Chandrakona School: স্কুল প্রাচীরের বাইরে মনীষীদের ছবি, আর প্রাচীরের ভিতরে স্কুল, সেখানেই মদের আসর!

Chandrakona: স্কুল প্রাচীরের বাইরে মনীষীদের ছবি, লেখা রয়েছে বাণী, আর প্রাচীরের ভিতরে খেলার মাঠ ও স্কুল, আর সেখানেই কিনা মদের আসর, যত্রতত্র পড়ে রয়েছে মদের বোতল এক কথায় স্তুপাকার। প্রশাসনের ভূমিকায় উঠছে প্রশ্ন।

Chandrakona School: স্কুল প্রাচীরের বাইরে মনীষীদের ছবি, আর প্রাচীরের ভিতরে স্কুল, সেখানেই মদের আসর!
| Updated on: May 28, 2023 | 5:30 PM

স্কুল প্রাচীরের বাইরে মনীষীদের ছবি, লেখা রয়েছে বাণী, আর প্রাচীরের ভিতরে খেলার মাঠ ও স্কুল, আর সেখানেই কিনা মদের আসর, যত্রতত্র পড়ে রয়েছে মদের বোতল এক কথায় স্তুপাকার। প্রশাসনের ভূমিকায় উঠছে প্রশ্ন।

পাঁচিল দিয়ে ঘেরা একাধিক গেট তবুও স্কুলের মাঠ যেন মদের আসর, প্রতিনিয়ত সারি সারি পড়ে মদের বোতল থেকে নেশাজাত দ্রব্য,সন্ধ্যা নামলেই স্কুলের মাঠে বসে নেশার আসর, চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। স্কুল মাঠে এহেন অসামাজিক কার্যকলাপে সোচ্চার স্থানীয় বাসিন্দা থেকে বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি। স্কুলের মাঠ ব্যবহার করে নেশার আসর থেকে অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধে স্থানীয় প্রশাসন ও স্কুলকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি তুলেছে সকলেই।

পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার চন্দ্রকোনা পৌরসভার ১ নং ওয়ার্ড গোবিন্দপুর এলাকায় রয়েছে চন্দ্রকোনা জিরাট হাইস্কুল।বহু পুরানো ও ঐতিহ্যের এই চন্দ্রকোনা জিরাট হাইস্কুল,এই স্কুলের সাথেই নাম জড়িয়ে রয়েছে পন্ডিত ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের।স্কুলের উন্নত পরিকাঠামো থেকে পঠনপাঠন জেলা ছাড়িয়ে রাজ্যেও একাধিক বার শিরোনামে উঠে এসেছে এই স্কুল। আর স্কুলের সুবিশাল খেলার মাঠকে ঘিরে তৈরি হয়েছে নানান বিতর্ক।স্কুল ক্যাম্পাসের বাইরে পাঁচিল দিয়ে ঘেরা রয়েছে চন্দ্রকোনা জিরাট হাইস্কুলের সুবিশাল এই খেলার মাঠ।এই মাঠে সকাল বিকাল আট থেকে আশি ভিড় জমায় কেউ শরীরর্চা করতে আবার কেউ ফুটবল বা ক্রিকেট খেলতে।সেই মাঠেই বসে মদের আসর। এমনকি মাঠের একাধিক জায়গায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে ভাঙা মদের বোতল। মাঠে খেলতে আসা স্থানীয় যুবক থেকে এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ,দীর্ঘ দিন ধরেই এই মাঠে নিয়মিত বসে মদ থেকে গাঁজার আসর,সন্ধ্যা নামলেই মাঠের ভিতর পাঁচিলের গায়ে গায়ে বসে নেশার আসর,চলে বিভিন্ন অসামাজিক কার্যকলাপও।যার জেরে অতিষ্ঠ স্থানীয় বাসিন্দা থেকে মাঠে শরীরচর্চা বা খেলাধূলা করতে আশা এলাকাবাসী ।তাদের দাবি,মাঠে খেলাধূলা করতে গিয়ে আগে তাদের পড়ে থাকা মদের বোতল পরিষ্কার করে তবেই খেলতে হয়।এনিয়ে স্কুল বা স্থানীয় প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ নেয়না?এই প্রশ্নের উত্তরে তারা জানায়,কয়েকবার পুলিশ মাঠের ভিতর রাউন্ড দিয়ে কয়েকজনকে আটক করে নিয়ে গেলেও পরক্ষণেই তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।ফলে যা হওয়ার তাই হচ্ছে,ফের রমরমিয়ে বসে নেশার আসর।স্কুল মাঠের পাঁচিলের ঠিক উল্টোদিকেই রয়েছে চন্দ্রকোনা পৌরসভা কার্য্যালয়,তার সামনেই স্কুলের মাঠ ব্যবহার করে এমন অসামাজিক কার্যকলাপে প্রশ্ন উঠছে পৌরসভার ভূমিকা নিয়েও।যদিও পৌরসভার চেয়ারম্যান প্রতিমা পাত্র জানান,আগেও এমন ঘটনা ঘটতো তখন পৌরসভা স্কুল ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে কথা বলে ব্যবস্থা নিয়েছিল সেসময় একাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল আবার পুনরায় অসামাজিক কার্যকলাপ শুরু হয়েছে পৌরসভা স্কুল ও পুলিশ প্রশাসনের সাথে কথা বলে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবে যাতে করে এসব বন্ধ হয়।”শহরের ঐতিহ্যের এই স্কুলের মাঠকে ঘিরে নেশার আসর ও অসামাজিক কার্যকলাপে স্থানীয় প্রশাসনের উদাসিনতাকেই দায়ি করেছে বিরোধী রাজনৈতিক দল সিপিআইএম ও বিজেপি।রাজ্য জুড়ে যে অপসংস্কৃতি চলছে তারই নিদর্শন এই স্কুলের মাঠ এমনও দাবি বিরোধীদের।যদিও এবিষয়ে চন্দ্রকোনা জিরাট হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক শুভ্রকান্তি ঘোষ স্কুল মাঠে নেশার আসর বসার ঘটনা স্বীকার করে নিয়ে বলেন,স্থানীয় কাউন্সিলর ও প্রশাসনের সহযোগিতায় মাঠে যে গেটগুলি রয়েছে তাতে চাবি দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম কিন্তু কেউ বা কারা তা প্রতিবারই ভেঙে দেয়।এর আগে আমরা পৌরসভা ও পুলিশ প্রশাসনকে জানিয়েছিলাম কয়েকজনকে তুলেও নিয়ে গিয়েছিল বেশকয়েকবার।তবে পাঁচিল দিয়ে ঘেরা মাঠে তিনটি গেট রয়েছে সেই গেটগুলি বন্ধ রাখার ক্ষেত্রে সমস্যা রয়েছে বলেও জানান স্কুলের প্রধান শিক্ষক।

তিনি বলেন,স্কুলের পাঁচিলের গায়েই রয়েছে রেজিস্ট্রি অফিস আর একদিকে রয়েছে চন্দ্রকোনা পৌরসভা দপ্তর,মাঠের একটা অংশ পৌরসভা ব্যবহার করে তাদের ভ্যাট বা গাড়ি রাখার জন্য আবার রেজিস্ট্রি অফিসও মাঠের একটা কোন ব্যবহার করে সন্ধ্যা পর্যন্ত ওদের কাজ চলে।তাই গেট বন্ধ করলে সমস্যা রয়েছে।তবে নেশার আসর বা অসামাজিক কার্যকলাপ বন্ধ করতে পৌরবাসী,পৌরসভা,পুলিশ প্রশাসন ও স্কুল সকলে মিলে এর সমাধান বের করতে হবে বলেও তিনি জানান। স্কুল মাঠের পাঁচিলের বাইরের দেওয়ালে স্কুলের উদ্যোগে বিভিন্ন মনিষীর ছবি ও বানী দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে আর মাঠের ভিতরে পাঁচিলের গায়ে এহেন দুস্কর্মে অস্বস্তিতে স্কুল কর্তৃপক্ষও।

 

Follow Us: