Hooghly News: আধুনিক ভারতে এখনও সাঁকোই ভরসা!

Hooghly News: আধুনিক ভারতে এখনও সাঁকোই ভরসা!

TV9 Bangla Digital

| Edited By: Tapasi Dutta

Updated on: May 16, 2023 | 7:49 PM

digital india,india,digital india portal,digital india week,what is digital india,digital india project,digital india act,digital india job,digital india modi,digital india programme in hindi,digita lindia,support digital india,digital india mission,digital india updates,pmo india,draft digital india act,vision of digital india,digital india act rules,digital india programme,pm of india,digital india initiative,digital india programme pdf

স্বাধীনতার ৭৫ বছর পরেও নদীর ওপর বাঁশের সাঁকো হেঁটে পেরোতেও টাকা দিতে হয়। বিধায়কের দাবি স্থায়ী ব্রিজ হলে শাসকদলের নেতাদের ইনকাম বন্ধ হয়ে যাবে। পঞ্চায়েত প্রধানের দাবি বিডিও সাহেব ও যুক্ত আছেন। আছেন তৃণমূল নেতাও। ক্ষুব্ধ এলাকার মানুষজন থেকে লিচু তলার রাজনৈতিক কর্মীরা।

রোগীর গাড়ি, হেঁটে যাতায়াত, সাইকেল , মোটরসাইকেল বা চার চাকা গাড়ি বাঁশের সাঁকো দিয়ে নদী পেরোলেই দিতে হবে টাকা। ভোট আসৈ ভোট যায় প্রতিশ্রুতির বন্যা বয়ে যায়। স্বাধীনতার ৭৫ বছর পেরিয়ে গেলেও স্বাধীনভাবে যাতায়াত করতে পারেনি খানাকুলের ১২ টি গ্রাম পঞ্চায়েতের শতাধিক গ্রামের মানুষজন। স্কুল কলেজ বা হাটবাজার অথবা থানায় কিম্বা বিডিও অফিসে গেলেও বাঁশের ব্রিজ পারাপার করলেই দিতে হয় ট্যাক্স। ছাড় নেই রোগী বহনকারী গাড়ির ও।
খানাকুলের মুণ্ডেশ্বরী নদী বিভিন্ন শাখা-প্রশাখায় খানাকুল জুড়ে বিস্তৃত। এক জায়গা থেকে অন্য জায়গা যাতায়াত করতে গেলে কোথাও একটি নদী তো কোথাও দুটি কোথাও বা তিনটি নদী পারাপার করতে হয় বাঁশের মাচা দিয়ে। খানাকুলের গনেশপুর থেকে নতিবপুর ১ প্রায় কিলোমিটার যাতায়াত করতে ২ টি ব্রিজ বেরোতে হয়। আর দুই জায়গাতেই দিতে হয় ট্যাক্স। আর গণেশপুর থেকে চিংড়া প্রায় দুই কিলোমিটার রাস্তা পেরোতে ৩ টি ব্রিজ পেরোতে হয় ৩ জায়গাতেই দিতে হয় টাকা। শুধু এইখানেই নয় খানাকুল ের কাবিলপুর, হরিশচক, পানশিউলি, উদনা, বালিপুর, ছত্রশাল, ময়াল প্রভৃতি জায়গায় একাধিক বাঁশের ব্রিজ আছে। প্রত্যেকটি জায়গাতে টাকা না দিলে হেঁটে ফেরানো যাবে না। আর এই সমস্ত ঘাটগুলির পঞ্চায়েত সমিতি টেন্ডার করে। লক্ষ লক্ষ টাকায় টেন্ডার হয় এই সমস্ত ঘাট গুলির। শাসকদলের নেতাদের ছত্রছায়ায় থাকা লোকজন ই টেন্ডার পায় । আর এই সমস্ত ঘাট গুলিতে হাজার হাজার মানুষ পারাপার করে নিত্যদিন।
আর ঘাটের টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ে সরব হয়েছেন চিংড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান কার্তিক ঈশর। প্রধানের দাবি দলের ই এক নেতা নজিবুল করিমের মদতেই বিডিও অফিস থেকে কারসাজি চলে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে নজিবুল করিম বাম কংগ্রেস ও বিজেপির দিকে দায় ঠেলেছেন।

প্রশ্ন উঠেছে স্বাধীনতার 75 বছর পরেও কেন এলাকার মানুষকে টাকা দিয়ে বাঁশের অথবা কাঠের ব্রিজ বেরোতে হবে। সরকার কি ব্রিজ তৈরি করে মানুষের পাশে থাকতে পারেনা। প্রতিশ্রুতি তো সবাই দেয় ভোটের আগে। আর এই নিয়ে সরব হয়েছে খানাকুলের বিজেপি বিধায়ক সুশান্ত ঘোষ। বিধায়কের দাবি তৃণমূলের লোকজন লুটেপুটে খাচ্ছে।
হুগলি জেলা পরিষদের সভাধিপতি মেহেবুব রহমান টাকা তোলার প্রসঙ্গে এড়িয়ে গিয়েছেন। তিনি বলেন মাননীয় মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি। একার পক্ষে তো সবকিছু হয়না। কেন্দ্রীয় সরকার কোনভাবে সাহায্য না করলে আমরা করতে পারব না। তবে আমাদের যতটুকু করার করেছি। তবে তিনি আগামী দিনে কাজেরও প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।

Published on: May 16, 2023 07:48 PM