১০ বছরের বেশি সময়ের গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড ভেঙে দিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার এক ব্যক্তি। তাও আবার সবচেয়ে জোরে ঢেকুর তুলে! বহু বছর ধরেই নেভিলি শার্প দাবি করেছিলেন যে তাঁর তোলা ঢেকুরই নাকি বিশ্বে সবচেয়ে লাউড, অর্থাৎ জোরে শোনা যায়। অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনের বাসিন্দা নেভিলি। অনেকদিন ধরেই সবচেয়ে জোরে ঢেকুর তুলে বিশ্ব রেকর্ড গড়তে চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু আজ থেকে ১২ বছর আগে এই রেকর্ড গড়ে ফেলেছিলেন ব্রিটেনের পল হুন। ১০৯.৯ ডেসিবেল ছিল তাঁর ঢেকুরের আওয়াজের জোর। তাঁর রেকর্ড কোনওভাবেই ভাঙা যাচ্ছিল না। অবশেষে সফল হয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার নেভিলি। ১১২.৪ ডেসিবেলের ঢেকুর তুলে পুরনো রেকর্ড ভেঙে নতুন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়েছেন তিনি।
চলতি বছর জুলাই মাস নেভিলি শার্প এই রেকর্ড গড়েছেন। বিশ্বে রেকর্ড গড়ে নেভিলি জানিয়েছেন, সাংঘাতিক উত্তেজিত এবং দারুণ খুশি। নেভিলির কথায়, বিশ্বরেকর্ড গড়ার নেশা তো ছিলই, সেই সঙ্গে একজন ব্রিটিশ ১০ বছরের বেশি সময় ধরে এই রেকর্ডের অধিকারী ছিলেন। সেটা ভাঙতে চেয়েছিলেন তিনি। আর তাই ঢেকুর তোলার এই প্রতিযোগিতার জন্য নিজেকে তৈরি করেছিলেন নিজেকে। এ ব্যাপারে নেভিলিকে সাহায্য করেছেন তাঁর বোন এবং স্ত্রী। বোন তাঁকে শিখিয়েছিলেন কীভাবে প্রচণ্ড জোর ঢেকুর তুলতে হয়। আর নেভিলির কোচিং করিয়েছিলেন অর্থাৎ প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী।
দেখুন ভিডিয়ো
NEW: The record for the loudest burp has been beaten for the first time in over 10 years ? pic.twitter.com/b9rqVBog7T
— Guinness World Records (@GWR) November 30, 2021
মাত্র ৬ বছর বয়সেই নেভিলিকে তাঁর বড় দিদি স্যান্ডি শিখিয়েছিলেন যে কীভাবে খুব জোরে আওয়াজ করে ঢেকুর তুলতে হয়। দীর্ঘ বছরের সেই অভ্যাস তো ছিলই। বাকিটা করেছেন নেভিলির স্ত্রী কেপি। দীর্ঘ ১০ বছরেরও বেশি সময় ধরে নেভিলিকে ট্রেনিং দিয়ে তৈরি করেছেন তিনি। তারপর এসেছে সাফল্য। গিনেস বুকে নাম উঠেছে নেভিলি শার্পের। শেষ পাঁচ বছর ধরে নিজেকে কঠিন নিয়মে রেখে তৈরি করেছিলেন তিনি। তাঁর জীবনের একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছিল ব্রিটেনের পল হুনের রেকর্ড ভাঙা। ছোট থেকেই বিশ্বে রেকর্ড গড়ার স্বপ্ন দেখতেন নেভিলি। অবশেষে ৫০- এর কোঠা পার করে এল সাফল্য। নেভিলির স্ত্রী জানিয়েছেন, তাঁর প্রতিবেশীরাও তাঁদের এই যাত্রায় সাহায্য করেছেন, পাশে থেকেছেন।
তবে এই পুরো পর্যায়ে একটাই অসুবিধা ছিল। ঢেকুরের আওয়াজের ডেসিবেল সঠিক ভাবে পরিমাপের জন্য যন্ত্র পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে অবশ্য সেই সমস্যার সমধান হয়। আর দারুণ ভাবে নিজেকে তৈরি করেন নেভিলি। শেষ পর্যন্ত সাফল্যও এসেছে তাঁর জীবনে।