Balurghat: চাকরি ছেড়েছেন, নির্বাচনে জিতেছেন.তারপর…
Panchayat: এবিষয়ে বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি কল্পনা কিস্কু বলেন, আমি পাঁচবছর ধরে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হিসেবে নানা কাজ করেছি। আমি আশাকর্মীর চাকরি ছেড়ে এখানে কাজ করেছি।
বালুরঘাট, ১১ আগস্ট: ভাল কাজ করার ফল স্বরূপ বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কল্পনা কিস্কুকে দেওয়া হয়েছিল গত বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের টিকিট৷ কিন্তু অল্পের জন্য হারতে হয়েছে তাকে। এদিকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হওয়ার কারণে তাকে ছাড়তে হয়েছে আশাকর্মীর চাকরি৷ এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়লাভ করেছেন কল্পনা কিস্কু। কিন্তু তার পরেও তাকে এবার আর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি করা হয়নি। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি নির্বাচনের দিনেই ক্ষোভ উগড়ে দেন বিদায়ী সভাপতি কল্পনা কিস্কু। বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী হওয়ার পরও জেলা পরিষদ আসনে টিকিট দেওয়া হয়নি তাকে। এনিয়ে তৃণমূললে কোঠা দিতে ছাড়েনি বিজেপি। যদিও রাজ্য মহিলা তৃণমূলের সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট অর্পিতা ঘোষ বলেন, নতুনরা আসবে পুরনোরা জায়গা ছাড়বে। এটাই দুনিয়ায় নিয়ম। এনিয়ে মন খারাপের কিছু নেই।
প্রসঙ্গত, দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার আটটি পঞ্চায়েত সমিতিতেই একচেটিয়া দাপট বজায় রাখল তৃণমূল। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির আসনে নতুন মুখ আনা হয়েছে। আর তাতেই ক্ষুদ্ধ বিদায়ী সভাপতি ও সহ সভাপতিরা। কেউ বা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে নিজের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। আবার কেই ক্যামেরার সামনে আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন। এদিকে বোর্ড গঠনের পরেই বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির বিদায়ী সভাপতি কল্পনা কিস্কুর গলায় আক্ষেপের সুর। তিনি সরাসরি আদিবাসীদের বঞ্চনার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন। বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির পাশাপাশি আদিবাসী অধ্যুষিত তপন পঞ্চায়েত সমিতিতেও আদিবাসীদের প্রাধান্য দেওয়া হয়নি। এদিকে বালুরঘাটের পাশাপাশি হিলি, কুমারগঞ্জ ও তপনেও পঞ্চায়েত সমিতি বোর্ড গঠন করে। সেখানেও নতুনদেরই সভাপতির পদে বসানো হয়েছে। যদিও বা এদিন বিরোধীরা সংখ্যালঘিষ্ঠ হওয়ায় বেশিরভাগ জায়গাতেই বিরোধীরা বোর্ড গঠনে অংশ নেননি। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আসনে বসেই বালুরঘাটের গ্রামীণ এলাকার পানীয় জল ও আলো সমস্যা মিটাতে সবার প্রথম কাজ করবেন বলেই নতুন সভাপতি অরূপ সরকার জানিয়েছেন৷ অরূপ সরকারের পাশাপাশি সহকারী সভাপতি হিসেবে নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন চন্দনা বর্মন৷ তাদেরকে সংবর্ধনা দেওয়া হয়৷ পরে বালুরঘাটে বিজয় মিছিল করা হয়।
বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতিতে সভাপতির পদে বসলেন অরুপ সরকার। অরুপ সরকার বালুরঘাটের প্রাক্তন তৃণমূলের ব্লক সভাপতি। বর্তমানে দলের জেলার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব ছিলেন৷ তিনি এবার বালুরঘাট পঞ্চায়েত সমিতির জয়ী প্রার্থী। সভাপতির পদে দায়িত্ব পেয়ে তিনি বলেন, বিগত বোর্ড নানা উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। আরও কাজ আমি করব। সাধারণ মানুষের হয়ে কাজ করব।
Paএখন আমার চাকরি নেই। কি করব? আমি বিধানসভা নির্বাচনে লড়েছি। তবে অল্পের জন্য জিততে পারিনি। কিন্তু আমি এটা বুঝতে পারিনি যে আমি বিধানসভার প্রার্থী হয়েও আমাকে জেলা পরিষদের টিকিট কেন দেওয়া হল না। বালুরঘাট ও তপন কোথাও আদিবাসীরা প্রাধান্য পেল না। কেন এমনটা করা হল এটা দলই বলতে পারবে।
এবিষয়ে বিজেপির জেলা সাধারণ সম্পাদক বাপি সরকার বলেন, আমি প্রথম থেকেই বলছি তৃণমূল দলটাই কাটমানির উপর চলে। যে বেশি কাটমানি দেবে সে বেশি ভালো পদ পাবে। ভোটের আগে তৃণমূল শুধু আদিবাসী সম্প্রদায়দের দিয়ে আই ওয়াশ করিয়েছেন।
অন্যদিকে এবিষয়ে রাজ্য মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের সিনিওর ভাইস প্রেসিডেন্ট অর্পিতা ঘোষ বলেন, নতুন আসবে পুরনো যাবে, এটাই তো সমাজের নিয়ম। যত ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দলের বাকিদের সুযোগ দেওয়া হবে, তত দলের উন্নতি হবে। এটা নিয়ে মন খারাপের কিছু নেই৷ তৃণমূলই তো বোর্ড গঠন করেছে। আর আদিবাসীদের সব জায়গাতেই প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে, যে একথা বলছে তিনি নিশ্চিতভাবে ভুল বলছেন।