২৮ জন স্ত্রী’র সামনে ৩৭তম বিয়ে! নেট দুনিয়ায় ভাইরাল ৩৫ সন্তানের পিতা
জানা গিয়েছে, এই ব্যক্তির নাতি-নাতনির সংখ্যা নাকি ১২৬। এমন 'বিয়ে পাগল' ব্যক্তির কাণ্ড দেখে হতবাক নেটিজ়েনরা।
রাজা-মহারাজাদের একাধিক বিয়ের কথা তো শোনা যায়। কিন্তু তা বলে বাস্তবেও কী তেমনটা সম্ভব? এবার এমনই কী ব্যক্তির সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, যিনি তাঁর ৩৭তম বিবাহ ইতিমধ্যেই সেরে ফেলেছেন। জানা গিয়েছে, ১৮ জন স্ত্রীর সামনেই নাকি ৩৭তম বিয়ে করেছেন ওই ব্যক্তি। ৩৫ সন্তানের পিতা এই ব্যক্তি। নাতি-নাতনির সংখ্যা ১২৬। নেট দুনিয়ায় এই ব্যক্তির গল্প ভাইরাল হওয়ার পর নেটাগরিকদের অনেকেই বলেছেন, বিয়ে করাই বোধহয় এই ব্যক্তির একমাত্র শখ। এমন ‘বিয়ে পাগল’ লোক কিছু সচরাচর দেখা যায় না। এই ঘটনা কোথাকার তা অবশ্য জানা যায়নি। আর ওই ব্যক্তি কেনই বা এতগুলো বিয়ে করেছেন, শুধুই শখে নাকি এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে সে ব্যাপারেও স্পষ্ট ভাবে কিছু জানা যায়নি।
BRAVEST MAN….. LIVING
37th marriage in front of 28 wives, 135 children and 126 grandchildren.?? pic.twitter.com/DGyx4wBkHY
— Rupin Sharma IPS (@rupin1992) June 6, 2021
টুইটারে ওই ব্যক্তির ৩৭তম বিয়ের ভিডিয়ো প্রকাশ করেছেন আইপিএস আধিকারিক রূপিন শর্মা। তিনি আবার এই ব্যক্তিকে ‘ব্রেভেস্ট ম্যান’ অর্থাৎ সাহসীতম পুরুষ অ্যাখ্যাও দিয়েছেন। ৪৫ সেকেন্ডের ওই ভিডিয়ো ক্লিপ এখন ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন মাধ্যমে। ওই ব্যক্তির বিয়ের করার বহর দেখে সত্যিই চমকে গিয়েছেন নেটিজ়েনরা। রূপিন শর্মার টুইটে অনেকেই কমেন্ট করে লিখেছেন, সত্যিই এই ব্যক্তিকে দেখে সাহস সঞ্চয় করা উচিত। কেউ বা বলেছেন, লোকে একবার বিয়ে করেই সেটা সামলাতে পারেন না। সেখানে এই ব্যক্তি ৩৭টি বিয়ে করেছেন। ভেবেই অবাক লাগছে। অনেক নেটিজ়েন আবার লিখেছেন, ওনাকে দেখে শেখার রয়েছে।
আরও পড়ুন- হুলা হুপিং করতে করতেই ৫০টি সিঁড়ি চড়ে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ল চেন্নাইয়ের কিশোর
তবে এটাই প্রথম নিয়ে। বিয়ে নিয়ে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ধরনের মজার ঘটনা রয়েছে। যেমন, তাইওয়ানের এক ব্যক্তি, ৩৭ দিনের মধ্যে একই মহিলাকে চার বার বিয়ে করেছেন এবং সেই সঙ্গে তিন বার ডিভোর্স দিয়েছেন বলে শোনা গিয়েছিল কিছুদিন আগে। পরে জানা যায়, অফিসের ‘পেইড লিভ’ অর্থাৎ যে ছুটিতে বেতন কাটা হয় না, সেই ছুটি যাতে বেশি সংখ্যায় পান, তাই জন্যই এমন অদ্ভুত কাণ্ড করেছিলেন তাইওয়ানের ওই ব্যক্তি। শোনা যায়, পেশায় ব্যাঙ্কের ক্লার্ক ছিলেন ওই ব্যক্তি। প্রথমবার বিয়ের পরের দিনই স্ত্রীকে ডিভোর্স দিয়েছিলেন তিনি।