Alipurduar TMC: শুভেন্দুকে জবাব দিতে রাস্তা আটকে তৃণমূলের সভা? সরগরম আলিপুরদুয়ার
Alipurduar TMC: আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের সভা ঘিরে নয়া বিতর্ক। পুরসভার সামনে রাস্তা বন্ধ করে এই সভা করার অভিযোগ তুলছে বিরোধী শিবির।
আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ারে (Alipurduar) গিয়ে গত সপ্তাহে সভা করেছিলেন বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। কড়া ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন তৃণমূল শিবিরকে। আক্রমণ শানিয়েছেন সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যাওয়া সুমন কাঞ্জিলালের বিরুদ্ধেও। এবার আলিপুরদুয়ারে তৃণমূলের পাল্টা সভা। মূল বক্তা আলিপুরদুয়ারের বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল (Suman Kanjilal) ও রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা। শুভেন্দুকে পাল্টা চ্যালেঞ্জ জানান সুমন কাঞ্জিলাল। আলিপুরদুয়ারের বিধায়কের বক্তব্য, শুভেন্দু অধিকারী তাঁর বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ এনেছেন, সেসবের প্রমাণ দিতে হবে, নাহলে বিরোধী দলনেতার পদ ছাড়তে হবে। এইসব নিয়ে যখন জোর চর্চা জেলার রাজনীতির অন্দরমহলে, তখন তৃণমূলের সভা ঘিরে নয়া বিতর্ক। পুরসভার সামনে রাস্তা বন্ধ করে এই সভা করার অভিযোগ তুলছে বিরোধী শিবির।
জানা যাচ্ছে, পুরসভার সামনের এই রাস্তাটি ওয়ান ওয়ে পথ। শহরের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এই রাস্তা। তৃণমূলের সভার জন্য সেই রাস্তার একটি ধারের অংশ পুরোপুরি দখল হয়ে যায় বলে অভিযোগ উঠছে। কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়ক মনোজ ওঁরাও বলছেন, শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে যে কর্মসূচি হয়েছিল, তা সুশৃঙ্খলভাবে মাঠে হয়েছিল। তাতে সাধারণ মানুষের কোনও সমস্যা হয়নি বলেই দাবি তাঁর। কিন্তু এদিন সুমন কাঞ্জিলালদের সভা নিয়ম-কানুনকে অগ্রাহ্য করে, মানুষের কথা না ভেবে, রাস্তার সামনেই করা হয়েছে বলে অভিযোগ কুমারগ্রামের বিজেপি বিধায়কের।
যদিও রাস্তা আটকে সভা করার এই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছেন তৃণমূলের জেলা সভাপতি প্রকাশ চিক বড়াইক। তিনি বলছেন, ‘কোথাও এমন সমস্যা হয়নি। গাড়ি যাতায়াতের জন্য কোর্ট মোড় থেকে সবকিছু খোলা ছিল। প্রশাসন গোটা ব্যবস্থা দেখেছে। কারও কোনও অসুবিধা হয়নি। আমাদের মঞ্চ গিয়ে দেখুন, গাড়ি যাতায়াতের সব ব্যবস্থা করা আছে।’ প্রসঙ্গত, এদিন আলিপুরদুয়ারের সভা থেকে কড়া ভাষায় রাজ্য বিধানসভার বিরোধী দলনেতাকে বিঁধেছেন সুমন কাঞ্জিলাল। একহাত নিয়েছেন রাজ্যের মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদাও। এরই মাঝে রাস্তা আটকে সভা করার অভিযোগ ঘিরে নতুন করে সরগরম জেলার রাজনীতি।