Vinesh Phogat, Paris Olympics: বিনেশের স্বপ্নভঙ্গ, আমাদেরও! এমন অনেক স্বপ্নভঙ্গের সাক্ষী অলিম্পিক

বিনেশ ফোগাটকে নিয়ে তোলপাড় চলছে। চলারই কথা। যাকে নিয়ে দেশ সোনার স্বপ্ন দেখছিল, তিনি কিনা অলিম্পিক্স থেকেই বাতিল হয়ে গেলেন। মাত্র ১০০ গ্রাম ওজন বেড়ে গিয়ে ভিনেশের স্বপ্নভঙ্গ, স্বপ্নভঙ্গ আমাদেরও। অলিম্পিকের ইতিহাসে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে এমন বহু স্বপ্নভঙ্গের ঘটনা। আবার ভুল করে পরে ক্ষমা চাওয়ার ঘটনাও আছে।

Vinesh Phogat, Paris Olympics: বিনেশের স্বপ্নভঙ্গ, আমাদেরও! এমন অনেক স্বপ্নভঙ্গের সাক্ষী অলিম্পিক
| Edited By: | Updated on: Aug 08, 2024 | 12:07 AM

বিনেশ ফোগাটকে নিয়ে তোলপাড় চলছে। চলারই কথা। যাকে নিয়ে দেশ সোনার স্বপ্ন দেখছিল, তিনি কিনা অলিম্পিক্স থেকেই বাতিল হয়ে গেলেন। মাত্র ১০০ গ্রাম ওজন বেড়ে গিয়ে ভিনেশের স্বপ্নভঙ্গ, স্বপ্নভঙ্গ আমাদেরও। অলিম্পিকের ইতিহাসে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে আছে এমন বহু স্বপ্নভঙ্গের ঘটনা। আবার ভুল করে পরে ক্ষমা চাওয়ার ঘটনাও আছে।

না, গল্প নয়। সত্যি ঘটনা। ১৯৯২ সালে বার্সিলোনা অলিম্পিক্স। এই অলিম্পিক্স সম্পুর্ণ আলাদা একটা কারণে ইতিহাসে জায়গা করে নিয়েছে। বার্সিলোনার আগে স্পনসরদের এত দাপট কোনও অলিম্পিক্সে দেখা যায়নি। দাপট এতটাই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানটাকেই কিনে নিয়েছিল কর্পোরেট সংস্থাগুলো। অলিম্পিক্স কমিটির তেমন একটা ভূমিকাই ছিল না। কার্ল লুইসের মতো তারকারা হাঁটতে হাঁটতে ইন্টারভিউ দিয়ে কোটি কোটি ডলার কামিয়েছিলেন। যা আগে কখনও হয়নি। পরের দিনই নিউইয়র্ক টাইমসে সেই উদ্বোধনী অনুষ্ঠান নিয়ে খবর। লেখা শুরু হয় একটা কথোপকথন দিয়ে। একজন, অন্যজনকে জিজ্ঞেস করছে, তুমি আমাকে কোথায় নিয়ে এলে? অন্যজন উত্তর দিচ্ছে, বার্সিলোনার মনজুইক স্টেডিয়ামে আমরা দাঁড়িয়ে আছি। আজ এখানে অলিম্পিকের উদ্বোধন। এভাবেই কথাবার্তা চলছে। প্রশ্নকর্তা প্রশ্ন করে চলেছেন। উত্তরদাতা উত্তর দিয়েই যাচ্ছেন। বোঝা যাচ্ছে, যিনি প্রশ্নগুলো করছেন তিনি গত কয়েক দশকে ঘটে যাওয়া রাজনৈতিক পরিবর্তন, আন্তর্জাতিক ঘটনার খবর রাখেন না। কথাবার্তা চলতে চলতেই মার্চ পাস্টে ঢুকল আমেরিকার টিম। এবার উত্তরদাতা আঙুল তুলে বললেন, ওই দেখুন স্যর। আমেরিকার বাস্কেটবল টিম। ভ্যালুয়েশন জানেন? ১০০ কোটি ডলার। সবাই কোটিপতি। দিনে লক্ষ ডলার আয় করে। যাঁর উদ্দেশ্যে কথাগুলো বলা তিনি এবার রীতিমতো ক্ষেপে গেলেন। অন্যজনের কলার ধরে বললেন, পেশাদার প্লেয়ার অলিম্পিক্সে? এটা আবার হয় নাকি? আমার সঙ্গে মশকরা? জান আমি কে? এক চড়ে সিধে করে দেব! এতক্ষণ ধরে যিনি প্রশ্নের উত্তর দিচ্ছিলেন, তিনি এবার মুখ খুললেন। স্যর, আমি জিম থর্প। ১৯১২ সালে অলিম্পিক্সে ডেকাথলন ও পেন্টাথলনে আমি সোনা জিতেছিলাম। পরে আপনি জানতে পারেন, আমি ফুটবল খেলে টাকা আয় করি। শুধু এজন্যই আমার সোনার পদক দুটো আপনি কেড়ে নিয়েছিলেন। আমার রেকর্ড মুছে দেওয়া হয়। আপনার নিশ্চয় আমাকে মনে নেই। আপনার সাধের অলিম্পিকের কী অবস্থা হয়েছে, তা দেখাতেই আপনাকে ৮০ বছর পর এখানে আনলাম। পেশাদার না হলে বরং এখন অলিম্পিকে সুযোগ পাওয়া যায় না স্যর। এতক্ষণে বোঝা যায় জিম থর্প কথা বলছিলেন আধুনিক অলিম্পিকের জনক পিয়ের দ্য কুবারতিনের সঙ্গে। লেখাটা লিখেছিলেন নিউইয়র্ক টাইমসের রিপোর্টার গ্যারি স্মিথ। কাগজে এই লেখা বেরনোর তিনদিনের মধ্যে থর্পের জোড়া পদক ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় অলিম্পিক্স কমিটি। কমিটির বিবৃতিতে বলা হয়, থর্পের পদক কাড়ার সিদ্ধান্ত ঐতিহাসিক ভুল। আমরা থর্পের কাছে, তাঁর পরিবারের কাছে ক্ষমাপ্রার্থী। থর্প বা কুবারতিন-কেউই তখন বেঁচে নেই। বিনেশ ফোগাটের কথা শুনে কেন জানি না, ১৯৯২ সালের ঘটনাটা মনে পড়ে গেল। মনে হলো আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করা উচিত।

Follow Us: