আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ার (Alipurduar) জেলায় আপাতত করোনা (Covid19) পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণেই। শনিবার স্বাস্থ্য দফতর যে বুলেটিন প্রকাশ করেছে, তাতে গত ২৪ ঘণ্টায় কোভিড-১৯ পজিটিভ চারজন। শুক্রবার এই সংখ্যাটা ছিল পাঁচ। মৃত্যুও নেই। ৪৭ জন সক্রিয় রোগী রয়েছে এ জেলায়। তবু ঝুঁকি নিতে নারাজ স্বাস্থ্য দফতর। পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম তাই আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালেই একশো বেডের করোনা হাসপাতাল হচ্ছে।
পাশাপাশি আলিপুরদুয়ার জেলার সাত জায়গায় হবে অস্থায়ী করোনা হাসপাতাল। এর জন্য প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। যদি করোনার তৃতীয় ঢেউ সত্যিই আছড়ে পড়ে কিংবা নতুন স্ট্রেন মাথা ব্যাথার কারণ হয়, তা হলে পরিষেবায় যাতে কোনও ঘাটতি না থাকে সে কথা মাথায় রেখেই আলিপুর জেলার সাত জায়গায় তৈরি করা হবে অস্থায়ী করোনা হাসপাতাল।
একই সঙ্গে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালেই হবে একশো বেডের অস্থায়ী হাসপাতাল। সঙ্গে জেলার ব্লক ব্লকে গ্রামীণ হাসপাতাল এবং বাছাই করা প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি নিয়ে প্রায় আরও ১০০ বেডের অস্থায়ী করোনা হাসপাতাল তৈরি হবে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকার একাধিক রাজ্যে এমন অস্থায়ী করোনা হাসপাতাল তৈরি করেছে। এবার রাজ্য সরকারও ওই একই ধরনের অস্থায়ী করোনা হাসপাতাল আলিপুরদুয়ারে তৈরি করতে চলছে।
করোনার চোখ রাঙানি ম্লান হয়ে গেলে এই অস্থায়ী হাসপাতালগুলি তুলে নিয়ে অন্য কাজেও লাগানো যাবে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে। জেলার মোট সাতটি হাসপাতাল তৈরির জন্য রাজ্য সরকার প্রায় সাড়ে আট কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে। পূর্ত দফতর দ্রুত ওই হাসপাতালগুলি তৈরির কাজে হাত লাগাবে।
আলিপুরদুয়ারের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা বলেন, “আমাদের জেলায় মোট সাতটি অস্থায়ী কোভিড হাসপাতাল তৈরি হবে। এর মধ্যে আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে একশো বেড এবং চারটি গ্রামীণ হাসপাতালে ২০টি করে বেড থাকবে। পাশাপাশি দু’টি প্রাইমারি হেলথ সেন্টারেও ছ’টি করে শয্যা বিশিষ্ট অস্থায়ী করোনা হাসপাতাল তৈরি করা হবে। আমরা জায়গা চিহ্নিত করে দিয়েছি। পূর্ত দফতর খুব তাড়াতাড়ি ওই অস্থায়ী হাসপাতাল গুলি তৈরি করবে।”
আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে একশো বেডের অস্থায়ী করোনা হাসপাতাল তৈরির জন্য ৭ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। পূর্ত দফতর ওই টাকায় হাসপাতালের জায়গায় অস্থায়ী করোনা হাসপাতাল তৈরি করবে। জেলা হাসপাতাল সূত্রে খবর, জেলা হাসপাতালের বাইরে কর্মীদের আবাসনের সামনের জায়গায় ওই অস্থায়ী হাসপাতাল তৈরি হবে।
আরও পড়ুন: আবারও বাড়ল করোনায় মৃত্যু! ‘বিপদ কেন্দ্র’ সেই উত্তর ২৪ পরগনা, কলকাতা