চাকরি খোয়ালেন রাশিয়ার (Russia) এক পাইলট (Pilot)। অভিযোগ, এক ছাত্রীকে প্লেনে করে আকাশে আর একটু ওড়ার সুযোগ দিতে চেয়েছিলেন। আর তার বদলে তিনি দাবি করেছিলেন যৌনতার। সেই ভিডিয়ো ফাঁস হতে এক মুহূর্তও সময় লাগেনি। নিমেষে তা ভাইরাল (Viral) হয়। ফাঁস হওয়া সেই ভিডিয়ো কর্তৃপক্ষের কাছে পৌঁছতেই ওই পাইলটের চাকরি যেতেও খুব একটা বেশি সময় লাগেনি। রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, সাসোভো ফ্লাইট স্কুল অফ সিভিল অ্যাভিয়েশনের এক ফ্লাইট ইনস্ট্রাক্টারের সঙ্গে এই কাণ্ড ঘটে। ওই ছাত্রীকেও স্কুল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। প্লেনটিকে অটোপাইলট মোডে চালাচ্ছিলেন ওই পাইলট, যাতে তাঁদের ঘনিষ্ঠতার মুহূর্ত ফ্রেমবন্দি করা যায়। মূলত সেই কারণেই চাকরি যায় ওই পাইলটের।
রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ওই পাইলটের বয়স মাত্র ২৮ বছর। তিনি বিবাহিতও। সেক্সের জন্য যে ট্রেনিকে তিনি রাজি করিয়েছিলেন তাঁর বয়স ২১ বছর। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম গ্যাজেটা-র একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে,যে প্লেনের ককপিটে বসে তাঁরা এই কাণ্ড ঘটিয়েছেন, সেটি রাশিয়ান ফেডারেল সাবজেক্টের এসটি সেসনা ১৭২ এয়ারক্র্যাফ্ট। সেখানেই তাঁদের যৌন কার্যকলাপ রেকর্ডেড হয়েছিল।
অনলাইনে তাদের ভিডিয়ো লিক হওয়ার পর সাসোভো ফ্লাইট স্কুল ওই দুইজনকেই বরখাস্ত করেছে। স্থানীয় মিডিয়া রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, বিবাহিত ওই ইনস্ট্রাক্টর তাঁর ছাত্রীকে ফ্লাইটে আরও বেশিক্ষণ সময় দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ককপিটে সেক্সের জন্য রাজি করান।
রিপোর্টে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, ওই ছাত্রী তাঁর ইনস্ট্রাক্টারের এহেন প্রস্তাবে প্রথমে সাড়া দেননি। কারণ, তিনি ভাল করেই জানতেন যে, ওই পাইলট বিবাহিত। কিন্তু আরও কিছুক্ষণ প্লেনে থাকার এবং সর্বোপরি আকাশে ওড়ার প্রস্তাব দিতেই ওই ছাত্রীর মন গলে যায়। এ বিষয়ে যখন তাঁকে জিজ্ঞেস করা হয়, ওই ছাত্রী দাবি করেন যে, অটোপাইলট মোড অন ছিল এবং তাঁরা কেবল চুমু খেয়েছিলেন এবং আলিঙ্গন করেছিলেন।
পরে ওই ছাত্রী আরও দাবি করেন, একবারই তা হয় এবং তার পুনরাবৃত্তি হয়নি। এই কেলেঙ্কারি তখনই প্রকাশ্যে আসে, যখন ওই ফ্লাইট স্কুলের আর একজন ছাত্রীর সঙ্গে তাঁর ঝগড়া লাগে। শেষমেশ প্রতিশোধ নিতেই এই ভিডিয়োটি অনলাইনে ফাঁস করে দেন ওই ছাত্রী। স্থানীয় মিডিয়া রিপোর্ট থেকে এমনই সব চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে।