মমতা সরকারের দেওয়া ট্যাব কেনার ১০,০০০ টাকা ‘গায়েব’ হয়ে যাচ্ছে মাঝপথেই! একের পর এক স্কুলে একই ঘটনা
School Students: তবে প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের দাবি, তাঁদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে। এটা অনভিপ্রেত। তাঁদের মতে 'বাংলার শিক্ষা পোর্টাল' হ্যাক করা সাইবার হ্যাকারদের কাছে খুব কঠিন নয়।
কলকাতা: ট্যাব কেনার টাকা দিচ্ছে রাজ্য সরকার। আর সেই টাকা চলে যাচ্ছে অন্যদের অ্যাকাউন্টে। একজন নয়, একাধিক পড়ুয়ার সঙ্গে ঘটেছে এমন ঘটনা। একাধিক স্কুলে এই অভিযোগ সামনে এসেছে। ঘটনায় চারটি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে উঠেছে অভিযোগ। তবে শিক্ষকরা এই দায় ঠেলছেন সংশ্লিষ্ট দফতরের দিকেই।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলার মোট চারটি স্কুলে একই ঘটনা। মোট ৬৪ জন পড়ুয়ার ট্যাব কেনার টাকা গায়েব! ‘তরুণের স্বপ্ন’ প্রকল্পের টাকা চুরি করেছে সাইবার অপরাধীরা! এমনই অভিযোগ উঠল রাজ্যে। অভিযোগ, ‘বাংলার শিক্ষা’ পোর্টাল থেকে ছাত্র-ছাত্রীর নাম ও অ্যাকাউন্ট নম্বর সরিয়ে হ্যাকাররা নিজেদের অ্যাকাউন্ট নম্বর বসিয়ে দিচ্ছে। আর সেই অ্যাকাউন্টেই ঢুকে যাচ্ছে সরকারি টাকা!
চণ্ডীপুর থানার মুরাদপুরের বিবেকানন্দ বিদ্যাপীঠ, দিবাকরপুর হাইস্কুল, নন্দকুমার থানার ব্যবত্তারহাট আদর্শ হাইস্কুল ও মহিষাদলের নাটশাল হাইস্কুলে একই অভিযোগ সামনে আসছে। এই চার স্কুল মিলিয়ে একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণির মোট ৬৪ জন পড়ুয়া একই পরিস্থিতির শিকার।
হিসেব বলছে, প্রতারিত পড়ুয়ার সংখ্যা যদি ৬৪ হয়, তাহলে মাথাপিছু ১০ হাজার টাকা অর্থাৎ মোট ৬ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা হ্যাকারদের অ্যাকাউন্টে চলে গিয়েছে। এই ঘটনায় ওই চার উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তমলুক থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন ডিআই (মাধ্যমিক)।
তবে প্রধান শিক্ষক ও শিক্ষিকাদের দাবি, তাঁদের কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হচ্ছে। এটা অনভিপ্রেত। তাঁদের মতে ‘বাংলার শিক্ষা পোর্টাল’ হ্যাক করা সাইবার হ্যাকারদের কাছে খুব কঠিন নয়।
জেলার এক স্কুলের প্রধান শিক্ষক বসন্ত কুমার ঘড়াইয়ের দাবি, দফতরকে নিতে হবে দায়। তিনি বলেন, “পোর্টালটা খুব একটা সুরক্ষিত নয়। আধার লিঙ্ক নেই। ফলে যে কোন ও অ্যাকাউন্ট নম্বর আর আইএফসি কোড দিলেই টাকা চলে যাচ্ছে।” তাঁর দাবি, নাম না মিললে টাকা পাঠানো হবে না, এমন ব্যবস্থা করা হোক। দফতরকে আরও সতর্ক নিতে হবে, দায় নিতে হবে বলেই দাবি করেছেন তিনি।