আলিপুরদুয়ার: নিয়োগ থেকে আবাস, দুর্নীতির ভারে বেকায়দায় শাসকদল। এবার সেই তালিকায় নয়া সংযোজন। অভিযোগ, স্কুলের গ্রুপ ডি কর্মীর হয়ে কাজ করছেন স্থানীয় তৃণমূল কর্মী। ভুয়ো তালিকায় জটেশ্বরের ওই গ্রুপ ডি কর্মীর নাম ওঠায় বিপাকে পড়েছেন তৃণমূল কর্মী। ওই কর্মীর হয়ে শাসকদলের যে কর্মী কাজ করতেন, তিনি নাকি স্কুলে ক্লাসও নিতেন। আলিপুরদুয়ারের সোনাপুর হাইস্কুলের ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। যদিও এই বিষয়ে কোনওভাবেই মুখ খুলতে চাননি স্কুলের সহকারি প্রধান শিক্ষক রঞ্জিত ঠাকুর। প্রশ্ন শুনে বেশ কিছুটা বিব্রত দেখা যায় তাঁকে। আর যাঁর বিরুদ্ধে এত অভিযোগ, সেই শাসকদলের কর্মী সত্যজিৎ সোম প্রথমে কিছুই স্বীকার করতে চাননি। পরে মাসে তিন থেকে চার হাজার টাকা পাওয়ার কথা স্বীকার করেন। এদিকে, বিতর্ক দেখা দিতেই অনুপস্থিত গ্রুপ ডি কর্মী। এখনও শাসকদলের কর্মী বলে ওই প্রক্সি কর্মী এখনও স্কুল ছাড়েননি।
প্রক্সি কর্মী সত্যজিৎ সোম বলেন, “স্কুলে এমনি আসা যাওয়া করি। স্যরদের সঙ্গে দেখা করি। কর্মী হিসাবে আমাকে কেউ আশা দেয়নি। মাঝেমধ্যে নিজের প্র্যাকটিসের জন্য ফাইভ সিক্সের ক্লাস করাতাম।”
আলিপুরদুয়ার তৃণমূল চেয়ারম্যান মৃদুল গোস্বামী বলেন, “এটা আমাদের কোনও নলেজে নেই। আমরা খোঁজ নিয়ে দেখব। এটা নিয়ে স্কুল কর্তৃপক্ষ ও স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সঙ্গে কথা বলা দরকার।”
এদিকে, ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বলেন, “বিচারাধীন বিষয়। আমি এ ব্যাপারে কিছু বলব না। আইনে যা হবে, তাই হবে। অন্যায়ভাবে চাকরি পেলে, শাস্তি নিতে হবে।”
এদিকে, বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, “এটা গোটা রাজ্য জুড়ে হচ্ছে। শিক্ষকের পাশাপাশি গ্রুপ ডিতেও ভুয়ো নিয়োগ হয়েছে। এখানে ভুয়ো চতুর্থ শ্রেণির কর্মীদের নামের তালিকা প্রকাশিত হয়েছে। একজনের নাম প্রকাশিত হয়েছে। তাঁর তো নিয়োগ ভুয়োই, কিন্তু তিনি শারীরিকভাবে অক্ষম বলে তাঁর জায়গায় শাসকদলের নেতা কাজ করছেন। অরাজকতা কোথায় পৌঁছেছে!”