Jyotsna Mandi: রাজ্যের মন্ত্রীকে ঘিরে বিক্ষোভ আদিবাসীদের, গাড়ি ছেড়ে পায়ে হেঁটে এলাকা ছাড়লেন
Jyotsna Mandi: কেউ মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন কেউ আবার বলছেন ক্ষমা চাইতে হবে। এইসবের মধ্যে রবিবার সকালে বাঁকুড়ায় আদিবাসীদের বিক্ষোভের মুখে রাজ্যের খাদ্য দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি।
বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রাম: রাষ্ট্রপতিকে ( Droupadi Murmu) নিয়ে কুরুচিকর মন্তব্য। অখিলের বেলাগাম বাক্যবাণে তোলপাড় রাজ্য। জেলায়-জেলায় ইতিমধ্যে বিক্ষোভে নেমেছে গেরুয়া শিবির। কেউ মন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করেছেন, কেউ আবার বলছেন ক্ষমা চাইতে হবে। এইসবের মধ্যে রবিবার সকালে বাঁকুড়ায় আদিবাসীদের বিক্ষোভের মুখে রাজ্যের খাদ্য দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি। বাঁকুড়ার খাতড়া পাম্প মোড়ে আদিবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তিনি। তাঁর গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা।
জানা গিয়েছে, আজ সকালে খাতড়ার পাম্প মোড়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিলেন আদিবাসীরা। সেই সময় ওই এলাকা দিয়ে মন্ত্রী জ্যোৎস্না মান্ডি গাড়িতে করে যাচ্ছিলেন। মন্ত্রীর পথ আটকান আদিবাসী সম্প্রদায়ের লোকজন। গাড়ি থেকে নেমে তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেন। যদিও মন্ত্রীর আশ্বাসে বিক্ষোভ প্রশমিত হয়নি। বাধ্য হয়ে গাড়ি রেখে পায়ে হেঁটে এলাকা ছাড়েন তিনি।
তবে শুধু বাঁকুড়া নয়, ঝাড়গ্রামের মতো জঙ্গলমহলও ফুঁসছে আদিবাসীদের একাংশের বিক্ষোভে। রবিবার সকাল থেকেই অখিলের মন্তব্যে রাস্তায় নেমেছেন আদিবাসী সমাজের বিভিন্ন সামাজিক সংগঠন। তবে শুধু বিক্ষোভ নয়, একই সঙ্গে ডেপুটেশন দেওয়ারও সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তাঁরা। তাঁদের দাবি অখিল গিরির বিধায়ক ও মন্ত্রীপদ খারিজ করতে হবে। এবং গ্রেফতার করতে হবে রাজ্যের কারা মন্ত্রীকে।
এই বিষয়ে জ্যোৎস্না মান্ডি বলেন, ”সম্মাননীয় রাষ্ট্রপতিকে উল্লেখ করে অখিল গিরি যে মন্তব্য করেছেন ব্যক্তিগত ভাবে আমি সমর্থন করি না। দলও সমর্থন করে না। অখিল গিরি যা মন্তব্য করেছেন তা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। আমি একজন আদিবাসী মহিলা হয়ে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করছি।’
কী মন্তব্য করেছিলেন অখিল?
উল্লেখ্য, পূর্ব মেদিনীপুরের একটি সভা থেকে বেলাগাম হন রাজ্যের কারা-মন্ত্রী অখিল গিরি। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের জবাব দিতে গিয়ে আরও বেলাগাম হয়ে পড়লেন অখিল। মন্তব্য করে বসেন দেশের রাষ্ট্রপতির বাহ্যিক রূপ নিয়ে। বক্তৃতার একটি ভিডিয়োতে মন্ত্রীকে বলতে শোনা যায়, ‘বলে দেখতে ভাল নয়। কী রূপসী! কী দেখতে ভাল! আমরা রূপের বিচার করি না। তোমার রাষ্ট্রপতির চেয়ারকে আমরা সম্মান করি। কিন্তু তোমার রাষ্ট্রপতি কেমন দেখতে বাবা?’ অখিলের এই বক্তব্যের পরই তীব্র সমালোচনায় সামিল হয় সকলে।