Alipurduar CBI: সমবায় দুর্নীতিকাণ্ডে আলিপুরদুয়ারে সিবিআই হানা
Alipurduar CBI: ২০২০ সালে বন্ধ হয়ে যায় সমবায় সমিতি। গ্রাহক ছিলেন ২১ হাজার। এই সমিতির বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ সিবিআই ও ইডি তদন্তের নির্দেশ দেয়।
আলিপুরদুয়ার: আলিপুরদুয়ারে সমবায় দুর্নীতিকাণ্ডে সিবিআই হানা। সমবায়ের ম্যানেজার তৃপ্তিকণা চৌধুরীর বাড়িতে শনিবার সকালেই পৌঁছেছেন সিবিআই তদন্তকারী আধিকারিকরা। এছাড়াও আরও দুটি জায়গায় হানা দিয়েছে সিবিআই। আলিপরদুয়ারের ৮ নম্বর ওয়ার্ডে সমবায়ের ম্যানেজার তৃপ্তিকনা চৌধুরী, ক্লার্ক পঙ্কজ গুহ আচার্য-সহ আরও এক কর্মীর বাড়িকে সিবিআই এর প্রতিনিধিরা গিয়েছেন। ২০২০ সালে বন্ধ হয়ে যায় সমবায় সমিতি। গ্রাহক ছিলেন ২১ হাজার। এই সমিতির বিরুদ্ধে ৫০ কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগ ওঠে। হাইকোর্টের জলপাইগুড়ি সার্কিট বেঞ্চ সিবিআই ও ইডি তদন্তের নির্দেশ দেয়।
তদন্তে সিবিআই জানতে পেরেছে, ২০০০ সাল থেকে এই সমবায় সমিতি তাদের কাজ শুরু করে। মূলত এই সমিতিতে এলাকার নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মহিলা সদস্যরাই টাকা রাখতেন। গত কয়েকবছরে এই সমিতিতে বাড়তে থাকে আমানতকারীর সংখ্যা। সমবায় সমিতিতে কম করে প্রায় ২২ হাজার আমানতকারী রয়েছেন। অভিযোগ, ২০১৮-১৯ সালে এই সমবায় ঋণদান সমিতিতে চূড়ান্ত বেনিয়মের অভিযোগ ওঠে। প্রায় ৫০ কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে।
এই মামলায় প্রথমে তদন্ত শুরু করে আলিপুরদুয়ার থানার পুলিশ। পরে মামলা যায় সিআইডি-র হাতে। সমিতির সঙ্গে যুক্ত পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। তারপর মামলা গড়ায় কলকাতা হাইকোর্টে। এই মামলা গত সপ্তাহেই সিবিআই-কে পদক্ষেপ করার নির্দেশ দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। ওই মামলায় এফআইআর দায়ের করে সিবিআই তদন্ত শুরু করে। সিবিআই তদন্ত নিয়ে রাজ্য ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়। কিন্তু বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় স্পষ্ট সিবিআই-কে জানিয়ে দেন, সিবিআই তাদের মতো তদন্ত করতে পারবে। তারপরই সক্রিয় হন সিবিআই আধিকারিকরা।