BJP Panchayat: কীর্তন করে, গঙ্গাজল ছিটিয়ে পঞ্চায়েতে প্রবেশ বিজেপির প্রধানের

Sujit Roy | Edited By: সায়নী জোয়ারদার

Aug 28, 2023 | 5:54 PM

Alipurduar: সোমবার দুপুরে পঞ্চায়েত অফিসচত্বর হারমোনিয়াম, কাঁসর, ঘণ্টা, খোলের আওয়াজে মুখরিত হয়ে ওঠে। অফিসের সামনের রাস্তা আমের পল্লব দিয়ে গঙ্গাজল ছিটিয়ে দেওয়া হয়।

BJP Panchayat: কীর্তন করে, গঙ্গাজল ছিটিয়ে পঞ্চায়েতে প্রবেশ বিজেপির প্রধানের
গঙ্গাজল ছিটিয়ে পঞ্চায়েত অফিসে প্রবেশ।
Image Credit source: TV9 Bangla

Follow Us

আলিপুরদুয়ার: বোর্ড গঠন করে গ্রামপঞ্চায়েতে হরিনাম সংকীর্তন করল বিজেপি। খোল করতাল বাজিয়ে কীর্তনের পাশাপাশি গঙ্গাজল ছিটিয়ে গ্রামপঞ্চায়েত অফিস শুদ্ধও করেন বিজেপির সদস্যরা। ২০১৮ সালে জয়লাভ করেও বোর্ড দখল করতে পারেনি বিজেপি। এবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে গ্রামপঞ্চায়েত দখল করে তা দুর্নীতিমুক্ত করতে গঙ্গাজল আর কীর্তনকেই বেছে নিল বিজেপি। আলিপুরদুয়ারের কাঁঠালবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতে এই ছবি দেখা গিয়েছে। গঙ্গাজল ছিটিয়ে, নামকীর্তন করে পূর্ব কাঁঠালবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে প্রবেশ করেন বিজেপির প্রধান সুপর্ণা বর্মন ও উপপ্রধান কমলেশ্বর বর্মন।

সোমবার দুপুরে পঞ্চায়েত অফিসচত্বর হারমোনিয়াম, কাঁসর, ঘণ্টা, খোলের আওয়াজে মুখরিত হয়ে ওঠে। অফিসের সামনের রাস্তা আমের পল্লব দিয়ে গঙ্গাজল ছিটিয়ে দেওয়া হয়। এরপর পঞ্চায়েত অফিসের ঘরেও চলে ‘শুদ্ধিকরণ’। ভিতরে একটি চেয়ারে গিয়ে বসেন গ্রামপঞ্চায়েত প্রধান। আর তাঁর চারপাশে সদস্যরা কীর্তন করছেন। সকলের কপালে চন্দনের ফোঁটা কাটা। এই দৃশ্য দেখতে ভিড় জমান এলাকার লোকজন।

এতদিন পূর্ব কাঠালবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে ছিল। এবারই হাত বদল হয়। বিজেপির অভিযোগ, এতদিন এই পঞ্চায়েতে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে। তারা বলছে, এবার দুর্নীতিমুক্ত গ্রামপঞ্চায়েত গড়ার লক্ষ্যেই গ্রামপঞ্চায়েতে গঙ্গাজল দিয়ে পুজো দেওয়া হল। কীর্তন করে প্রবেশ করলেন বিজেপি সদস্যরা।

প্রধান সুপর্ণা বর্মন বলেন, “আমাদের গ্রামপঞ্চায়েত অফিসটা একটা মন্দির। তাই গঙ্গাজলে শুদ্ধ করে প্রবেশ করলাম। মানুষের সার্বিক উন্নয়নই আমাদের কাজ।” যদিও তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক ভাস্কর মজুমদার বলেন, “গঙ্গাজল যে পবিত্র, তা আমরা হিন্দুরা সকলেই মনেপ্রাণে বিশ্বাস করি। তবে একটা সরকারি অফিসে সর্বধর্মের মানুষ আসেন। সেখানে বিশেষ ধর্মাচরণ সংবিধানবিরোধী কাজ বলেই মনে করি। বিজেপি সব জায়গায় গোবর, গোমূত্র নিয়েই মেতে। উন্নয়ন নিয়ে কোনও মাথাব্যথা নেই। পূর্ব কাঁঠালবাড়িতে উন্নয়ন না হলে আগামিদিনে মানুষ কিন্তু তা বুঝে নেবে।”

Next Article