আলিপুরদুয়ার : পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রাক্কালে জনসংযোগ বাড়াতে ও একইসঙ্গে আম-আদমির সমস্যা মেটাতে নতুন কর্মসূচির ঘোষণা করে দিয়েছেন তৃণমূল (Trinamool Congress) সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তৃণমূলের নয়া দুই কর্মসূচি- ‘দিদির সুরক্ষাকবচ’ও ‘দিদির দূত’ নিয়েই বর্তমানে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর তরজা। তবে দুই কর্মসূচির বিরুদ্ধে লাগাতার তোপ দেগে চলেছেন বিজেপি নেতারা। কটাক্ষবাণ শানাতে দেখা গিয়েছে বঙ্গ বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে। একই লাইনে হেঁটে তৃণমূলের দুই কর্মসূচির বিরুদ্ধে তোপ দাগতে দেখা গেল বিজেপি (BJP) বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলালকে।
শাসক দলের বিরুদ্ধে চাঁচাছোলা আক্রমণ শানিয়ে আলিপুরদুয়ারের বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল বলেন, “যখনই ভোট আসে তখনই ওরা এসব করে। এবার দিদির দূত নয় দিদির ভূত যাবে। মানুষকে ভয় দেখিয়ে, সন্ত্রাস তৈরি করে ভোট আদায় করতে মানুষের ঘরে ঘরে যাবে। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বাড়ি গিয়ে ভয় দেখাবে, ভোটের সময় বাড়ি থেকে বের না হওয়ার জন্য হুমকি দেবে। এ কথাগুলোই তাঁরা এবার বাইরে বলবে। বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে আলাদা করে বলবে। এই নতুন কৌশলই তো ওরা নিয়েছে চাপা সন্ত্রাস তৈরি করার চেষ্টা করছে।” দিদির দূত, দিদির সুরক্ষাকবচ নিয়ে কয়েকদিন আগেই আক্রমণ শানাতে দেখা গিয়েছিল সুকান্তকেও। বক্রোক্তি করে তিনি বলেন, “এইসব কবজ, মাদুলিতে কিছু হবে না। শুনছি নাকি গ্রামে গ্রামে তৃণমূল নেতারা যাবেন। আপনাদের আগে থেকেই সাবধান করছি.. গরু, ছাগল সাবধানে রাখবেন। বিশ্বাস নেই। গরু, ছাগল পকেটে করে বগলদাবা করে নিয়ে পালিয়ে যেতে পারে। এই চোরেদের কোনও বিশ্বাস নেই।” তাঁর এ বক্তব্য নিয়েও রাজনৈতিক মহলে বিস্তর চাপানউতর তৈরি হয়েছিল।
তবে পাল্টা তোপ দাগতে ছাড়েনি ঘাসফুল শিবিরও। বিজেপিকে নিশানা করে তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বড়াইক বলেন, “বিজেপি এসব বললেও কিছু হবে না। আমাদের সঙ্গে মানুষ আছে। ওদের বিধায়ক-সাংসদের মাটির সঙ্গে যোগাযোগ নেই। ওরা কোন কাজ করে না। সাংসদরা তো কোটি কোটি টাকা পায়। কিন্তু কোথায় রাস্তাঘাটের উন্নয়নের কাজে তা লাগিয়েছে?”