Viral Video: রাস্তা থেকে কমোডো ড্রাগনকে সরানোর ব্যর্থ প্রচেষ্টা, নেটিজ়েনরা রেগে লাল
ইনস্টা রিলটিতে দেখা গেল, পথভ্রষ্ট এক কমোডো ড্রাগন রাস্তার মাঝে ছটফট করছে। এমনই সময় এক ব্যক্তিকে দেখা গেল একটি লাঠি নিয়ে সরীসৃপটির লেজে নাড়া দিতে, যাতে সে ঠিকঠাক ভাবে রাস্তায় চলাফেরা করতে পারে। আসলে তিনি এর মধ্যে দিয়ে প্রচেষ্টা করছিলেন, রাস্তা থেকে যাতে প্রাণীটিকে সরিয়ে নিয়ে আসা যায়। তবে তার জন্য তিনি যে পন্থার অবলম্বন করেছিলেন, তাতে কাজ হচ্ছিল না।
এই সোশ্যাল মিডিয়া তো আমাদের অনেক কিছুই দেখায়। সাহসী ব্যক্তির সাহসিকতা দেখায়, আবার ভীতু লোকের দুর্বল হৃদয়ও তুলে ধরে আমাদের সামনে। কিন্তু নেটদুনিয়ায় সাহসী মানুষজনের কার্যকলাপ সবসমই আমাদের হতচকিত করে। সেরকমই একটা ভিডিয়ো দেখে ঘাবড়ে গিয়েছেন নেটিজ়েনরা। ব্যস্ত রাস্তায় অবরুদ্ধ হয়ে পড়েছিল একটি কমোডো ড্রাগন। ভয়ঙ্কর সেই সরীসৃপটির পথের কাঁটা সরিয়ে দিতে এক ব্যক্তি এমনই সাহসিকতা দেখালেন, পথচারীরা খানিকক্ষণ হাঁ হয়ে দেখলেন। সেই ভিডিয়োই এখন সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।
ইনস্টা রিলটিতে দেখা গেল, পথভ্রষ্ট এক কমোডো ড্রাগন রাস্তার মাঝে ছটফট করছে। এমনই সময় এক ব্যক্তিকে দেখা গেল একটি লাঠি নিয়ে সরীসৃপটির লেজে নাড়া দিতে, যাতে সে ঠিকঠাক ভাবে রাস্তায় চলাফেরা করতে পারে। আসলে তিনি এর মধ্যে দিয়ে প্রচেষ্টা করছিলেন, রাস্তা থেকে যাতে প্রাণীটিকে সরিয়ে নিয়ে আসা যায়। তবে তার জন্য তিনি যে পন্থার অবলম্বন করেছিলেন, তাতে কাজ হচ্ছিল না। যতই তিনি লাঠি দিয়ে প্রাণীটিকে রাস্তা থেকে সরানোর চেষ্টা করছিলেন, ততই সে আবারও সেই রাস্তা দিয়েই যাওয়ার চেষ্টা করছিল।
View this post on Instagram
কমোডো ড্রাগন সম্পর্কে আমরা প্রায় সকলেই অল্প বিস্তর পরিচিত। ভয়ঙ্কর সাপেদের পর্যন্ত কেটে খেয়ে ফেলার ক্ষমতা রাখে এরা। শিকার ধরার জন্য এরা লালার ব্যাকটেরিয়ার উপরে নির্ভর করে। সাম্প্রতিকতম গবেষণা থেকে জানা গিয়েছে, বিষধর সাপের মতোই বিষ নিঃসরণ করে কমোডো ড্রাগনগুলি। ইন্দোনেশিয়ার আগ্নেয় দ্বীপগুলিতে এদের বেশি করে দেখা যায়। আনুমানিক 1,400 প্রাপ্তবয়স্ক এবং 2,000 শিশু কমোডো ড্রাগন এখনও এই পৃথিবীতে রয়েছে।
ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়েছে Earth Reels নামক একটি ইনস্টা হ্যান্ডেল থেকে। ব্যাপক ভাইরাল হয়েছে এই ভিডিয়ো। অল্প সময়ের মধ্যে প্রচুর মানুষ ভিডিয়োটি দেখেছেন। কমেন্টও করেছেন অনেকে। একজন লিখছেন, ‘আমার তো স্বপ্নে এই কমোডো ড্রাগনটা হাঁটাচলা করে বেড়াবে।’ আর একজন জুড়লেন, ‘ওভাবে রাস্তা থেকে না সরিয়ে বনদফতরের লোককে ডাকলেই তো পারতেন।’