Leopard: চিতাবাঘের মুখ থেকে বাঁচিয়েও শেষ রক্ষা হল না, হাসপাতালে পথে মৃত্যু শিশুর
Leopard: দীপেশ ওঁরাও নামের ওই নাবালকের আর্ত চিৎকারে ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যেই পড়শিরা লাঠিসোঁটা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন চা গাছের ঝোঁপে। বাঁশের ঘা খেয়ে লেপার্ডটি ওই নাবালককে ছেড়ে চা বাগানে ঘাপটি মারে।
আলিপুরদুয়ার: চিতাবাঘের মুখ থেকে এগারো বছরের নাবালক শিশুকে উদ্ধার করা হলেও শেষ রক্ষা হল না। উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য আলিপুরদুয়ার জেলা হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাড়ির উঠোন থেকে ঘাড় কামড়ে দিয়ে টেনে নিয়ে যায় একটি চিতাবাঘ। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আলিপুরদুয়ারের ফালাকাটা ব্লকের তাসাটি চা বাগানের ঘসি লাইনের শ্রমিক মহল্লার।
দীপেশ ওঁরাও নামের ওই নাবালকের আর্ত চিৎকারে ঘুটঘুটে অন্ধকারের মধ্যেই পড়শিরা লাঠিসোঁটা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়েন চা গাছের ঝোঁপে। বাঁশের ঘা খেয়ে লেপার্ডটি ওই নাবালককে ছেড়ে চা বাগানে ঘাপটি মারে। এরপর বীরপাড়া রাজ্য সাধারণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই চিকিৎসকরা দীপেশকে শিলিগুড়ির উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেন।
ঘটনার পরে রাতেই ১৭ নম্বর জাতীয় সড়ক অবোধ করেন উত্তেজিত জনতা। ঘটনার খবর পেয়ে পরিস্থিতি সামলাতে ঘটনাস্থলে ছুটে যান জটেশ্বর ফাঁড়ির পুলিশ ও জলদাপাড়া বনবিভাগের কর্মীরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, মেনে ছাগলের টোপ দিয়ে পাতা হয়েছে খাঁচা। গত একমাসে পরপর মানুষের উপর চিতাবাঘের হামলার ঘটনা বেড়ে যাওয়ায় রীতিমতো উদ্বিগ্ন বনদফতর। জলদাপাড়ার বন্যপ্রাণী সংরক্ষক নভোজিত দে বলেন “নাবালকটির অবস্থা আশঙ্কাজনক ছিল। রাস্তায় তাঁর মৃত্যু হয়েছে। চিতা বাঘটিকে ঘুমপাড়ানি গুলি করার জন্য বিশেষজ্ঞ বনকর্মীদের পাঠানো হয়েছে ঘটনাস্থলে। গোটা বিষয়টির উপর আমরা নজর রাখছি।” স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বাচ্চাটিকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে তার মৃত্যু হয়।