এবার কুমোরটুলিতে ফিরল অতীতের একচালা প্রতিমা

এবার কুমোরটুলিতে ফিরল অতীতের একচালা প্রতিমা

TV9 Bangla Digital

| Edited By: utsha hazra

Updated on: Jul 28, 2021 | 2:02 PM

বঙ্গীয় শিল্প-রীতিতেও শক্তি উপাসনার প্রতিফলন পাওয়া যায়। প্রতিমাশিল্প ও মৃৎশিল্পে প্রতিমার চালি ও চালচিত্রের ব্যবহার এই শাক্ত শিল্পরীতির একটি অত্যন্তগুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রাচীন বঙ্গদেশে দুর্গাপ্রতিমায় ধ্রুপদী চালা ও চালচিত্র ব্যবহার করা হত।

একচালা ঠাকুর কী? একটা চালচিত্র। তার মধ্যেই দেবী দুর্গা আর কার্তিক-গণেশ-লক্ষ্মী-সরস্বতী। আদি প্রতিমা একচালাই হয়। বাড়িতে-বাড়িতে এখনও সেটাই চলছে।
বাংলা শক্তি উপাসনার পীঠস্থান। বঙ্গীয় শিল্প-রীতিতেও শক্তি উপাসনার প্রতিফলন পাওয়া যায়। প্রতিমাশিল্প ও মৃৎশিল্পে প্রতিমার চালি ও চালচিত্রের ব্যবহার এই শাক্ত শিল্পরীতির একটি অত্যন্তগুরুত্বপূর্ণ উপাদান। প্রাচীন বঙ্গদেশে দুর্গাপ্রতিমায় ধ্রুপদী চালা ও চালচিত্র ব্যবহার করা হত। এখনও পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জমিদার ও রাজবাড়িতে এবং বেশকিছু সাবেকি পুজো মণ্ডপে ধ্রুপদী চালা এবং উত্র চালচিত্রের ব্যবহার করা হয়।
কিন্তু থিম বদলে দিয়েছে একচালা কনসেপ্ট। অনেকদিন আগে একচালা রীতি ভেঙে ‘ভিন্ন’ হলেন দুর্গা আর সন্তানেরা। বিতর্ক হয়েছিল। কিন্তু চালা ভাঙার চলটাই স্টেটাস সিম্বল হয়ে দাড়াল। খুঁজে পেতে দর্শন মিলতো একচালা বাংলা ঠাকুর।
এবার কুমোরটুলিতে এলে মনে হবে ফিরে অতীতের পুজোর ফ্রেমে। সারি-সারি একচালা প্রতিমা। আর সাইজে ছোট। থিমের ঠাকুর কম। মীনাক্ষী পালের পরিবার চার প্রজন্ম ধরে বাড়ির ঠাকুর করেন। একচালা। “এবারেই একচালা অর্ডার আসছে বারোয়ারি পুজো থেকে। কোনওবার এমন হয় না,” বলছেন প্রতিমা শিল্পী মীনাক্ষী পাল।

Published on: Jul 28, 2021 01:02 PM