তৃণমূল নেতার অনুগামী না হওয়ায় ৪০ আদিবাসী পরিবারকে বয়কট, মিলছে না পানীয় জলও
"যেখানে আগামী রাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন একজন আদিবাসী মহিলা, সেখানে দাঁড়িয়ে পশ্চিমবাংলায় ৪০ থেকে ৪২টি পরিবারকে সামাজিক বয়কটের শিকার হতে হল।"
নারায়ণগড়: পশ্চিম মেদিনীপুরে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের শিকার ৪০ পরিবার। তৃণমূলের সমর্থক হয়েও সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। অভিযোগ, অঞ্চল সভাপতির গোষ্ঠীকে সমর্থন না করায় ২ বছর সামাজিক বয়কট করা হয়েছে ৪০টি পরিবারকে। এদের মধ্যে সিংহভাগ পরিবার আদিবাসী। অভিযুক্ত লক্ষ্মী সিটের বিরুদ্ধে গ্রামবাসীদের অভিযোগ, ২ বছর ধরে তারা সরকারি পরিষেবা থেকে বঞ্চিত। এমনকি পানীয় জলের মতো প্রয়োজনীয় পরিষেবা থেকেও বঞ্চিত করা হচ্ছে তাদের। ঘটনা পশ্চিম মেদিনীপুরের নারায়ণ গড়ের তালাচক ও ফুলগেরিয়া গ্রামের।
গ্রামবাসীরা বলছেন, “আদিবাসী মানুষদের যে সুযোগ সুবিধা দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) দিচ্ছে, আমরা সেগুলো পাচ্ছি না। আমাদের ১০০ দিনের কাজ দিচ্ছে না। এমনকি লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পে আবেদন করার জন্য যে সংশাপত্র প্রয়োজন, পঞ্চায়েত সেটাও দিচ্ছে না।” বিজেপি এই ঘটনার নিন্দা করে বলে, “যেখানে আগামী রাষ্ট্রপতি হতে চলেছেন একজন আদিবাসী মহিলা, সেখানে দাঁড়িয়ে পশ্চিমবাংলায় ৪০ থেকে ৪২টি পরিবারকে সামাজিক বয়কটের শিকার হতে হল।”
যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। জেলা তৃণমূলের চেয়ারম্যান অজিত মাইতি স্পষ্ট জানিয়েছেন, “এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যে বা যাঁরা জড়িত থাকবেন, তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রশাসনকে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” তালাচকের এই বয়কটের ঘটনা নিয়ে সরব হয়েছেন জেলা বিজেপির মুখপাত্র অরূপ দাস। তাঁর বক্তব্য, “তৃণমূল এরকম নোংরা রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত।”