আলিপুরদুয়ার: পাশাপাশি দোকান খুড়তুতো দুই ভাইয়ের। একটা অটো সরানো নিয়ে বচসা এতটাই চরম পর্যায়ে পৌঁছল যে এক ভাইয়ের প্রাণহানি পর্যন্ত ঘটাতে পিছপা হলেন না আর এক ভাই! এমনই অভিযোগ উঠেছে আলিপুরদুয়ারে। নিজের তুতো ভাইয়ের ছুরির কোপে মৃত্যু হল নবল কিশোর চৌধুরী নামে এক ব্যক্তির। আলিপুরদুয়ারে জয়গাঁ বউবাজার এলাকার ঘটনা। রক্তাক্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনায় খুনের অভিযোগ উঠেছে ওমপ্রকাশ চৌধুরীর বিরুদ্ধে। এখনও পর্যন্ত অভিযুক্তকে ধরতে পারেনি পুলিশ।
পেশায় অটোচালক ছিলেন নবল কিশোর চৌধুরী। মৃত ব্যক্তির পরিবারের দাবি, বৃহস্পতিবার দুপুরে নবল কিশোর তাঁর নিজের বাড়ির সামনেই অটো রেখেছিলেন। পাশেই রয়েছে তাঁর খুড়তুতো ভাই ওমপ্রকাশ চৌধুরীর দোকান। মৃতের স্ত্রী জানিয়েছেন, আচমকা চড়াও হন ওমপ্রকাশ। অটো সরিয়ে নিতে বলেন তিনি। তাঁদের মধ্যে বচসা বাঁধে। অভিযোগ, পরবর্তীতে ওমপ্রকাশ চৌধুরী আচমকা ছুরি নিয়ে চড়াও হন। নবল কিশোরের পেটে বসিয়ে দেন ধারাল অস্ত্রের কোপ। তারপর শরীরের একাধিক জায়গায় ছুরির কোপ বসাতে থাকেন বলে অভিযোগ। এরপর নবল কিশোর চৌধুরী মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ছুটে আসেন তাঁর স্ত্রী ও সন্তান।
নবল কিশোরকে উদ্ধার করে লতাবাড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কালচিনি থানার পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। মৃতের স্ত্রী ললিতা চৌধুরি জানান, তাঁর স্বামীকে মাঝে মধ্যেই হুমকি দিতেন ওমপ্রকাশ, আর এবার সত্যিই খুন করা হয়েছে।