আলিপুরদুয়ার: দেশকে ভালবেসে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন অনেকেই। দেশের রক্ষায় অতন্দ্র প্রহরী হতে চান বহু যুবা। সেনাবাহিনীতে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের পরিবারও মনে মনে গর্বে উন্নত শির। এরকমই এক পরিবার কুমারগ্রাম ব্লকের শিববাড়ি এলাকার রায় পরিবার। এ পরিবারের সদস্য লেফটেন্যান্ট পবিত্রকুমার রায় ৩০ বছর সেনাবাহিনীতে ছিলেন। সেখান থেকে অবসর নিয়ে গ্রামে ফিরতেন, গ্রামে কার্যত উৎসব। বীরের মর্যাদায় সংবর্ধনা দিয়ে তাঁকে গ্রামে স্বাগত জানালেন গোটা গ্রামের মানুষ।
পবিত্রকুমার রায় যখন সেনায় যোগ দিয়েছিলেন, তখন তাঁর বয়স ছিল ১৭ বছর। তারুণ্যের মূর্ত প্রতীক তিনি। সে সময় জওয়ান হিসাবে যোগ দেন। এরপর একাধিক পদোন্নতি পেয়ে অবসর নিলেন যখন, তখন তিনি লেফটেন্যান্ট। এই ৩০ বছরের কর্মজীবনে কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, অরুণাচল থেকে রাজস্থান, প্রায় সারা দেশেই দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। কর্মজীবনে বহু সম্মান পেয়েছেন পবিত্র রায়। কিন্তু অবসরের পর তাঁর নিজের গ্রামে এমন অভ্যর্থনায় অভিভূত তিনি। আবেগতাড়িত হয়ে পড়েন শুক্রবার। এদিনই দিল্লি থেকে গ্রামের বাড়ি ফেরেন।
গ্রামবাসীরা পাড়ার শিবমন্দিরে পুজো দিয়ে তাঁকে ফুল মালা পরিয়ে গ্রামের পথে নিয়ে আসেন। বাজছে ব্যান্ড। গ্রামের বিভিন্ন বয়সের মানুষ তাঁকে অভ্যর্থনা জানাতে প্রস্তুত। পবিত্রকুমার রায় বলেন, “কী বলব বুঝে পাচ্ছি না। সেই ১৭ বছর বয়সে ভর্তি হই আর্মি হই। বহু জায়গায় পোস্টিং হয়েছে। লেহ লাদাখ, জম্মু কাশ্মীর, বেঙ্গালুরু, চেন্নাই, ডিমাপুর, অরুণাচল, গৌহাটি, রাজস্থানে থেকেছি। দিল্লিতে ছিলাম এতদিন। ৩০ বছর পর ফেরা। এমন অভ্যর্থনায় আমি বাক্যহারা।”