রেডিয়ো সারাই আর সংগ্রহের অদ্ভুত নেশা!
খেলার মাঠের নেশা আর অল ইন্ডিয়া রেডিয়োর খবরের টানে রেডিয়োর প্রতি আকর্ষণ গড়ে ওঠে তরুণ অমিতের। রীতিমত মারধর খেয়ে রপ্ত করেছিলেন গুরু নরেশ সিকদারের কাছ থেকে কাজ।
বর্ষা শেষে মন নেচে ওঠে অমিত রঞ্জন কর্মকারের। বাঙালির সবচেয়ে বড় উৎসব দুর্গাপুজোর কার্টেন রেইজার – ‘মহালয়া’ এলেই কাজ বাড়ে তাঁর। বনমালি সরকার স্ট্রিটের ৮ ফুট বাই ৪ ফুট এই দোকানটায় বিগত ৪৫ বছর ধরে বিভিন্ন মডেলের রেডিয়ো সারিয়ে আসছেন অমিত রঞ্জন কর্মকার। মানুষ যেভাবে অলঙ্কার নিয়ে অহংকার করেন, অমিতের কাছে তেমনই এই বেতার যন্ত্রগুলো। খেলার মাঠের নেশা আর অল ইন্ডিয়া রেডিয়োর খবরের টানে রেডিয়োর প্রতি আকর্ষণ গড়ে ওঠে তরুণ অমিতের। রীতিমত মারধর খেয়ে রপ্ত করেছিলেন গুরু নরেশ সিকদারের কাছ থেকে কাজ। আজও মহালয়ার আগে কাজের চাপে অনেক সময়ে রাত্রে বাড়ি ফেরা হয় না তাঁর। কুমোরটুলির মৃৎশিল্পী, হোসিয়ারি কারখানা আর প্লাস্টিক কারখানার শ্রমিকেরা কাজ করতে করতেই রেডিওর বিভিন্ন অনুষ্ঠানের গান আর খেলার রিলে শুনতেন রেডিওতে। সেই রেডিয়োগুলো সারাইয়ের কাজ করতেন অমিত রঞ্জন।
Latest Videos