Viral: কান্নার মাশুল ৪০ ডলার! ডাক্তারের চেম্বারে কেঁদে ফেলায় আজব শাস্তি পেলেন তরুণী
Viral: সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ক্যামেলিয়ার পোস্ট। তার বোনের সঙ্গে যা হয়েছে সেটা মেনে নিতে পারছেন না নেটিজ়েনদের কেউই।
কান্নার মাশুল দিতে হয়েছে ৩১০০ টাকা ফাইন দিয়ে। শুনে চমকে যাচ্ছেন? ঠিক এমনটাই হয়েছে। জানা গিয়েছে, ডাক্তারের কাছে গিয়ে কেঁদে ফেলেছিলেন এক তরুণী। সেই জন্য তাকে ৪০ ডলার, ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৩১০০ টাকা ফাইন দিতে হয়েছে। ওই তরুণীর দিদি গোটা ঘটনাটি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। আর এই আজব কাণ্ড এখন Viral হয়েছে নেট দুনিয়ায়। নেটিজ়েনরাও চমকে গিয়েছে এমন ঘটনার কথা শুনে। ক্যামেলিয়া জনসন নামের এক মহিলা, যিনি একজন জনপ্রিয় ইউটিউবার এবং ইন্টারনেট পার্সোনালিটি— তিনিই টুইটারে জানিয়েছেন একথা। ক্যামেলিয়া একটি বিলের ছবি শেয়ার করে জানিয়েছেন তাঁর বোন ডাক্তারের চেম্বারের যাওয়ার পর ওই বিল দেওয়া হয়েছে। ওই বিলের মধ্যে একটি জায়গাকে চিহ্নিত করেছেন ক্যামেলিয়া। ওই অংশের সহজ মানে হল কান্নাকাটি করার জন্য রোগীর থেকে ৪০ ডলার নেওয়া হয়েছে।
দেখুন ক্যামেলিয়া জনসনের করা টুইট
My little sister has been really struggling with a health condition lately and finally got to see a doctor. They charged her $40 for crying. pic.twitter.com/fbvOWDzBQM
— Camille Johnson (@OffbeatLook) May 17, 2022
ক্যামেলিয়া জানিয়েছেন তাঁর বোন একটি বিরল রোগের শিকার। খুব অল্পেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন তিনি। সবকিছুতেই হতাশ লাগে ওই তরুণীর। অসহায় বোধ করেন তিনি। কান্নাকাটি জুড়ে দেন। এই সময় একটু যত্নের খোঁজ করেন তিনি। অথচ সেইসবের মর্ম না বুঝে উল্টে রোগীর থেকে বিপুল পরিমাণে টাকা নেওয়া হয়েছে। আর তাতেই বেজায় ক্ষেপে গিয়েছেন ক্যামেলিয়া। কেন তাঁর বোন কান্নাকাটি করেছে, সেই সময় কী করলে তাঁর ভাল লাগবে সেইসব দিকে কেউ খেয়াল করেননি। কিন্তু কেঁদে ফেলার জন্য ৪০ ডলার মাশুল গুনতে হয়েছে ওই তরুণীকে।
সোশ্যাল মিডিয়ার বিভিন্ন মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গিয়েছে ক্যামেলিয়ার পোস্ট। তার বোনের সঙ্গে যা হয়েছে সেটা মেনে নিতে পারছেন না নেটিজ়েনদের কেউই। অনেকেই বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন হাসপাতালে নিজেদের সঙ্গে হওয়া আজব এবং দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার কথা শেয়ার করেছেন। সেই সঙ্গে এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদও জানিয়েছেন। কীভাবে একজন কেঁদে ফেললে তার জন্য অতিরিক্ত টাকা চাওয়া হতে পারে সেটাই বুঝতে পারছেন না কেউ। বরং সেই সময় ওই মানুষটার কান্না থামিয়ে তাঁকে শান্ত করা অনেক বেশ জরুরি। কিংবা এটা দেখা দরকার যে কেন তিনি কাঁদছেন, তাঁর কী অসুবিধা হচ্ছে। কীভাবে কান্না থামিয়ে তাঁকে স্বাভাবিক করা যায় সেটাই খেয়াল রাখা উচিত। তবে এক্ষেত্রে সেইসব কিছুই হয়নি।