Alipurduar Leopard Attack: লেপার্ডের আক্রমণে..
নজির বিহীন ঘটনা ডুয়ার্সর জঙ্গল লাগোয়া এলাকায়। ফালাকাটা ব্লকের বেংকান্দির অতীত পাড়ায় লেপার্ডের আক্রমণে আলাদা হয়ে গেলো এক বৃদ্ধার ধর ও মুন্ডু? এমনটাই দাবি গ্রামবাসীদের। পুলিশও অনেকটাই একমত। কিন্তু এখনো ওই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেনি বনকর্তারা।
নজির বিহীন ঘটনা ডুয়ার্সর জঙ্গল লাগোয়া এলাকায়। ফালাকাটা ব্লকের বেংকান্দির অতীত পাড়ায় লেপার্ডের আক্রমণে আলাদা হয়ে গেলো এক বৃদ্ধার ধর ও মুন্ডু? এমনটাই দাবি গ্রামবাসীদের। পুলিশও অনেকটাই একমত। কিন্তু এখনো ওই ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেনি বনকর্তারা। রবিবার সন্ধ্যায় রাতের খাবার সেরে বাসন ধুতে কলতলায় যান আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা থানার জটেশ্বর ফাঁড়ির অন্তর্গত অতিতপাড়ার বৃদ্ধা সরদিনী রায় (৬৫)। আচমকাই অন্ধকারের মধ্যে তাঁকে কোনো এক বন্য প্রাণি টেনে নিয়ে যায় বলে দাবি স্থানীয়দের৷তার আর্ত চিৎকার শুনে, কিছুক্ষন পর গ্রামবাসীরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। খবর পেয়ে পৌছায় বন দফতরের কর্মীরাও।ওই এলাকাটি জলপাইগুড়ি বনবিভাগের দলগাঁও জঙ্গল লাগোয়া।বনকর্মী ও স্থানীয়দের যৌথ তল্লাশি তে রাত ১১.৩০ নাগাদ ওই মহিলার মুন্ডহীন দেহ ঝোপের আড়াল থেকে উদ্ধার হয়। কিন্তু সারা রাত খুঁজেও মাথার সন্ধান মেলেনি। সোমবার ভোর পাঁচটা নাগাদ ঘটনাস্থল থেকে প্রায় পাঁচশো মিটার দূরে জঙ্গলের মধ্যে ওই মহিলার ক্ষতবিক্ষত মুন্ডু উদ্ধার হয়। তারপর থেকেই জোরালো হয় লেপার্ড মাথা খুবলে নেওয়ার তত্ত্ব। ধর থেকে মুন্ডুটি যে ভাবে আলাদা হয়েছে তা দেখে পুলিশও একপ্রকার নিশ্চিত যে, কোনো ধারালো অস্ত্র দিয়ে ধর ও মুন্ডু আলাদা করা হয়নি, বরং ছিঁড়ে নেওয়া হয়েছে। মৃতদেহ উদ্ধারের পর ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হচ্ছে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে আতঙ্ক গ্রাস করেছে গোটা অতিতপাড়াকে। সঙ্গে উত্তেজনাও রয়েছে।