Latest Viral Video: সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রতিনিয়ত আমরা কিছু না কিছু নতুন দেখে চলেছি। সেই সব কিছুই আমাদের মন জিতে নেয়। ব্যাপক ভাইরালও হয় সেই ভিডিয়োগুলি। তবে, এবার এক এমন ভিডিয়ো সোশ্যাল মিডিয়ায় হইচই ফেলে দিয়েছে যা আপনি আগে হয়তো দেখেননি। একমাত্র তাঁরাই দেখেছেন, যাঁরা সেই বিয়েবাড়িতে নিমন্ত্রণ রক্ষার্থে গিয়েছিলেন। বিয়েবাড়িতে দেখা গেল, খেতে বসেছেন সকলে। আর নিমন্ত্রিতদের যাঁরা খেতে দিচ্ছেন, তাঁরা সকলে মহিলা (Women)। ভিডিয়োটি এই বাংলারই (West Bengal) কোনও এক প্রান্তের। যদিও কোথায় বিয়েবাড়িতে মহিলা কেটারারদের (Caterer) দেখা গিয়েছে, তা জানা যায়নি।
ইনস্টাগ্রামে priyotoma19 নামক একটি পেজ থেকে ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়েছে। সেখানে দেখা গিয়েছে, নীল শার্ট, লাল স্কার্ট এবং লাল টাই পরিহিত মহিলারা খাবার পরিবেশন করছেন। বিয়েবাড়িতে নিমন্ত্রিত যাঁরা ছিলেন, তাঁদের মুখটাও যেন দেখার মতোই ছিল। এমনটাও যে হতে পারে, তা তাঁরা ভাবতে পারেননি। কীরকম যেন ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে গিয়েছেন তাঁরা। দেখা গেল, বিয়েবাড়িতে হরেক আইটেম পরিবেশনার দায়িত্বভার তুলে নিয়েছেন ওই মহিলারাই।
এই ভিডিয়োটির সঙ্গে একটি টেক্সট জুড়ে দেওয়া হয়েছে। সেখানে লেখা হয়েছে, “আমার বিয়েতে এই কেটারিং ভাড়া করব।” গত 31 মার্চ ভিডিয়োটি টুইটারে শেয়ার করা হয়েছিল। তারপর থেকে বহু মানুষ তা দেখেছেন। নেটিজ়েনদের মধ্যে যেন এই ভিডিয়ো নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া গিয়েছে। তাঁরা ভিডিয়োটি দেখার পর আড়াআড়ি ভাবে বিভক্ত হয়ে গিয়েছেন। কেউ যেখানে এই ঘটনা দেখে অবাক হয়েছেন। কেউ আবার এটা ভেবে খুশি হয়েছেন যে, সময় বদলাচ্ছে, বদলাচ্ছে সমাজ।
_b_u_t_t_e_r_f_l_y_2623 নামের এক ইনস্টা ব্যবহারকারী লিখেছেন, “আজ আপনাদের মতো পুরুষদের জন্য আমাদের দেশের নারীরা সব কাজে ভয় পাচ্ছে। আপনারা যদি ভাল মন্তব্য করতে না পারেন, দয়া করে খারাপ মন্তব্য করবেন না। আর শুধু লাইক পাওয়ার জন্য এই সব ভিডিয়ো ছাড়বেন না।। তাঁরা নিজের পায়ে নিজেরা দাঁড়িয়ে ইনকাম করছেন। আপনারা যখন পথে নেমেছেন, কিছু মানুষের খারাপ মন্তব্য শুনে হতাশ হবেন না। ভগবানের কাছে প্রার্থনা করি, আপনারা আরও এগিয়ে যান আপনাদের নিজের লক্ষ্যে।”
pramaniksusanta28 নামের আর এক ইনস্টা ব্যবহারকারী লিখেছেন, “দেখে ভালো লাগল ?,,, নারী-পুরুষ যে সমান, তা তর্কে নয় কর্মে প্রতিষ্ঠা করারই এক প্রয়াস। আপনারা এগিয়ে চলুন, সমাজ কী ভাববে, অতো পাত্তা দেওয়ার দরকার নেই। একটা কথা মনে রাখবেন, যখন আমাদের দেশে প্রথম ‘নারী শিক্ষা’ শুরু হয়, তখন সমাজের কিছু মানুষ অনেক কটুকথা বলেছিল। কিন্তু আজ একটু খেয়াল করলে আমরা দেখতে পাবো, নারীরা শিক্ষার জগতে অনেক উচ্চতরে আসীন হয়েছেন। জগতে কোনও কিছুর প্রথম শুরুটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই, সমাজের কথা ভেবে কখনও পিছ পা হবেন না। আরও এগিয়ে চলুন উচ্চতর শিখরে।”