতর থেকে চালক ও যাত্রীদের চিৎকার, সামনে থেকে সরে যান, সরে যান। যাত্রীদের মধ্যে কেউ কেউ ভয়ে আতঙ্কিত হয়ে চিৎকার করেন বাঁচাও বাঁচাও। উড়ালপুল থেকে নামার সময় বাসের গতি কমতে কমতে চালকের বুদ্ধিমত্তায় ডিভাইডারে ধাক্কা মারে বাসটি। সরকারি বাসটি ব্রেক ফেল করে সোজা ডিভাইডারে ধাক্কা না মারলে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটতো বলে জানান প্রত্যক্ষদর্শীরা। যদিও এই দুর্ঘটনায় কেউ আহত না হলেও কিছু ক্ষণের জন্য আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে বাসে থাকা যাত্রী ও পথ চলতি মানুষজনের মধ্যে। বৃহস্পতিবার দুর্ঘটনাটি ঘটে বর্ধমান স্টেশনে পাশে উড়ালপুলের নীচে জি টি রোডের জোড়া মন্দির এলাকায়।ধর্মতলা বর্ধমান রুটের এসবিএসটিসি বাসটি বর্ধমানের নবাবহাট বাস স্ট্যাণ্ডে যাবার পথে রেলওয়ে ওভারব্রিজ থেকে বাসটি নামার সময় ব্রেক ফেল হয়। বাসে ছিল প্রায় ২৫ থেকে ৩০ জন যাত্রী। দুর্ঘটনার পরেই বাসে থাকা যাত্রীরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বাসের চালক বুদ্ধি করে বাসটিকে নিয়ে গিয়ে ড্রিভাইডারে ধাক্কা মারে। সেতু থেকে নামার সময় বাসের গতি থাকায় ধাক্কা মারার পর প্রায় ৩০ ফুট দূরে গিয়ে বাসটি দাঁড়ায়। আতঙ্কিত যাত্রীদের বাসের জানালা দিয়ে উদ্ধার করা হয়। বাসের চালক উদয় রায় বলেন, বাসটি চলন্ত অবস্থায় আচমকাই একটা আওয়াজ হয়। সঙ্গে সঙ্গে তিনি বুঝতে পারেন বাসের ব্রেক ফেল হয়েছে। এরপরই যাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে চালক গাড়িটি দাঁড় করানো জন্য রাস্তার ড্রিভাইডারে ধাক্কা মারে।পুলিশ ও স্থানীয়দের সহযোগিতায় যাত্রীদের বাস থেকে উদ্ধার করে ও বাসটিকে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান থানায়।