AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Balurghat News: বন্ধ থাকে লাইব্রেরি,ক্ষতি হচ্ছে কত বই!

Balurghat News: বন্ধ থাকে লাইব্রেরি,ক্ষতি হচ্ছে কত বই!

TV9 Bangla Digital

| Edited By: Tapasi Dutta

Updated on: Nov 03, 2023 | 5:20 PM

Share

কোথাও বা একদিন অথবা দুদিন এমনই ভাবে খোলা হয় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে বিভিন্ন গ্রামীণ ও শহর অঞ্চলে অবস্থিত লাইব্রেরী। প্রয়োজনের তুলনায় কর্মী সংখ্যা অনেকটাই কম। যার ফলে এক একজন কর্মীর দায়িত্বে একাধিক লাইব্রেরী রয়েছে।

কোথাও বা একদিন অথবা দুদিন এমনই ভাবে খোলা হয় দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা জুড়ে বিভিন্ন গ্রামীণ ও শহর অঞ্চলে অবস্থিত লাইব্রেরী। প্রয়োজনের তুলনায় কর্মী সংখ্যা অনেকটাই কম। যার ফলে এক একজন কর্মীর দায়িত্বে একাধিক লাইব্রেরী রয়েছে। অত্যন্ত অনিয়মিত ভাবে খোলার জন্য এখন আর পাঠক লাইব্রেরীতে আসেন না। বই থাকলেও তার রক্ষণাবেক্ষণ করার জন্য কোন ব্যবস্থা নেই। এর ফলে লাইব্রেরির গুলির অবস্থা দিনের পর দিন সংকটজনক জায়গায় চলে যাচ্ছে।

অধিকাংশ গ্রামীণ লাইব্রেরীতে বাসা বেধেছে উইপোকা। এর ফলে নষ্ট হতে বসেছে দুষ্প্রাপ্য বইগুলি। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানা যায় অবশ্য চলতি বছরে কিছু লাইব্রেরী স্টাফ নিয়োগ জেলায় হয়েছে কিন্তু তা প্রয়োজনে তুলনায় অত্যন্ত কম। এদিকে বর্তমান ডিজিটাল যুগে লাইব্রেরি মুখো হচ্ছে না বর্তমান প্রজন্ম। যার ফলে লাইব্রেরি গুলির অবস্থা দিন দিন আরো খারাপ হচ্ছে।উল্লেখ্য, জেলা জুড়ে ৫২ টি গ্রামীণ লাইব্রেরী, শহরাঞ্চলে ৪ এবং জেলা সদরে একটি লাইব্রেরী রয়েছে মোট লাইব্রেরী সংখ্যা ৫৭টি। জেলা লাইব্রেরী দপ্তর সূত্রের খবর এখনো পর্যন্ত জেলায় মোট স্টাফ সংখ্যা ৩৬।

জেলা প্রশাসন সূত্রের খবর চলতি আর্থিক বছরে ৩৭টি শূন্য পদের মধ্যে ১৪ টি পদে নিয়োগের জন্য নির্দেশ দিয়েছিল রাজ্য সরকার। সেই মতো নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে জেলা প্রশাসন কিন্তু নিয়োগের সরকারি নির্দেশ বা ক্রাইটেরিয়া পুরন না হওয়ায় মাত্র ১০ পদে এখনো পর্যন্ত নিয়োগ করা গেছে। ফলে স্টাফ সমস্যা এখনো সম্পূর্ণ মেটেনি, জেলার লাইব্রেরীগুলির ক্ষেত্রে।জেলার একমাত্র জেলার সদর শহরের লাইব্রেরী ছাড়া গ্রামাঞ্চল কিংবা শহর অঞ্চলে যে সমস্ত লাইব্রেরী রয়েছে সেগুলিকে সপ্তাহে কোথাও দুই দিন কোথাও বা একদিন করে চালানো হয়। একজনই লাইব্রেরিয়ান তিনি বিভিন্ন লাইব্রেরীতে ঘুরে লাইব্রেরীগুলি খোলেন কিন্তু বই লেনদেন বা আগের মত প্রচুর সংখ্যায় পাঠক এখন আর লাইব্রেরীতে নেই। ফলে অধিকাংশ লাইব্রেরী জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে।