Alipurduar: ভেঙে গুড়িয়ে পড়ল ডুয়ার্সের রিসর্ট-কটেজ, রাতারাতি ভয়ঙ্কর কাণ্ড
Alipurduar: আলিপুরদুয়ার জেলার চিলাপাতা পর্যটন কেন্দ্র লাগোয়া দক্ষিণ মেন্দাবাড়ি বানিয়া নদী সংলগ্ন এলাকায় বনদফতরের জমি অবৈধভাবে দখল করে তৈরি হয়েছিল বিশাল রিসর্ট। শুক্রবার অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে জলদাপাড়া বনবিভাগের আধিকারিক ও বনকর্মীরা।
আলিপুরদুয়ার: একেবারে জঙ্গলের ঘা ঘেঁষে গড়ে উঠছিল রিসর্ট। ছোট্ট কটেজ। ডুয়ার্স গেলে সাধারণ এই ধরনের কটেজেই থাকতে পছন্দ করেন পর্যটকরা। যেন অনেকটাই জঙ্গলের কাছাকাছি থাকা। রাত হলে যেন ঝিঝি পোকার ডাক আসে কানে। কিন্তু সরকারের সার্ভে রিপোর্ট বলছে অন্য কথা। ওই সমস্ত রিসর্টগুলো অনেকই আবার বেআইনিভাবে নির্মীত। বনদফতরের জমি দখল করে নির্মীত। বনদফতরের জমিতে নির্মীয়মান অবৈধ রিসর্ট শুক্রবার ভেঙে গুড়িয়ে দিল বনদফতর।
আলিপুরদুয়ার জেলার চিলাপাতা পর্যটন কেন্দ্র লাগোয়া দক্ষিণ মেন্দাবাড়ি বানিয়া নদী সংলগ্ন এলাকায় বনদফতরের জমি অবৈধভাবে দখল করে তৈরি হয়েছিল বিশাল রিসর্ট। শুক্রবার অবৈধ দখলের বিরুদ্ধে অভিযানে নামে জলদাপাড়া বনবিভাগের আধিকারিক ও বনকর্মীরা। বুলডেজার চালিয়ে নির্মিয়মান রিসর্ট ভেঙে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে রয়েছেন বনদফতরের আধিকারিক আধিকারিক ও বিশাল পুলিশ বাহিনী।
এ বিষয়ে জলদাপাড়া বনবিভাগের অতিরিক্ত বন্যপ্রাণ আধিকারিক নভোজিৎ দে জানান, রিসর্টটির যে জমিতে তৈরি হচ্ছিল, তার অধিকাংশই বনদফতরের। তিনি বলেন, “এর আগে অনেকবারই রিসর্টের মালিক-কর্তৃপক্ষকে কাজ বন্ধ রাখার কথা বলা হয়েছিল। কিন্তু তাঁরা কর্ণপাত করেননি। মাঝে কোভিডের জন্য অনেকটা সময় যায়। এখন রিসর্ট ভেঙে দেওয়া হল।”
চিলাপাতা ইকো টুরিজ্যম সোস্যাইটি সভাপতি গণেশ সা জানান, এলাকায় ব্যাঙের ছাতার মতো এরকম প্রচুর রিসর্ট গজিয়ে উঠেছে। কিন্ত রিসর্টগুলো বনদফতরের জমিতে না খাস জমিতে তৈরি হচ্ছে, সেটা বোঝা যচ্ছে না। তাই সমস্যা বাড়ছে।