AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Mpox Outbreak: কোভিডের পর আজ আবার গ্লোবাল এমার্জেন্সি ঘোষণা করল WHO

Mpox Outbreak: কোভিডের পর আজ আবার গ্লোবাল এমার্জেন্সি ঘোষণা করল WHO

আসাদ মল্লিক

|

Updated on: Aug 15, 2024 | 9:25 PM

Mpox outbreak: আক্রান্ত ব্যক্তির কয়েক ফুটের মধ্যে গেলেও শরীরে ঢুকতে পারে এম পক্স ভাইরাস। শ্বাসনালী, ক্ষতস্থান, নাক, মুখ ও চোখ দিয়ে ভাইরাস ঢোকার প্রবণতা বেশি। আক্রান্ত মানুষের পোশাক পরলেও শরীরে হানা দিতে পারে জীবাণু। আর এই রোগ ধরতে পলিমেরাস চেন রিঅ্যাকশন বা পিসিআর প্রযুক্তিতে পরীক্ষা ছাড়া গতি নেই। যদিও খুব কম ল্যাবেই সে পরিকাঠামো আছে। ভারতে এখনও পর্যন্ত এম পক্স সংক্রমণের ঘটনা রিপোর্ট হয়নি। কিন্তু আফ্রিকায় পরিস্থিতি যে দিকে মোড় নিচ্ছে তাতে নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকারও তো উপায় নেই। তাই না?

আবার গ্লোবাল এমার্জেন্সি। কোভিডের পর আজ আবার গ্লোবাল এমার্জেন্সি ঘোষণা করল ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশন। মাঙ্কি পক্স নিয়ে এখন থেকে বিশ্বজোড়া সতর্কতা। আফ্রিকার ১০ দেশে ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়ছে মাঙ্কি পক্স বা এম পক্স। আক্রান্তদের মধ্যে বড় অংশই অল্পবয়সি। সবচেয়ে চিন্তার কথা, মাত্র সাত-আটদিনে আক্রান্তের সংখ্যা কয়েক হাজার। নতুন-নতুন দেশে এমনকি আফ্রিকার বাইরেও ব্যাপক হারে এম পক্স ছড়িয়ে পড়ছে। এখনও পর্যন্ত ১১৬ দেশে এম পক্স ছড়িয়ে পড়ার খবর রিপোর্ট হয়েছে। আফ্রিকার ১০টি দেশে দশ হাজারের বেশি আক্রান্ত। আজকের বৈঠকে হু-সহ সব দেশের বিশেষজ্ঞরা বললেন, অবস্থা খুব খারাপ। আফ্রিকা থেকে ইউরোপ এবং এশিয়ায় মাঙ্কি পক্স ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা। আর সেটা হলে ভয়াবহ বিপর্যয় হবে। আগামী দেড়-দু মাসে লক্ষাধিক মানুষ আক্রান্ত হতে পারেন। তাই এখন থেকেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করতে হবে। কিন্তু মুশকিল হল, এতো দ্রুত গতিতে যে এই রোগ ছড়িয়ে পড়বে, তা আগে বোঝা যায়নি। WHO ও আফ্রিকার দেশগুলো এজন্য প্রস্তুতই ছিল না। এখন ঠেলা সামলাতে জেরবার অবস্থা। ওষুধ নেই, প্রতিষেধক নেই। আক্রান্তদের রাখার মতো শিবিরও নেই। অথচ আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন লাফিয়ে বাড়ছে। সবচেয়ে বড় কথা, ঠিক কতজন মানুষ এখন এম-পক্সে আক্রান্ত, তার কোনও সঠিক তথ্য কারোর কাছে নেই। এই অবস্থায় আজ সব দেশকে নিয়ে WHO-এর জরুরি বৈঠক ডাকা হয়। সেখানেই মাঙ্কি পক্স-কে গ্লোবাল এমার্জেন্সি বলে ঘোষণা করা হয়েছে। মাঙ্কি পক্স নিয়ে সাধারণ মানুষের কিন্তু খুব একটা ধারণা নেই। অনেকের ধারণা এই রোগ বা ভাইরাসটা নতুন এবং প্রাণঘাতী নয়। দুটোই ভুল। ভাইরাসটা পুরনো ও প্রাণঘাতীও। আর এটা শুধু বাঁদর নয়, একাধিক পশু থেকে ছড়াতে পারে। আরও একটা ভুল ধারণা হল, শুধুমাত্র যৌন সংসর্গ থেকেই এই রোগ ছড়ায়। এটাও ভুল। চিকিত্‍সকরা বলছেন, যৌনতার মাধ্যমে এই রোগ ছড়ানোর প্রবণতা বেশি বটে। তবে আক্রান্ত ব্যক্তির কয়েক ফুটের মধ্যে গেলেও শরীরে ঢুকতে পারে এম পক্স ভাইরাস। শ্বাসনালী, ক্ষতস্থান, নাক, মুখ ও চোখ দিয়ে ভাইরাস ঢোকার প্রবণতা বেশি। আক্রান্ত মানুষের পোশাক পরলেও শরীরে হানা দিতে পারে জীবাণু। আর এই রোগ ধরতে পলিমেরাস চেন রিঅ্যাকশন বা পিসিআর প্রযুক্তিতে পরীক্ষা ছাড়া গতি নেই। যদিও খুব কম ল্যাবেই সে পরিকাঠামো আছে। ভারতে এখনও পর্যন্ত এম পক্স সংক্রমণের ঘটনা রিপোর্ট হয়নি। কিন্তু আফ্রিকায় পরিস্থিতি যে দিকে মোড় নিচ্ছে তাতে নিশ্চিন্ত হয়ে বসে থাকারও তো উপায় নেই। তাই না?