Latest Viral Video: খবর যাঁরা পরিবেশন করেন, সারাদিন তাঁদের নানাবিধ ঘটনার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। কখনও সুখবর, কখনও মজাদার খবর, কখনও মারপিট-হানাহানির খবর বা কখনও আবার খুবই দুঃখের কোনও সংবাদ পাঠ করে শোনাতে হয় দর্শকদের। কিন্তু প্রত্যেকবার, প্রতিটা খবর পড়ার সময় তাঁদের অভিব্যক্তি একই থাকে। মানে, দুঃখের খবর বলতে গিয়ে তাঁরা যেমন কান্নাকাটি করেন না, তেমনই আবার মারপিটের খবর বলতে গিয়ে তাঁরা অধিক উত্তেজিতও হয়ে পড়েন না। তবে সম্প্রতি এক নিউজ় অ্যাঙ্করের খবর পাঠ করার কায়দা সোশ্যাল মিডিয়ায় তীব্র ক্ষোভের জন্ম দিয়েছে। বাগমতি নদীর তীরবর্তী এলাকায় বন্যার খবর পড়তে গিয়ে খিলখিল করেত হাসতে দেখা গিয়েছে ওই সঞ্চালককে। বিহার ও ঝাড়খণ্ড ভিত্তিক একটি খবরের চ্যানেলে কাজ করেন ওই মহিলা।
X ব্যবহারকারী সঞ্জয় ত্রিপাঠি এই ভিডিয়োটি শেয়ার করেন। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়। বন্যার খবর বলতে গিয়ে কেউ হেসে ফেলে, নেটিজ়েনদের একাংশ তীব্র কটাক্ষ করেছেন ওই নিউজ় অ্যাঙ্করকে। বাগমতীতে নদীতে ভয়াবহ বন্যার ফলে দ্বারভাঙা ও বিহারের বেশ কিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে গিয়েছে। এমন একটা গুরুতর খবর বলার সময় তিনি যে কী কারণে হাসলেন, তা এখনও পর্যন্ত পরিষ্কার নয়। যদিও ভিডিয়োর কমেন্ট সেকশনে অনেকেই দাবি করেছেন, পিসিআর রুমে কেউ হাসছিলেন সম্ভবত এবং তা দেখার পরেই ওই অ্যাঙ্কর আর হাসি ধরে রাখতে পারেননি।
कोई बता सकता है इतनी ख़ुशी किसके लिये? 😁 pic.twitter.com/QjipNgJNaI
— SANJAY TRIPATHI (@sanjayjourno) September 14, 2023
ভিডিয়োর ক্যাপশনে সঞ্জয় ত্রিপাঠি লিখছেন, ‘উনি কী কারণে হাসছেন, কারণটা কেউ বলতে পারেন।’ গত 14 সেপ্টেম্বর ভিডিয়োটি শেয়ার করা হয়। এর মধ্যেই প্রচুর মানুষ দেখে ফেলেছেন এই ভিডিয়ো। কমেন্ট সেকশনে একজন লিখছেন, “চ্যানেলের মালিকের সঙ্গে এই অ্যাঙ্করের পুরনো টাকা-পয়সার হিসেব নিয়ে বিবাদ চলছিল। তিনি ভেবেছিলেন, একমাত্র গুরুতর বিষয় রিপোর্ট করার সময়ই হেসে ফেললে তা চ্যানেলের উপরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।” আর একজন যোগ করলেন, ‘এই মহিলাকে দিয়ে বিহারের বন্যা পরিস্থিতির লাইভ রিপোর্টিং করানো উচিত।’
এদিকে গত বৃহস্পতিবার সকালে বিহারের এই বাগমতী নদীতেই ভয়ঙ্কর নৌকাডুবির ঘটনা ঘটেছে। জানা গিয়েছে, সেই নৌকায় 30 জনেরও বেশি শিশু ছিল, যাদের মধ্যে এখনও 10 জন শিশুর খোঁজ পাওয়া যায়নি। নৌকাটি ডুবে যাওয়ার পরক্ষণেই স্থানীয়রা উদ্ধারকার্যে নেমেছিল। পরবর্তীতে NDRF বাহিনীও এসে উদ্ধারকাজে হাতে লাগায়।