Alipurduar : শিলাবৃষ্টিতে টিন ফুটো, ছাতা মাথায় ক্লাসে, বেহাল দশা আলিপুরদুয়ারের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে

Alipurduar : স্কুল মেরামতের দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা। প্রশাসন টাকা না দিলে তাঁরা চাঁদা তুলে স্কুল মেরামত করবেন বলে জানিয়ে দিলেন।

Alipurduar : শিলাবৃষ্টিতে টিন ফুটো, ছাতা মাথায় ক্লাসে, বেহাল দশা আলিপুরদুয়ারের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে
আলিপুরদুয়ারে প্রাইমারি স্কুলগুলির বেহাল দশা
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jun 29, 2022 | 11:31 PM

আলিপুরদুয়ার : কোথাও ঝড়ে বিদ্যালয়ের বারান্দার চাল উড়ে গিয়েছে। হয়নি সারাই। কোথাও শিলাবৃষ্টিতে টিন ফুটো হয়ে যাওয়ায় বিপাকে পড়েছে পড়ুয়ারা। বৃষ্টিতে ছাতা মাথায় ক্লাস করতে হচ্ছে। ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে আলিপুরদুয়ার জেলার ১২৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদের বক্তব্য, টাকা নেই, তাই স্কুলের সংস্কার হচ্ছে না। আলিপুরদুয়ার জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ (ডিপিএসসি) ক্ষতিগ্রস্ত স্কুল সারাইয়ের জন্য ৪ কোটি টাকার প্রজেক্ট পাঠালেও কোনও টাকা আসেনি। তাই সারাই হয়নি স্কুলগুলি। যদিও প্রতিবেশী জেলা কোচবিহার ও জলপাইগুড়ি টাকা পেয়েছে। তারা কাজও করে ফেলেছে। কিন্তু আলিপুরদুয়ারে হয়নি। জানা গিয়েছে, গত বিধানসভার পর ঝড়ে কুমারগ্রামে ৩০টি, শিলাবৃষ্টিতে ফালাকাটায় ৪০টি স্কুল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জেলায় কোনও স্কুলই সারাই হয়নি। কবে সারাই হবে, তা জানে না জেলা প্রাথমিক শিক্ষা সংসদ। ডিপিএসসি-র চেয়ারম্যান পরিতোষ বর্মণ এই নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। অনেক স্কুলে ছাত্রদের বারান্দায় বসিয়ে মিড ডে মিল খাওয়ানো হয়। স্কুল দু’মাস পর খুলেছে। জেলার ১২৫টি স্কুলে সমস্যা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে।

একুশের বিধানসভা ভোটের আগে ঝড়ে আলিপুরদুয়ার জেলার কামাখ্যাগুড়ি সংলগ্ন মধ্য পারোকাটা নিউ প্রাইমারি স্কুলের বারান্দার চাল উড়ে যায়। তারপর প্রায় দেড় বছর হতে চলল, কিন্তু আজও সারাই হয়নি সেই বিদ্যালয় ভবনের চাল। দীর্ঘ সময় লকডাউনের কারণে বিদ্যালয় বন্ধ থাকায় কোনও সমস্যা হচ্ছিল না । কিন্তু পঠন পাঠন আবার শুরু হতেই সমস্যায় বিদ্যালয়ের শিক্ষক, ছাত্র-সহ মিড ডে মিলের রাঁধুনিরা।

Primary school

স্কুল মেরামতির দাবি জানিয়েছেন অভিভাবকরা

দুশ্চিন্তা নিয়ে সন্তানদের বিদ্যালয়ে পাঠাচ্ছেন অভিভাবকরা। এই মুহূর্তে বর্ষার প্রভাবে প্রবল বর্ষণে সিক্ত আলিপুরদুয়ার জেলা। ঠিক সেই সময় ওই বিদ্যালয়ে গিয়ে দেখা গেল, বিদ্যালয়ের বারান্দা জলে ভেসে যাচ্ছে। সেই ভেজা বারান্দা দিয়েই ক্লাসে যেতে হচ্ছে খুদে পড়ুয়াদের। এমনকি ছাউনিহীন বারান্দায় বসে বৃষ্টির মধ্যে ভিজে মিড ডে মিল খেতে দেখা গেল পড়ুয়াদের। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ অভিভাবকরা। তাঁরা দ্রুত দাবি জানিয়েছেন স্কুল ভবন মেরামতের । না হলে বাচ্চারা যে কোনও সময় বড় দুর্ঘটনার বা জলে ভিজে অসুস্থতার শিকার হতে পারে। তাই তাঁরা জানিয়েছেন, যদি প্রশাসন মেরামতির কাজ না করে তবে গ্রামবাসীরা চাঁদা তুলে স্কুল সংস্কারের চিন্তাভাবনা করবে।

এ প্রসঙ্গে জেলা প্রাথমিক সংসদের চেয়ারম্যান পরিতোষ বর্মণ বলেন, ১০-১৫টি স্কুলের অবস্থা খুবই খারাপ। বরাদ্দের জন্য প্রোজেক্ট পাঠানো হয়েছে। টাকা এলে কাজ হবে।

বিজেপি বিধায়ক সুমন কাঞ্জিলাল এই নিয়ে সরকারকে নিশানা করলেন। তিনি বলেন, ছোট ছোট পড়ুয়াদের এত অসুবিধার মধ্যে স্কুল করতে হচ্ছে। কিন্তু, স্কুল সংস্কারের কোনও উদ্যোগ নিচ্ছে না প্রশাসন।