Hooghly Jirat News: ১ টাকায় ফুলুরি,  ৩ টাকায় চপ, সাধারণ মানুষের স্বাদ পূরণে জিরাটের বৃদ্ধ দম্পতি

Hooghly Jirat News: ১ টাকায় ফুলুরি, ৩ টাকায় চপ, সাধারণ মানুষের স্বাদ পূরণে জিরাটের বৃদ্ধ দম্পতি

TV9 Bangla Digital

| Edited By: সুপ্রিয় ঘোষ

Updated on: May 23, 2023 | 3:38 PM

নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি দিন দিন বেড়েই চলেছে। দুর্মূল্যের বাজারে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমজনতাকে। বাজারে গেলেই টান পড়ছে পকেটে। আর এই দুর্মূলের বাজারে মাত্র এক টাকায় ফুলুরি বিক্রি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন জিরাটের বৃদ্ধ দম্পতি শিবপ্রসাদ মোদক ও বিনা মোদক। দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে জিরাটের কবুড়া পাঁচপাড়ায় এক চিলতে বাড়ির মধ্যে বিকেল হলেই তেলেভাজা নিয়ে বসে পড়েন বৃদ্ধ দম্পতি।

নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধি দিন দিন বেড়েই চলেছে। দুর্মূল্যের বাজারে সংসার চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে আমজনতাকে। বাজারে গেলেই টান পড়ছে পকেটে। আর এই দুর্মূলের বাজারে মাত্র এক টাকায় ফুলুরি বিক্রি করে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন জিরাটের বৃদ্ধ দম্পতি শিবপ্রসাদ মোদক ও বিনা মোদক। দীর্ঘ কুড়ি বছর ধরে জিরাটের কবুড়া পাঁচপাড়ায় এক চিলতে বাড়ির মধ্যে বিকেল হলেই তেলেভাজা নিয়ে বসে পড়েন বৃদ্ধ দম্পতি। সকালে লটারি ব্যবসা করেন শিবপ্রসাদ আর বিকেল হলেই ফুলুরি ,আলুর চপ সঙ্গে মুড়ি বিক্রি করেন দম্পতি। এক ছেলেকে নিয়ে কোন রকমে চলে যায় তাদের সংসার। একসময় মিষ্টির ব্যবসা করলেও এখন শিবপ্রসাদের ছোট ভাই সেই ব্যবসা চালান, তবে মিষ্টির পাক ভুলে যাননি শিবপ্রসাদ ।এক সময় ৫০ পয়সার ফুলুরি বিক্রি করতেন।সেই ফুলুরি আজ এসে দাঁড়িয়েছে এক টাকায়। মূলত কৃষি প্রধান এলাকা হওয়ায় ভালোই চলে তার তেলেভাজার দোকান। আর এই ফুলুরি খেতে বিভিন্ন এলাকার মানুষ প্রতিদিনই ভিড় করেন তাদের দোকানে। কেউ পনেরোটা কেউ কুড়িটা করে ফুলুরি কিনে নিয়ে যান বাড়িতে। তবে করোনার পর থেকে দাম বাড়ে আলুর চপের। আগে ছিল দু টাকা, এখন সেটি পরিবর্তন হয়ে তিন টাকা হয়েছে ,তবে স্বাদ রয়েছে একই। বিকেল পাঁচটা থেকে রাত নটা পর্যন্ত প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ টাকা বেচাকেনা করেন শিবপ্রসাদ। আর তা দিয়েই সংসার চালান দুজনে।

ক্রেতারা বলেন , এক টাকায় ফুলুরি সারা হুগলি জেলার কোথাও পাওয়া যায় বলে আমার মনে হয় না ।কয়েক বছর ধরে তাদের দোকানে চপ আর ফুলুরি খাচ্ছি। আগে দু টাকা করে চপের দাম ছিল এখন সেটা ৩ টাকা হয়েছে, ফুলুরি ৫০ পয়সা ছিল এখন এক টাকা হয়েছে। স্বাদেও অতুলনীয়। একবার খেলে আবার খেতে ইচ্ছা করবে। দীর্ঘক্ষণ লাইন দিয়ে চপ নিতে হয়। দু টাকার মুড়ি আর তিন টাকার চপ কিনলে ৫ টাকায় পেট ভর্তি। অনেকে আবার আগে অর্ডার দিয়ে যায়। কেউ কুড়িটা ত্রিশটা করে তেলেভাজা নিয়ে যায়।

বৃদ্ধ দম্পতি শিবপ্রসাদ ও বিনা মোদক বলেন, দ্রব্যমূল্যের বৃদ্ধি হয়েছে ঠিকই, কিন্তু সেভাবে চপ বা ফুলুরির দাম বাড়ায়নি। ৫০ পয়সায় ফুলুরি বিক্রি শুরু করেছিলাম। এখন সেটা পরিবর্তন হয়ে এক টাকা হয়েছে ।দোকানে প্রতিদিনই ভিড় থাকে, পাঁচ টাকায় চপ মুড়ি খেলে পেট ভরে যাবে। যদিও এতে লাভ খুব একটা বেশি হয় না। তবে কোনরকমে দুজনের সংসার চলে যায়। ঝড় বৃষ্টি হলে সেদিন একটুখানি বাজার মন্দা যায়। অন্যান্য দিনগুলোতে দোকানে ভিড় থাকে।