Sodepur Fraud Case: অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী বলে সম্মান করতেন সকলেই, ছুটির সকালে যখন পুলিশ এল ফাঁস হল বৃদ্ধের আসল পরিচয়
Sodepur Fraud Case: পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী শান্তনু রায়। তিনি সরকারি ঋণ দেওয়ার দফতরে কাজ করতেন। রবিবার সকালে তাঁর বাড়িতেই হানা দেয় কলকাতা পুলিশ।
উত্তর ২৪ পরগনা: এলাকায় কয়েক মাস এসেছেন। তার মধ্যে বেশ ভালই পরিচিতি হয়েছে তাঁর। লোকজনের সঙ্গে মিলেমিশে থাকেন। সকলেই জানেন তিনি অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী। তাই তাঁকে সম্ভ্রমও করেন এলাকাবাসী। সাতসকালে যখন সেই ব্যক্তির বাড়িতেই পুলিশ এসে হাজির হন, স্তম্ভিত হয়ে যান পাড়া প্রতিবেশীরা। সোদপুরে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মীর বাড়িতে কলকাতা পুলিশের হানা। লক্ষ লক্ষ টাকা প্রতারণার অভিযোগ সরকারি কর্মীর বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে সোদপুর নাটাগর এলাকায়। শান্তনু রায় নামে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকারের অবসরপ্রাপ্ত কর্মী শান্তনু রায়। তিনি সরকারি ঋণ প্রদান দফতরে কাজ করতেন বলে জানা গিয়েছে। রবিবার সকালে তাঁর বাড়িতেই হানা দেয় কলকাতা পুলিশ। সঙ্গে ছিল ঘোলা ও খড়দা থানা পুলিশ। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁর বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ রয়েছে।
জানা যাচ্ছে, আগে শান্তনু পরিবার নিয়ে মানিকতলা এলাকায় থাকতেন। সেখানে এক ব্যবসায়ীকে ফ্ল্যাট কিনে দেওয়ার নাম করে তাঁর কাছ থেকে ১০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন, সেই টাকা আর ফেরত দেননি। ১০ লক্ষ টাকার প্রতারণার অভিযোগ ওঠে অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মী শান্তনু রায় ও তাঁর স্ত্রী তাপসীর বিরুদ্ধে। টাকা চেয়ে চাপ দিতে থাকায় আচমকাই মানিকতলার বাড়ি ছেড়ে দেন তাঁরা। এরপর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন প্রতারিত ব্যবসায়ী। তদন্তে নামে পুলিশ। গোপনে তদন্ত চালিয়ে পুলিশ জানতে পারে, সোদপুর নাটাগড়ে একটি আবাসন ভাড়া নিয়ে থাকছেন শান্তনু।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে কলকাতা পুলিশের আধিকারিকরা সোদপুর নাটাগরের ওই বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযোগ, শুধু ওই ব্যবসায়ী একা নন, আরও অনেকের সঙ্গেই প্রতারণা করেছেন শান্তনু। এদিকে, যে সমস্ত প্রতারিতরা টাকা পান, তাঁরা শান্তনুর বাড়ির সামনে ভিড় করে বিক্ষোভ দেখান।
প্রতারিত ব্যবসায়ী বিনোদ জসওয়াল বলেন, “আমাকে ফ্ল্যাট দেবেন বলে দুবারে ১০ লক্ষ টাকা নিয়েছিলেন। ফ্ল্যাট পায়নি। বাড়ি থেকেও পালিয়ে এসেছিলেন। এখন এখানে খুঁজতে খুঁজতে এসেছি। এখন বলছে টাকা ফেরত দিয়ে দেবেন।”
ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় উত্তেজনা তৈরি হয়েছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে ঘোলা থানা ও খড়দহ থানার পুলিশ।