আলিপুরদুয়ার: মুজনাই নদী। তার উপর দুটি বাঁশের সাঁকো। একটি তৃণমূলের আর একটি বিজেপির। যদিও, দুটি দলের দুটি সাঁকো নিয়ে তরজা কম নয়। সূত্রের খবর, তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা তৃণমূল নামাঙ্খিত ব্রিজ দিয়ে যাতায়াত করেন, অন্যদিকে বিজেপির লোকজন যাতায়াত করেন বিজেপির নামাঙ্খিতে ব্রিজ দিয়ে। তবে বিষয়টি নিয়ে বেশি মুখ খুলতে নারাজ এলাকার বাসিন্দারা।
ফালাকাটার বড়ডোবা যেন বিচ্ছিন্ন দ্বীপ। প্রায় সাড়ে তেরশো ভোটার শহরে থেকেও যেন অনেকটা দূরে।নিজেদের পুরসভার ভোটার ভাবতে পারছেন না বড় ডোবার মানুষজন। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি অবিলম্বে এখানে একটি সেতু নির্মিত হোক। মুজনাই নদীর ওপারে বড়ডোবা গ্রাম। গুয়াবারনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৮১ নম্বর বুথ ও ২০৪ নম্বর বুথ ফালাকাটা পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এই ওয়ার্ডে এখন একটাই সমস্যা সেতু। বর্ষাকালে বড়ডোবা ফালাকাটা শহর থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। এবার সাধারণ মানুষ ভুলবশত যেই রাজনৈতিক দলের সাঁকো ব্যবহার করেন সঙ্গে-সঙ্গে মনে করা হয় তিনি সেই দলের।
বর্ষার কয়েকমাস নৌকা থাকলেও পরে বাঁশের সাঁকো দিয়ে পারাপার চলে। বাম আমল থেকেই এখানে সেতুর দাবিতে নানা আন্দোলন হয়েছে। অনশনও হয়েছে। কিন্তু সেতু হয়নি। অভিযোগ, সব রাজনৈতিক দল ভোটের আগে আশ্বাস দেন। ভোট পেরিয়ে গেলে আর হয় না।এবার ওই এলাকা পুরসভার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।সেতু না হলে এখন অনেকে পুরসভার ভোটার মনে করতে পারছেন না। তাই বড়ডোবার এলাকায় ভোট নিয়ে কোনও উচ্ছ্বাস নেই। পড়ুয়া থেকে সবাই এখন সেতুর অভাবে সংকটে। ওই এলাকা পুরসভার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। তাই সেতুর দাবি এখন জোরদার হচ্ছে। কয়েকজন প্রার্থী তো বলেই দিলেন জিতলে সেতু নিয়ে দরবার করবেন।