Optical Illusion: ছবিটা চোখে লাগার মতো নয়? বিষাক্ত সাপ লুকিয়ে রয়েছে এখানে, খুঁজে দেখুন তো
Latest Optical Illusion: এই ছবিটা দেখে আপাত দৃষ্টিতে আপনার মনে হচ্ছে, কিসসু নেই। তাই তো নাকি? কিন্তু এই ছবিতেই লুকিয়ে রয়েছে একটি সাপ। ছোটখোটো নয়, সেই সাপ যথেষ্ট বিষাক্ত এবং ভয়ঙ্করও বটে।
ক্যামেরা এক এমনই জিনিস, যাকে কেউ বা কিছুই ফাঁকি দিতে পারে না। কখনও আবার ক্যামেরায় তোলা ছবিতে এমন কিছু লুকিয়ে থাকে, তা বেরিয়ে এল সত্যিই বিপদ হয়ে যেতে পারত। আবার উল্লোটাটও সত্যি। এমন কিছু ছবি দেখে লোকজন বলেন, ভাগ্যিস ক্যামেরাটা ছিল! যেমন এই ছবিটার কথাই ধরুন। আপাত দৃষ্টিতে আপনি যা দেখছেন, তাতে আপনার চোখে লাগার মত কিছু নেই। তাই তো? বিশ্বাস করুন, কোনও কারসাজি নেই এই ছবিতে। এখানে যা রয়েছে, তা হল ক্যামেরাম্যানের দিব্যদৃষ্টি। আর সেই দৃষ্টিই ছবিটিকে একটি বাস্তবসম্মত অপ্টিক্যাল ইলিউশনের রূপ দিয়ে দিয়েছে। অপ্টিক্যাল ইলিউশন বা ছবির ধাঁধাগুলির কথা আপনি নিশ্চয়ই জানেন। প্রতিদিন এই নিয়ে চর্চা হয়। প্রতিদিন কোনও না কোনও অপ্টিক্যাল ইলিউশনের ছবি ভাইরাল হয়। ঠিক যেমন এই ছবিটা। আপাত দৃষ্টিতে আপনার মনে হচ্ছে, কিসসু নেই এই ছবিতে। কিন্তু এই ছবিতেই লুকিয়ে রয়েছে একটি সাপ। ছোটখোটো নয়, সেই সাপ যথেষ্ট বিষাক্ত এবং ভয়ঙ্করও বটে।
সাপটি একটি এলাকায় কয়েকদিন ধরেই তাণ্ডব চালাচ্ছি। কিন্তু সাপটিকে ধরার কাজটি দুঃসাধ্য হয়ে যাচ্ছিল স্নেক ক্যাচারদের জন্যও। একটি গর্ত থেকে উঁকি মারছিল সে। এলাকার মানুষজনের সঙ্গে লুকোচুরি খেলছিল। তারপর তাকে খোঁজার জন্য ফটোগ্রাফারের সাহায্য নেওয়া হয়। তিনি এসে আবার যে ছবিটি তুললেন, তা থেকেও সাপটিকে খোঁজা বড্ড দুষ্কর কাজ হয়ে দাঁড়াচ্ছিল। তবে সে যাই হোক না কেন। ফটোগ্রাফারের তোলা এই ছবিই এখন বিশ্ববাসীর কাছে একটি ধাঁধা হয়ে গিয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় খোঁজ খোঁজ রব উঠেছে, কোথায় লুকিয়ে রয়েছে সাপটি?
ঘটনাটি অস্ট্রেলিয়ার। সে দেশের অ্যাডিলেডের ওয়াইনারি এলাকার মানুষজনকে প্রায়শই এই সাপটি ভয় দেখিয়ে বেড়াত। যে স্নেকক্যাচার এই সাপটিকে উদ্ধার করেছেন, তিনি জানিয়েছেন এটি একটি ইলিউসিভ ইস্টার্ন ব্রাউন স্নেক। ভয়ঙ্কর বিষাক্ত এই সাপ। একবার কামড় দিলে 15 মিনিটের মধ্যে যে কারও মৃত্যু হতে পারে। এই সাপকে ধরে রাখাও খুব কঠিন ছিল বলে জানিয়েছেন ওই ক্যাচার। ছবি থেকে সাপটিকে লক্ষ্য করার পর তিনি দেখেন, ঠিক একটি গর্ত থেকেই সাপটি উঁকি মারছিল। অ্যাং ব্রডস্টক নামের ওই স্নেক ক্যাচার তারপর সাপটিকে ধরে ফেলেন। আপনি দেখতে পেলেন সাপটিকে? তাকে খুঁজে বের করাই এখন আপনার চ্যালেঞ্জ।
ছবিতে আপনি লাল ইট দিয়ে তৈরি কংক্রিটের সিঁড়ি দেখতে পাচ্ছেন। তার উপরে ইতিউতি কিছু শুকনো পাতা ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। সেখানেই কোথাও একটি বিষাক্ত সাপও লুকিয়ে আছে বলে দাবি করা হয়েছে। কিন্তু সে কোথায় এবং কী অবস্থায় রয়েছে, তা ছবিটা দেখে ভাল করে বোঝা সম্ভব নয়। তাই তো এই ছবিটা না চেয়েও একটা অপটিক্যাল ইলিউশন চ্যালেঞ্জ হয়ে গেল। যেখানে সাপ খুঁজে পাওয়ার কাজটি আপনার দৃষ্টিশক্তির চরম পরীক্ষা নেবে। আসলে, সেই বিষাক্ত সাপটি এত কৌশলে লুকিয়ে আছে স্নেক ক্যাচার অ্যাং ব্রডস্টকের জন্যও তা ভয়ঙ্কর চ্যালেঞ্জিং হয়ে উঠেছিল।
এখনও যদি আপনি সাপটিকে দেখতে না পান, তাহলে নীচের ছবিটি দেখুন। সাপটি ওই সিঁড়ির যে গর্ত থেকে উঁকি মারছে, সেখানে আমরা লাল মার্ক করে রেখেছি, যাতে আপনার নজরে আসতে সুবিধা হয়।
সাপটিকে ধরা যে কতটা কষ্টের কাজ ছিল তা নিশ্চয়ই এতক্ষণে আপনি বুঝতে পেরে গিয়েছেন। স্নেক ক্যাচার ব্রডস্টক জানিয়েছেন, ফটোগ্রাফার এসে ছবি তুলতে তাঁর কাজটি আরও সহজ হয়ে যায়। তবে যখনই তিনি সিঁড়ির পাশের ওই গর্ত থেকে সাপটিকে বের করতে যান, সে কষ্ট দিতে শুরু করে বলে জানান ব্রডস্টক। যতবার তাকে ধরার চেষ্টা করা হচ্ছিল, সে অন্যত্র পালিয়ে যাচ্ছিল।
এমন পরিস্থিতিতে স্নেক ক্যাচারকে অত্যন্ত বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে অন্য পন্থা অবলম্বন করতে হয়। গর্তের চারপাশে তিনি কাগজ ভরে দেন। সেই গর্তে কিছুটা জলও জমে ছিল। ফলে, যখনই কাগজ ভরে দেওয়া হয়, তখনই সাপটি আর অন্যত্র পালানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। অবশেষে বাধ্য হয়েই তাকে বেরিয়ে আসতে হয়। এতক্ষণ তো ছবিতে আপনি শুধুই সাপটির মাথা দেখছিলেন। এখন নিশ্চয়ই তার দেহটা দেখতে পেয়েছেন। বুঝতেই পারছেন, কী তার চেহারা!